পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

xəstək” অঞ্চলাদ্ধে বসে। হে কমলাকান্ত! হে দুবিনীত ! হে আজন্মবিবাহশান্য! তুমি এতদৰ্থে শান্তিপরে কলকাদার অাঁচলের আধখানা বঝিও না। তুমি যে অঞ্চলাদ্ধে বসিবে, তাহার তাঁতি আজও জন্মে নাই। মনের নগ্নত্ব জ্ঞান-বস্ত্রে আবতো; অদ্ধেকে তোমার হৃদয় আব্বত রােখ, অদ্ধেকে বাঞ্ছিতকে বসাও। তুমি মািখ-তথাপি তোমার অপেক্ষা মািখ যদি কেহ থাকে, তাহাকে ডাক-“এসো এসো বাঁধ এসো-আধা অচিরে বসে।” “न्झन् छ।ब्रझा ८ऊाभाझ gर्जाथ ।” কেহ কখন দেখিয়াছে ? তুমি অনেক ধন উপাত্তজন করিয়াছ-কখন নয়ন ভরিয়া আত্মাধন দেখিতে পাইয়াছ ? তুমি যশস্বী হইবার জন্য প্ৰাণপাত করিয়াছ-কিন্তু আত্ম যশোরাশি দেখিয়া কবে তোমার নয়ন ভরিয়াছে? রািপতৃষ্ণায় তুমি ইহজীবন অতিবাহিত করিলে-যেখানে ফলটি ফটে, ফলটি দোলে, যেখানে পাখীটি উড়ে, যেখানে মেঘ ছাটে, গিরিশােঙ্গ উঠে, নদী বহে, জল ঝরে, তুমি সেইখানে রাপের অন্যসন্ধানে ফিরিয়াছ-যেখানে বালক, প্ৰফল্লী মখমন্ডল আন্দোলিত করিয়া হাসে, যেখানে যাবতী ব্ৰীড়াভাবে ভাঙ্গা ভাঙ্গা হইয়া শঙ্কিতগমনে যায়, যেখানে প্রৌঢ়া নিতান্তস্ফটিত মধ্যাহ্নপদ্মিনীবৎ অকাতরে রাপের বিকাশ করে, তুমি সেইখানেই রাপের সন্ধানে ফিরিয়াছ, কখন নয়ন ভরিয়া রােপ দেখিয়াছ ? দেখা নাই কি যে, কুসম দেখিতে দেখিতে শকায়, ফল দেখিতে দেখিতে পাকে, পড়ে, পচে, গলে; পাখী উড়িয়া যায়, মেঘ চলিয়া যায়, গিরি ধ্যমে ব্ৰীড়া—কিসে না যায় ? প্রৌঢ়া বয়সে শাকাইয়া যায়। ইহা সংসারের দািরদম্পন্ট-কেহ কিছ নয়ন ভরিয়া দেখিতে পায় না। অথবা এই সংসারের শাভাদািলট-কেহ কিছ নয়ন ভরিয়া দেখিতে পায় না। গতিই সংসারের সখি-চাঞ্চল্যই সংসারের সৌন্দৰ্য্য। নয়ন ভরে না। সে নয়ন আমরা পাই নাই। পাইলেই সংসার দঃখময় হইত; পরিতৃপ্তি-রক্ষসী আমাদের সকল সখিকে গ্রাস করিত। যে কারিগর এই পরিবর্তনশীল সংসার, আর এই অতৃপ্য নয়ন সজন করিয়াছেন, তাঁহার কারিগরির উপর কারিগরি, এই বাসনা, নয়ন ভরিয়া তোমায় দেখি । জগৎ পরিবত্তনশীল, নয়নও অতৃপ্য, অথচ বাসনা—নয়ন ভরিয়া তোমায় দেখি। হে রপ! হে বাহ্য সৌন্দৰ্য্য! হে অন্তঃপ্রকৃতির সহিত সম্প্ৰবন্ধবিশিষ্ট! কাছে আইস, নয়ন ভরিয়া তোমায় দেখি। দরে বসিলে দেখা হইবে না; কেন না, দেখা কেবল নয়নে নহে। সংসপেশী বা নৈকট্য ব্যতীত মনের বৈদ্যাতী বহে না—আমরা সব্ব শরীরে দেখিয়া থাকি। মন হইতে মনে বৈদ্যােন্তী চলিলে। তবে নয়ন ভরিবে! হায়! কিসেই বা নয়ন ভরিবে! নয়নে যে পলক আছে! তোমা ধনে মিলাইল বিধি হে!” আমি কখন কখন মনে করিয়া থাকি, কেবল দঃখের পরিমাণ জন্যই দয়া করিয়া বিধাতা দিবসের সন্টি করিয়াছিলেন। নাহিলে কাল অপরিমেয়, মনষ্য-দঃখ, অপরিমিত হইত। আমরা এখন বলিতে পারি যে, আমি দই দিন, দই মাস বা দই বৎসর দঃখভোগ করিতেছি; কিন্তু দিন রাত্রির পরিবত্তন না থাকিলে, কালের পথ চিহ্নশন্য হইলে, কে না বঝিত যে, আমি অনন্ত দঃখান্ত হইবে, এ কথা কেহ ভাবিতে পারিত না-বাক্ষাদিশান্য অনন্ত প্রান্তরবৎ জীবনের পথ অনাত্তীৰ্ণ -জীবনযাত্রা দৰিদ্বষহ যন্ত্রণাস্বরপ হইত। অতএব এই বহৎ জগৎকেন্দ্ৰ সায্যের পথ আমাদের সখি দঃখের মানদন্ড। দিবস-গণনায় সখি আছে। সখি আছে বলিয়াই দঃখী জন দিবস গণিয়া থাকে। দিবস-গণনা দঃখবিনোদন। কিন্তু এমন দঃখীও আছে যে, সে দিবস গণে না; দিবস-গণনা তাহার পক্ষে চিত্তবিনোদন নহে। আমি কমলাকান্ত চক্রবত্তী কেন দিবস । গণিব। আমার এক দঃখ, এক সন্তাপ, এক ভরসা আছে। ১২০৩ সাল হইতে দিবস গণি। যে দিন বঙ্গে হিন্দনাম লোপ পাইয়াছে, সেই দিন হইতে দিন গণি। যে দিন সপ্তদশ げ○