পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(t૨ বঙ্কিম-প্রসঙ্গ তবুও তাহারা . অনাহারে মরিতে লাগিল, কেন না, টাকা খাইতে পারে না, টাকাতে ধানচাল কিনিবে, তাহ দেশে নাই। এইরূপ অবস্থাতে বঙ্গে নানাপ্রার পীড়ার আবির্ভাব হইয়া, অবশেষে চুরি ডাকাতি আরম্ভ হইল। যাহাদের ঘরে টাকা পোতা ছিল, তাহারাও অন্নাভাবে চোর ডাকাত হইল। এই গল্পটি আমি ভুলিয়া গিয়াছিলাম, কিন্তু আমার অগ্রজের উহা মনে ছিল ; কেন না, ১৮৬৬ সালে উড়িষ্যায় দুর্ভিক্ষের সময়ে ঐ গল্পটি আবার তাহার মুখে শুনিলাম। আমার বোধ হয় ছিয়াত্তরের মন্বন্তর অবলম্বনে কোন উপন্যাস লিখিবার তাহার অনেক দিন ইচ্ছা ছিল, কিন্তু যৌবনে লেখেন নাই, কিঞ্চিৎ পরিণত বয়সে “অনন্দমঠ” লিখিলেন। - “বন্দে মাতরম্ গীতটি উহার বহুদিন পূৰ্ব্বে রচিত হইয়াছিল। এই গীতটা সম্বন্ধে বঙ্কিমচন্দ্রের একটি ভবিষ্যৎবাক্য আছে। কয়েক বৎসর হইল ক্রমান ললিতচন্দ্র মিত্র “সাহিত্যে” উহার সম্বন্ধে সবিস্তারে লিখিয়াছিলেন বটে, তথাপি আমার যতটুকু স্মরণ আছে, আমিও লিখিলাম। বঙ্গদর্শনে মধ্যে মধ্যে দুই এক পাত matter কম পড়িলে পণ্ডিতমহাশয় আসিয়া সম্পাদককে জানাইতেন। তিনি তাহা ঐ দিনেই লিখিয়া দিতেন। ঐ সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রবন্ধের মধ্যে দুই একটি “লোক-রহন্তে” প্রকাশিত হইয়াছে, কিন্তু অধিকাংশ প্রকাশিত হয় নাই। “বন্ধুে মাতরম্ গীতটি রচিত হইবার কিছু দিবস পরে পণ্ডিতমহাশয় আসিয়া জানাইলেন, প্রায় একপাত matter কম পড়িয়াছে। সম্পাদক বঙ্কিমচন্দ্র বলিলেন, “আচ্ছা, আজই পাবে।” একখানকাগজ টেবিলে পড়িয়াছিল,পণ্ডিতমহাশয়ের