পাতা:বঙ্কিম চন্দ্রের দীনবন্ধু-জীবনী.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দীনবন্ধু-জীবনী । ya সম্বন্ধীয় যে জ্ঞান পাওয়া যায়,তাহ দার্শনিকদিগের ভাষায়, রজ্জ্বতে সৰ্পজ্ঞানবৎ ভ্ৰম জ্ঞান বলিয়া উড়াইয়া দেওয়া যাইতে পারে। এমন বলিতেছি না যে, BB DDBDB BDBDBD KD sBB DDD BBD DDD SS SBBDDBDB DBBBDS কিন্তু লোকের সঙ্গে মিশিয়াছেন কি ? না মিশিলে, যাহা জানিয়াছেন তাহার মূল্য কি ? বাঙ্গালী লেখকদিগের মধ্যে দীনবন্ধুই এ বিষয়ে সৰ্ব্বোচ্চ স্থান পাইতে পারেন। দীনবন্ধুকে রাজকাৰ্য্যানুরোধে, মণিপুর হইতে গাঞ্জাম পৰ্য্যন্ত, দাৰ্জিলিঙ হইতে সমুদ্ৰ পৰ্য্যন্ত, পুনঃ পুনঃ ভ্ৰমণ করিতে হইয়াছিল। কেবল পথ ভ্ৰমণ বা নগর দর্শন নহে। ডাকঘর দেখিবার জন্য গ্রামে গ্রামে যাইতে হইত। লোকের সঙ্গে মিশিবার তঁর অসাধারণ শক্তি ছিল । তিনি আহলাদ পূর্বক সকল শ্রেণীর লোকের সঙ্গে মিশিতেন। ক্ষেত্রমণির মত গ্ৰাম্য প্রদেশের ইতর লোকের কন্যা, আব্দুরীর মত গ্ৰাম্য বর্ষিীয়সী, তোরাপের মত গ্ৰাম্য প্ৰজা, রাজীবের মত গ্ৰাম্য বৃদ্ধি, নর্শীরাম ও রতার মত গ্ৰাম্য বালক, পক্ষান্তরে নিমৰ্চাদের মত সহরে শিক্ষিত মাতাল, অটলের মত নগরবিহারী গ্ৰাম্য বাবু, কাঞ্চনের মত মনুস্য-শোণিতপায়িনী নগরবাসিনী রাক্ষসী, নদেরচাদ, হেমচাঁদের মত “উনপাজুরে বরাখুরে”হাপ পাড়াগোঁয়ে হাপ সহুরে বয়াটে ছেলে, ঘটিরামের মত ডিপুটি, নীলকুঠির দেওয়ান, আমীন, তাগাদগীর, উড়ে বেহার, দুলে বেহার, পেচোর-ম। কাওরাণীর মত লোকের পর্য্যন্ত তিনি নাড়ী নক্ষত্ৰ জানিতেন । তাহারা কি করে, কি বলে, তাহা ঠিক জানিতেন। কলমের মুখে তাহা ঠিক বাহির করিতে পারিতেন, ~-আর কোন বাঙ্গালী লেখক তেমন পারে নাই। তঁহার আব্দুরীর মত অনেক আব্দুরী। আমি দেখিয়াছি—তাহারা ঠিক আব্দুরী। নদেরচাদ হেমৰ্চাদ আমি দেখিয়াছি,তাহারা ঠিক নদের চাদ বা হেমৰ্চাদ । মল্লিকা দেখা গিয়াছো-ঠিক আমনি ফুটন্ত মল্লিকা । দীনবন্ধু অনেক সময়েই শিক্ষিত ভাস্কর বা চিত্রকারের ন্যায় জীবিত আদর্শ সম্মুখে রাখিয়া চরিত্রগুলি গঠিাতেন। সামাজিক বৃক্ষে সামাজিক বানর সমারূঢ় দেখিলেই অমনি তুলি ধরিয়া তাহার লেজ শুদ্ধ আঁকিয়া লইতেন। এটুকু গেল। তাহার Realism. তাহার উপর Idealize করিবারও বিলক্ষণ ক্ষমতা ছিল। সম্মুখে জীবন্ত আদশ রাখিয়া আপনার স্মৃতির ভাণ্ডার খুলিয়া, তাহার ঘাড়ের উপর অন্যের দোষ গুণ চাপাইয়া দিতেন। যেখানে যেটি সাজে, তাহা বসাইতে জানিতেন। গাছের বানরকে এইরূপ সাজাইতে সাজাইতে