পাতা:বঙ্কিম চন্দ্রের দীনবন্ধু-জীবনী.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R नौनलकू-डौदनी । চৌবেড়িয়া নামে গ্রাম আছে ; যমুনা নামে ক্ষুদ্র নদী এই গ্রামকে প্রায় চারি দিকে বেষ্টন করিয়াছে ; এইজন্য ইহার নাম চৌবেড়িয়া। সেই গ্ৰাম দীনবন্ধুর জন্মভূমি। এ গ্রাম নদীয়া জেলার অন্তর্গত। বাঙ্গালা সাহিত্য, দর্শন ও ধৰ্ম্ম-শাস্ত্র সম্বন্ধে নদীয়া জেলার বিশেষ গৌরব আছে ; দীনবন্ধুর নাম নদীয়ার আর একটী গৌরবের স্থল । সন। ১২৩৬ সালে দীনবন্ধু জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কালাচাঁদ মিত্রের পুল । তঁহার বাল্যকাল-সম্বন্ধীয় কথা অধিক বলিবার নাই | দীনবন্ধু অল্পবয়সে কলিকাতায় অ্যাসিয়া, হেয়ার স্কুলে ইংরেজি শিক্ষা আরম্ভ করেন । সেই বিদ্যালয়ে থাকিতে থাকিতেই তিনি বাঙ্গালা রচনা আরম্ভ করেন । সেই সময় তিনি প্রভাকর-সম্পাদক ঈশ্বরচন্দ্ৰ গুপ্তের নিকট পরিচিত হয়েন। বাঙ্গালা সাহিত্যের তখন বড় দুরবস্থা । তখন প্রভাকর সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট সংবাদপত্র। ঈশ্বর গুপ্ত বাঙ্গালা সাহিত্যের উপর একাধিপত্য করিতেন। বালকগণ র্তাহার কবিতায় মুগ্ধ হইয়া তাহার সঙ্গে আলাপ করিবার জন্য ব্যগ্ৰ হইত। ঈশ্বর গুপ্ত তরুণবয়স্ক লেখকদিগকে উৎসাহ দিতে বিশেষ সমুৎসুক ছিলেন। হিন্দু-পেটী য়ট যথার্থ ই বলিয়াছিলেন, আধুনিক লেখকদিগের মধ্যে অনেকে ঈশ্বর গুপ্তের শিষ্য। কিন্তু ঈশ্বর গুপ্তের প্রদত্ত শিক্ষার ফল কতদূর স্থায়ী বা বাঞ্ছনীয় হইয়াছে তাহা বলা যায় ন! { দীনবন্ধু প্ৰভৃতি উৎকৃষ্ট লেখকের ন্যায় এই ক্ষুদ্র লেখক ও ঈশ্বরগুপ্তের নিকট ঋণী । সুতরাং ঈশ্বরগুপ্তের কোন অপ্ৰশংসার কথা লিখিয়া আপনাকে অকৃতজ্ঞ বলিয়া পরিচয় দিতে ইচ্ছক নাহি । কিন্তু ইহাও অস্বীকার করিতে পারি না যে, এখনকার পরিমাণ ধরিতে গেলে, ঈশ্বর গুপ্তের রুচি তাদৃশ বিশুদ্ধ বা উন্নত ছিল না, বলিতে হইবে। তাহার শিষ্যেরা অনেকেই তঁহার প্রদত্ত শিক্ষা বিস্মত হইয়া অন্য পথে গমন করিয়াছেন। বাবু রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতির রচনামধ্যে ঈশ্বর গুপ্তের কোন চিত্ন পাওয়া যায় না । কেবল দীনবন্ধুতেই কিয়ুৎপরিমাণে তাহার শিক্ষার চিহ্ন পাওয়া যায় । “এলোচুলে বেনে বউ আলিত দিয়ে পায় নলক নাকে, কলসী কঁাকে, জল আনতে যায়, ইত্যাকার কবিতায় ঈশ্বর গুপ্তকে স্মরণ হয়। বাঙ্গালা সাহিত্যে চারিজন রহস্যপটু লেখকের নাম করা যাইতে পারে,-টেকচাদ, হুতোম, ঈশ্বরগুপ্ত এবং