পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ বঙ্কিম-প্রসঙ্গ কি না সন্দেহ,” ক্ষেত্রনাথের ভবিষ্যদবাক্য সফল হইয়াছিল ; যতদিন না “দেবীচৌধুরাণী” প্রকাশিত হইয়াছিল, ততদিন “দুর্গেশনন্দিনী’রই বিক্রয় বেশী ছিল। নবপ্রকাশিত “সংকল্প” মাসিকপত্রে কোনও প্রসিদ্ধ লেখক "বঙ্কিমচন্দ্রের রাধারাণী” নামক প্রবন্ধে লিখিয়াছেন যে, "বঙ্কিমচন্দ্র প্রথম উপন্যাস ‘দুর্গেশনন্দিনী রচনা করিয়া অগ্রজ ভ্রাতৃদ্বয় শু্যামাচরণ ও সঞ্জীবচন্দ্রকে দেখাইয়াছিলেন, কিন্তু তাহারা গ্রন্থখানি প্রকাশের অযোগ্য বলিয়া বিবেচনা করেন " কথাটা সম্পূর্ণ অমূলক। আমি উপরেই বলিয়াছি যে, বঙ্কিমচন্দ্র যখন “দুর্গেশনন্দিনী’র পাণ্ডুলিপি পাঠ করেন, তখন সঞ্জীবচন্দ্র সেখানে উপস্থিত ছিলেন ; তিনি অমুজের উপন্যাসখানি শুনিয়া যারপরনাই আনন্দিত হইয়াছিলেন । খামাচরণও পরে উহা পাঠ করিয়া প্রচুর আনন্দলাভ করিয়াছিলেন। ভাটপাড়ার বিখ্যাত পণ্ডিতগণ—মহামহোপাধ্যায় রাখালদাস দ্যায়রত্ন, তাহার অনুজ ৮তারাচরণ বিস্তারত্ব (ঐযুক্ত প্রমথনাথ তর্কভূষণের পিত), যিনি পাণ্ডিত্যে দেশ বিদেশে জয়ী হইয়া দিগ্নিজয়ী উপাধি পাইয়াছিলেন, চন্দ্রনাথ বিদ্যারত্ব ও মধুসূদন স্মৃতিরত্ন প্রভৃতি দশ বারো জন ধুরন্ধর পণ্ডিত বঙ্কিমচন্দ্রের নিকট সৰ্ব্বদাই আসিতেন ; তিনি র্তাহার ইংরাজি-শিক্ষিত বন্ধুদিগের যেরূপ আদর সম্মান করিতেন, ইহাদেরও সেইরূপ করিতেন। মধ্যে মধ্যে । তাহাদের সহিত বিচারে প্রবৃত্ত হইতেন । ন্যায় কি দর্শনশাস্ত্রে ইহাদের সমকক্ষ ছিলেন না বটে, কিন্তু সংস্কৃত অলঙ্কার শাস্ত্রে ও ইংরাজি সাহিত্যে বুৎপন্ন থাকাতে পণ্ডিত মহাশয়েরা বঙ্কিমচন্ত্রের