পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अखबार এই কথা সখি দঃখের সীমারেখা! যাহার নন্ট সখের সন্মতি জাগরিত হইলে সখের নিদর্শন এখনও দেখিতে পায়, সে এখনও সখী—তাহার সখ একেবারে লিপ্ত হয় নাই। তাহার বন্ধ, তাহার প্রিয়, বাঞ্ছিত—গিয়াছে, কিন্তু তাহার বান্দাবন আছে—মনে করিলে, সে সেই সখভূমি পানে চাহিতে পারে। যাহার সখ গিয়াছে-সখের নিদর্শন গিয়াছে—বন্ধ গিয়াছে, বান্দাবনও গিয়াছে, এখন আর চাহিবার স্থান নাই—সেই দঃখী, অনন্ত দঃখে দঃখী। বিধবা যাবতী, মত পতির যত্নরক্ষিত পাদকো হারাইলে, যেমন দঃখে দঃখী হয়, তেমনিই দঃখে দঃখী। আমার এই বঙ্গদেশের সখের সন্মতি আছে--নিদর্শন কই ? দেবপালদেব, লক্ষণসেন, জয়দেব, শ্ৰীহৰ্ষ-প্রয়াগ পৰ্যন্ত রাজ্য, ভারতের অধীশ্বর নাম, গৌড়ী রীতি, এ সকলের সমিতি আছে, কিন্তু নিদর্শন কই ? সখি মনে পড়িল, কিন্তু চাহিব কোন দিকে ? সে গোঁড় কই ? সে যে কেবল যবনলাঞ্ছিত ভগ্নাবশেষ! আষ্য রাজধানীর চিহ্ন কই ? আয্যের ইতিহাস কই ? জীবনচরিত কই ? কীত্তি কই ? কীৰ্ত্তিস্তম্ভ কই ? সমরক্ষেত্র কই ? সখি গিয়াছে-সখচিহ্নও গিয়াছে, বাঁধ, গিয়াছে, বন্দাবনও গিয়াছে—চাহিব কোন দিকে ? চাহিবার এক শামশান-ভূমি আছে-নবদ্বীপ। সেইখানে সপ্তদশ যবনে বাঙ্গালা জয় করিয়াছিল। বঙ্গমাতাকে মনে পড়িলে, আমি সেই শামশান-ভূমি প্রতি চাই। যখন দেখি, সেই ক্ষদ্র পল্লীগ্রাম বেড়িয়া অদ্যাপি সেই কলধৌতবাহিনী গঙ্গা তর-তর রব করিতেছেন, তখন গঙ্গাকে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করি—তুমি আছ, সে রাজলক্ষী কোথায় ? তুমি যাঁহার পা ধয়াইতে, সেই মাতা কোথায় ? তুমি যাঁহাকে বেড়িয়া বেড়িয়া নাচিতে, সেই আনন্দরপিণী কোথায় ? তুমি যাঁহার জন্য সিংহল, বালী, আরব, সমিত্রা হইতে বাঁকে করিয়া ধন বহন করিয়া আনিতে, সে ধনেশ্বরী কোথায় ? তুমি যাঁহার রাপের ছায়া ধরিয়া রােপসী সাজিতে, সে অনন্তসৌন্দৰ্য্যশালিনী কোথায় ? তুমি যাঁহার প্রসাদি ফল লইয়া ঐ সবচ্ছ হৃদয়ে মালা পরিতে, সে পৰম্পাভরণা কোথায় ? সে রােপ, সে ঐশ্বৰ্য কোথায় ধাইয়া লইয়া গিয়াছ ? বিশ্বাসঘাতিন, তুমি কেন আবার শ্রবণমধরে কল-কাল তর-তর রবে মন ভুলাইতেছ ? বঝি তোমারই অতল গভর্মধ্যে, যবনভয়ে ভীতা সেই লক্ষয়ী ডুবিয়াছেন, বাঝি কুপত্ৰগণের আর মািখ দেখিবেন না বলিয়া ডুবিয়া আছেন। মনে মনে আমি সেই দিন কলপনা করিয়া কাঁদি। মনে মনে দেখিতে পাই, মাতিজািত বর্শাফলক উন্নত করিয়া, অশ্বপদশব্দমাত্রে নৈশ নীরবতা বিঘিত করিয়া, যবন সেনা নবদ্বীপে আসিতেছে। কালপণে দেখিয়া নবদ্বীপ হইতে বাঙ্গালার লক্ষী অন্তহিত হইতেছেন। সহসা আকাশ অন্ধকারে ব্যাপিল; রাজপ্রাসাদের চড়া ভাঙ্গিয়া পড়িতে লাগিল। পথিক ভীত হইয়া পথ ছাড়িল ; নাগরীর অলঙ্কার খসিয়া পড়িল; কুঞ্জবনে পক্ষিগণ নীরব হইল; গহময়রকণ্ঠে অদ্ধািব্যক্ত কেকার অপরাদ্ধ আর ফটিল না। দিবসে নিশীথ উপস্থিত হইল, পণ্যবীথিকার দীপমালা নিবিয়া গেল, পাজাগহে বাজাইবার সময়ে শঙ্খ বাজিল না; পন্ডিতে অশদ্ধ মন্ত্র পড়িল; সিংহাসন হইতে শালগ্রামশিলা গড়াইয়া পড়িল। যাবার সহসা বলক্ষয় হইল, যাবতী সহসা বৈধব্য আশঙ্কা করিয়া কাঁদিল; শিশ, বিনারোগে মাতার ক্ৰোড়ে শাইয়া মরিল। গাঢ়তর, গাঢ়তর, গাঢ়তর অন্ধকারে দিক ব্যাপিল; আকাশ, অট্টালিকা, রাজধানী, রাজবন্ত্রী দেবমন্দির, পণ্যবীথিকা, সেই অন্ধকারে ঢাকিল-কুঞ্জতীরভূমি, নদীসৈকত, নদীতরঙ্গ, সেই অন্ধকারেআাধার, অাঁধার, অাঁধার হইয়া লকাইল। আমি চক্ষে সব দেখিতেছি-আকাশ মেঘে ঢাকিতেছে -ঐ সোপােনাবলী অবতরণ করিয়া রাজলক্ষী জলে নামিতেছেন। অন্ধকারে নিব্বাণোন্মািখ আলোকবিন্দবৎ, জলে ক্ৰমে ক্ৰমে সেই তেজোরাশি বিলীন হইতেছে। যদি গঙ্গার অতল-জলে না। ডুবিলেন, তবে আমার সেই দেশলক্ষী কোথায় গেলেন ? হ্রয়োদশ সংখ্যা-বিড়াল আমি শয়নগহে, চারপায়ীর উপর বসিয়া, হাঁকা হাতে ঝিমাইতেছিলাম। একটা মিট, মিট করিয়া ক্ষদ্র আলো জীবলিতেছে-দেয়ালের উপর চণ্ডল ছায়া, প্ৰেতবৎ নাচিতেছে। আহার BBD DB DDDSTBD BB DBDS DDDBuBBB DD DDDBDBB BBS DDD D क्लीश्का, अब आशैल६ कििडङ आबिडम्ब कि मा। भड गन्तत अिष्ट अद्ध गन्छ “e!” ህሃ¢