পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

電レア বঙ্কিম-প্রসঙ্গ ঐ গ্রামের কোনঃ এক ব্যক্তি ইষ্ট ইণ্ডিয়া রেলওয়ে আফিসে চাকুরী করিতেন, কিন্তু তাহার প্রধান চাকুরী কলিকাতার বড়মানুষদিগের মোসাহেবী। যখন পরিবার পিত্রালয়ে থাকিতেন, তখন ইনি প্রতি শনিবারে ও অন্যান্ত ছুটতে কাঠালপাড়ায় আসিতেন, এবং বঙ্কিমচন্দ্র ও তাহার ভ্রাতাদিগের নিকট সৰ্ব্বদা থাকিতেন। এই বাবুটির কথা এই স্থানে উল্লেখের কারণ পরে প্রকাশ পাইবে। আর একটী বিদেশী লোক অতি কুষ্ঠিতভাবে বসিয়াছিল। ইহার নাম বলহরি দাস, রাণীহাট পরগণায় ইহার বাটী, যে স্থানের কীৰ্ত্তন “রেনিট”র কীৰ্ত্তন বলিয়া বিখ্যাত। এই লোকটী ভাল কীৰ্ত্তন গাহিতে শিথিয়াছিল। বঙ্কিমচন্দ্রের জ্যেষ্ঠাগ্রজের নিকটেই থাকিত। অন্ত তাহারই আদেশানুসারে উপস্থিত ছিল। কিছুক্ষণ পরে সকল ভ্রাতা উপস্থিত হইলেন। বঙ্কিমচন্দ্রও আসিলেন। বিখ্যাত ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট ৮ঈশ্বরচন্দ্র মিত্র একদিন আমাকে বলিয়াছিলেন, বঙ্কিমচন্দ্র কোনও মজলিসে প্রবেশ করিলে সভাস্থ সকলের গায়ে যেন electricity ছড়াইয়া দেয়, সকলেই উল্লসিত হয়। আমি দেখিয়াছি, এই গুণটী যে কেবল বঙ্কিমচন্দ্রের ছিল, তাহা নহে। দীনবন্ধু ও হেমচন্দ্রেরও ছিল ; মধুসূদনের কিয়ৎপরিমাণে ছিল বটে, কিন্তু সে অন্তরূপ। যাহা হউক, বঙ্কিমচন্দ্র ঘরে প্রবেশ করিবামাত্র মজলিস সরগরম হইল, যাহার চাদর মুড়ি দিয়া গুইয়াছিলেন, তাহারা উঠিয়া বসিলেন, হাসির হররা উঠিল, তামাকের ধোয়াতে ঘরের আলো মিটমিট করিতে লাগিল। অনেকে গুনিয়া চমকিত হইবেন, কেহ কেহ বা বিরক্ত হইবেন, আমরা চার ভ্রাত একত্র বসিয়া তামাক খাইতাম