পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র ও দীনবন্ধু ፃ » বক্তৃতাই করিতেছেন!" এইরূপে দুই দিনে গল্পপাঠ শেষ হইল। বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম হইতে ধারণ ছিল যে, “দুর্গেশনন্দিনী’র ভাষা ব্যাকরণ-দোষে দূষিত। সে জন্য তিনি গল্পপাঠ শেষ হইলে উপস্থিত সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন, "ভাষায় ব্যাকরণ-দোষ আছে—উহা কি লক্ষ্য করিয়াছেন?” ৮মধুসূদন স্মৃতিরত্ন, (সংস্কৃত কলেজের ৮দ্বষীকেশ শাস্ত্রীর পিতা ) বললেন, “গল্প ও ভাষার মোহিনী শক্তিতে আমরা এতই আকৃষ্ট হইয়াছিলাম যে, আমাদের সাধ্য কি যে অন্ত দিকে মন নিবিষ্ট করি!” বিখ্যাত পণ্ডিত ৮চন্দ্রনাথ বিদ্যারত্ব বলিলেন যে, “আমি স্থানে স্থানে ব্যাকরণদোষ লক্ষ্য করিয়াছি বটে, কিন্তু সেই সেই স্থানে ভাষা আরও মধুর হইয়াছে।” ভাটপাড়ার পণ্ডিতমহাশয়দিগের মতামত এ স্থলে উল্লেখ করিবার উদ্দেশু এই যে, তাহার কলিকাতার পণ্ডিতদিগের অপেক্ষ কোনও শাস্ত্রে খাটছিলেন না। কিন্তু কলিকাতার যে সকল পণ্ডিত বাঙ্গালী ভাষায় সংবাদপত্র চালাইতেন, তাহারাই কেবল নবীন লেখকের নবীন ভাষার অবতারণা করিবার অসমসাহসে খড়গহস্ত হইয়াছিলেন। “চুর্গেশনন্দিনী” প্রচারিত হইবার পূৰ্ব্বে পণ্ডিতশ্রেষ্ঠ vতারাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় (ভূদেববাবুর জামাতা) এবং সেকালের বিখ্যাত সমালোচক ৮ক্ষেত্রনাথ ভট্টাচাৰ্য্য উহ! পাঠ করিয়াছিলেন। ক্ষেত্রনাথ বলিয়ছিলেন, “তোমার বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ভূমি "র্গেশননীি" অপেক্ষ উৎকৃষ্ট উপন্যানলিখিবে,কিন্তু এই উপন্যাস্টমেনসকলসম্প্রদায়ের "אאואיילאילואי মনোরঞ্জন করিবে, তেমন তোমার অন্ত উপস্থাস-করিত্রে পরিবে