পাতা:বঙ্কিম চন্দ্রের দীনবন্ধু-জীবনী.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট । VDO য়াছিলেন । বাসুদেব সাৰ্ব্বভৌম হইতে আরম্ভ করিয়া নবীন সমাজ সংস্কারক পর্য্যস্ত সকলের কথাই সাগ্রহে ও সোৎসাহে লিখিয়াছিলেন । যে সকল মহাত্মা নব-বঙ্গে নবজীবন দিয়াছেন, কবি প্ৰাণ ভরিয়া তাহদের মহিমা গাহিয়াছেন ;- রামগোপাল, রসিককৃষ্ণ, বিদ্যাসাগর, রামতনু, কৃষ্ণমোহন, রাজেন্দ্রলাল, মধুসুদন, নবীনকৃষ্ণ, দেবেন্দ্রনাথ, রাজনারায়ণ, কেশবচন্দ্ৰ, ইহারা সকলেই সগৌরবে উল্লিখিত হইয়াছেন। প্ৰাণ খুলিয়া সমকালের লোকদিগকে মহাত্মা বলিয়া কীৰ্ত্তন করা সকলের পক্ষে সহজ নয় । যাহারা হতভাগ্য বঙ্গের উন্নতিকল্পে একখানি ভাল নুতন ব্যাক্সরণ লিখিয়াছিলেন, স্বদেশবংসল তাহদের নাম করিতেও ভুলেন নাই। যিনি র্তাহার কাব্যের নিন্দা করিয়াছিলেন, দ্বিতীয় ভাগে তাহার প্রশংসা করিতেও বিস্মৃত হয়ূেন নাই ; প্রথম ভাগে কৃষ্ণমোহনেরও প্রশংসা ছিল। দীনবন্ধুর মত গুণগ্ৰাহী উদারচরিত ব্যক্তি সংসারে দুলভ। সুরধুনী কাব্যখানি কবির উৎকৃষ্ট কাব্যশিল্পের সাক্ষী না হউক, উহা তেঁাহার পবিত্ৰতা, স্বদেশবৎসলতা ও উদারতার অক্ষয় সাক্ষী । ভোতারাম ভাটের প্রতি প্ৰযুক্ত পরিহাসে যখন কিছুমাত্ৰ তীব্ৰতা নাই, এবং কবি যখন লালবিহারীর গুণকীৰ্ত্তনেও অকুষ্ঠিত, তখন, অন্যায় সমালোচনার প্রতি একটা কটাক্ষকে দীনবন্ধুর চরিত্রের “ক্ষুদ্র কলঙ্ক” রূপেও বৰ্ণনা করিতে পারা যায় না । শ্ৰীবিজয়চন্দ্র মজুমদার।