পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 বঙ্কিম-প্রসঙ্গ পৌষ কি মাঘ মাসে একদিন সূর্য্যোদয়ে পাঠশালায় যাইয় গুরুমছাশয়-দত্ত বেত লইয়া, বালক বঙ্কিম কোন একটি বালকের নিকট বসিয়া তাহার লেখাপড়া দেখিতেছিলেন, এমত সময় একটা গোল উঠিল যে, গঙ্গার ঘাটে গোরার বহর লাগিয়াছে। এই সংবাদে চারিদিকের লোকজন, কি পুরুষ, কি স্ত্রীলোক, কি বালক ছু ছুটি করিয়া পলাইতে লাগিল। পাঠশালার ছাত্রগণ পাত্তাড়ি ফেলিয়া পলাইল। গুরুমহাশয় চটজুতা পায়ে ফট্ ফটু শব্দে পলাইলেন। এক ব্যক্তি এক বাজরা বেগুন লইয়া নৈহাটর বাজারে বিক্রয় করিতে যাইতেছিল, সে উহা আমাদের ঠাকুরবাড়ীর দরজার নিকটে ফেলিয়া পলাইল। মুহূর্তের মধ্যে রাস্ত ঘাট নির্জন হইল। সকল বাটীর দরজা বন্ধ হইল, কেবল বালক বঙ্কিমের জন্য আমাদের বাড়ীর দরজা খোলা রহিল, তিনি গুরুমহাশয়-প্রদত্ত , বেত হাতে করিয়া আমাদের বাটীর দরজার নিকট রাস্তার ধারে দাড়াইলেন, সুতরাং আমাদের যত লোকজন ছিল, তাহার নিকট আসিয়া দাড়াইল। পিতৃদেব তখন র্তাহার কৰ্ম্মস্থলে, অগ্রজন্বয়ও র্তাহার নিকটে। গ্রামে গোরার বহর লাগিয়াছে শুনিয়া গ্রামবাসীর বিপদ ভাবিয়া পলায় কেন ! সেকালে পশ্চিমাঞ্চল হইতে গোরারা কুচ করিয়৷ কলিকাতায় আসিত, কিন্তু পীড়িত গোরার নৌকাযোগে আসিত। যে স্থানে সূর্য্যোদয় হইত, সেই স্থানে ঐ সকল গোর প্রাতঃক্রিয়ার জন্ত ডাঙ্গায় উঠিত, এবং গ্রামে প্রবেশ করিয়া নানা প্রকারে উৎপাত করিত । দুই তিন বৎসর পূৰ্ব্বে একবার এামে নামিয়া ঐরূপ অত্যাচার করিয়াছিল। সেই অবধি গোরার