পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&by বঙ্কিম-প্রসঙ্গ কিন্তু উল্লিখিত বন্দোপাধ্যায় মহাশয় একযোড়া যুক্তর পায়ে দিয়া একটা গীত ধরিয়া নাচিতে আরম্ভ করিলেন। (যুক্তর যোড়াটি ' ঐ ঘরে সংগ্রহ করা থাকিত ) –গীতটি এই— “কালা তাই বটে, কাল৷ তাই বটে, বাবলার গাছে গোলাপফুল ফোটে।” এই গীত শুনিয়া সকলেই হাসিয়া উঠিল । দীনবন্ধুও খুব হাসিলেন । দীনবন্ধুর পত্নীর সুখ্যাতির পর এই গীতের অর্থ এই বুঝাইল যে, দীনবন্ধু বাবলাগাছ ও তাহার পত্নী গোলাপ ফুল— বাবলা গাছে গোলাপ ফুল ফুটিয়াছে। ঐ দিবস হইতে দীনবন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়কে পত্নীসহোদরবাচক সম্বোধন করিয়া ডাকিতেন। বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় তাহাতে নারাজ ছিলেন না। এই বৎসর খামাপূজার সময় বঙ্কিমচন্দ্র ও র্তাহার দুই অগ্রজ ভ্রাতা যখন কৃষ্ণনগরে দীনবন্ধুর সহিত দেখা করিতে যান, তখন বন্দ্যোপাধ্যায়মহাশয়কে তাহাদের সমভিব্যাহারে লইয়া গিয়াছিলেন। সেখানে দীনবন্ধু তাহার পত্নীর নাম করিয়া ইহাকে ভাই-ফোটার দ্রব্যাদি দিয়াছিলেন। বন্দোপাধ্যায় উহা সাদরে গ্রহণ করিলেন, কিন্তু আহারের সময় বড় গোল বাধিল । ছাই পাশ, গরুর চোন ইত্যাদি বন্দ্যোপাধ্যায়কে খাওয়াইবার জন্ত দীনবন্ধু অনেক চেষ্টা করিলেন, কিন্তু সফল হইতে পারেন নাই। সান্ধী পতিপরায়ণ, যিনি ভাইফোটা দিয়াছিলেন, তিনি অদ্যাপি জীবিত । যশোহরে দীনবন্ধু ও বঙ্কিমের প্রথম চাক্ষুষ আলাপ হয়। বঙ্কিমচন্দ্র ঐ স্থানে ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেটের পদে বাহাল হইয়া যান,