পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্রর বাল্যকথা 昭う বালকের নিকট দাড়াইয় তাহাদের মাথার উপর বেত জুলাই বলিতেন, “মারি মারি ? আজ তোমরা কেন আমাদের বাড়ী তাস খলতে যাও নাই ?” বঙ্কিমচন্দ্র বাল্যকালে খেলার মধ্যে কেবল তাস খেলিতেন, দুই প্রহরের সময়ে ঐ কয় জন বালকের সহিত কোন কোন দিন তাস খেলিতেন। বালকদিগের দৌড়াদৌড়ি এবং অন্তান্ত খেলা—যাহাতে শরীরের পুষ্টসাধন করে—তাহ খেলিতেন না । খেলিতে ভাল লাগিত না, সেই জন্য দুৰ্ব্বল ও ক্ষীণদেহ ছিলেন। এইরূপে মধ্যে মধ্যে বালকদিগের পরীক্ষা করাতে তাহাদের উৎসাহ হইত। বঙ্কিমচন্দ্রের প্রতিভা বাল্যকালে দিন দিন প্রস্ফুটিত হইতেছিল, উহার প্রভাবে অন্তান্ত বালকের তাহাকে ভক্তি করিত, সকলে তাহার নিকট খেদিতে পারিত না । তিনি কাহাকেও ভাল বলিলে, তাহার আনন্দ ও উৎসাহ বৰ্দ্ধিত হইত। স্কুলে, কালেঞ্জে, তাহার সমাধ্যায়ীদিগের উপরও ঐরূপ প্রভাব ছিল, ইহা তাহার অসামান্স প্রতিভারই মহিমা । লেখাপড়ায় উৎসাহ প্রদান করা তাহার জীবনের একটি প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। যখন যৌবনে এক জন বিখ্যাত বাঙ্গল লেখক হইলেন, তখন অনেকগুলি সুশিক্ষিত যুবককে উৎসাহ দিয়া লেখক করিয়াছিলেন, তাহার এক একজন বিখ্যাত লেখক হইয়াছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্র না জন্মাইলে, রমেশচন্দ্র দত্ত, চন্দ্রনাথ বস্ন প্রভৃতি কখনও বাঙ্গালা ভাষার লেখক হইতেন না, চিরকাল ইংরাজি লেখক থাকিতেন। বঙ্কিমচন্ত্রের প্ররোচনায় ও অনুপ্রাণনে র্তাহারা বাঙ্গালা ভাষায় লিখিতে আরম্ভ করিলেন । -