পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র ও দীনবন্ধু చిర్రి সহিত শাস্ত্রবিচারে হটিয়া যাইতেন। ভাটপাড়ার এক্ষণকার প্রসিদ্ধ পণ্ডিত মহামহোপাধ্যায় শিবরাম সাৰ্ব্বভৌম অষ্টাদশবৎসর বয়ঃক্রমে একটি সংস্কৃত শ্লোক রচনা করিয়া বঙ্কিমচন্দ্রকে শুনাইয়াছিলেন । বঙ্কিমচন্দ্র তাহার যথেষ্ট প্রশংসা করিয়াছিলেন । পণ্ডিতবর yহৃষীকেশ শাস্ত্রী যুবাবয়সে শ্লোক রচনা করিয়া মধ্যে মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্রকে শুনাইতেন। ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেটের পদে নিযুক্ত হইবার এক বৎসরের মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্র বিপত্নীক হইয়া পিতামাতার অনুরোধে দ্বিতীয়বার দার-পরিগ্রহণে প্রবৃত্ত হইলেন। তখন র্তাহার বয়ঃক্রম একবিংশতি বৎসর। বঙ্কিমচন্দ্র পঠদ্দশা হইতে লব্ধপ্রতিষ্ঠ । একে, বি, এ, ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট, তার পর দেখিতে সুপুরুষ, একুশ বছরের যুব, আবার তাহার পিতৃদেবের এ অঞ্চলে নামযশ:ও ছিল, সুতরাং অনেক পাত্রী জুটল। বঙ্কিমচন্দ্র এ সময়ে চুটী লইয়া বাট আসিলেন ; সুহৃদ প্রধান দীনবন্ধুকে সঙ্গে লইয়া স্থানে স্থানে পত্রিী দেখিয় বেড়াইতে লাগিলেন ; পরে একটা পাত্রী মনোনীত করিয়া তাহাকেই বিবাহ করিলেন। ইনি গত ১০ই ভাদ্র বুধবার সায়ংকালে স্বৰ্গারোহণ করিয়াছেন। যখন বঙ্কিমচন্দ্র নেগুয়া মহকুমাতে (এক্ষণে উহাকে কাথি মহকুমা বলে ) ছিলেন, তখন সেইখানে এক জন সন্ন্যাসী কাপালিক র্তাহার পশ্চাৎ লইয়াছিল ; মধ্যে মধ্যে নিশীথে তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিত। বঙ্কিমচন্দ্র তাহাকে নানাপ্রকার ভয় প্রদর্শন করিতেন, তবুও মধ্যে মধ্যে আসিত। যখন তিনি সমুদ্রতীরে চাঁদপুর বাঙ্গালায় বাস করিতেন, তখন এই সন্ন্যাসী প্রতিদিন গভীর রাত্রিকালে দেখা