পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বািকম রচনাবলী DDBB uDD DBD BD BBB DDB DDu BDDBS DDB BD BBD D DBDBB উপবাস করিয়া দেখ। তুমি যদি ইতিমধ্যে নসীরাম বাবার ভান্ডারঘরে ধরা না পড়, তবে आभाढ्क छंक्राईझा भाब्रद्ध, आभ आश्र्नाड कद्रव ना।।” বিজ্ঞ লোকের মত এই যে, যখন বিচারে পরাস্ত হইবে, তখন গম্ভীরভাবে উপদেশ প্রদান করবে। আমি সেই প্রথানসারে মাজারকে বলিলাম যে, “এ সকল অতি নীতিবিরদ্ধে কথা, ইহার আন্দোলনেও পাপ আছে। তুমি এ সকল দাঁশ্চিন্তা পরিত্যাগ করিয়া ধৰ্ম্মাচরণে মন দাও। তুমি যদি চাহ, তবে পাঠাথে তোমাকে আমি নিউমান ও পাকারের গ্রন্থ দিতে পারি। আর কমলাকান্তের দপ্তর পড়িলেও কিছ উপকার হইতে পারে।--আর কিছ হউক বা না হউক, আফিঙ্গের অসীম মহিমা বঝিতে পরিবে। এক্ষণে সাবস্থানে গমন কর, প্ৰসন্ন কাল কিছ ছানা দিবে বলিয়াছে, জলযোগের সময় আসিও, উভয়ে ভাগ করিয়া খাইব। অদ্য আর কাহারও হাঁড়ি মুণ্ডলু, রং ক্ষধায় যদি নিতান্ত অর্থীর হও, তবে পািনর্বারর আসিও, এক সরিষাভোর " মাজার বলিল, “আফিঙ্গের বিশেষ প্রয়োজন নাই, তবে হাঁড়ি খাওয়ার কথা, ক্ষধানসারে বিবেচনা করা যাইবে।” মাজার বিদায় হইল। একটি পতিত আত্মাকে অন্ধকার হইতে আলোকে আনিয়াছি, डाविला कभलाकारुछद्म बए आन्न्ग श्ल! শ্ৰীকমলাকান্ত চক্রবত্তীর্ণ ਸਨ আমি ভাবি কি, যদি পথিবীতে ঢেকি না থাকিত, তবে খাইতাম কি ? পাখীর মত দাঁড়ে বসিয়া ধান খাইতাম ? না, লাঙ্গলকণািদল্যিমানা গজেন্দ্ৰগামিনী গাভীর মত মরাইয়ে মািখ দিতাম ? নিশ্চয় তাহা আমি পারিতাম না-নবযবা কৃষ্ণকায় বস্ত্রশান্য কৃষাণ আসিয়া আমার পঞ্জরে আয্যসভ্যতার অনন্ত মহিমায় সে ভয় নাই-ঢেকি আছে-ধান চাল হয়। আমি এই পরোপকারনিরত ঢেকিকে আয্যসভ্যতার এক বিশেষ ফল মনে করি-আয্যসাহিত্য, আয্যদশান আমার মনে ইহার কাছে লাগে না-রোমায়ণ, কুমারসম্ভব, পাণিনি, পতঞ্জলি, কেহ ধানকে চাল করিতে পারে না। ঢেকিই আৰ্যসভ্যতার মাখোজবল্যকারী পত্র-শ্রাদ্ধাধিকারী-নিত্য পিন্ডদান করিতেছে। শািন্ধ কি ঢৌ-কিশালে ? সমাজে, সাহিত্যে, ধৰ্ম্মসংস্কারে, রাজসভায়,-কোথায় না। ঢেকি আৰ্যসভ্যতার মাখোজবল্যকারী পত্ৰ-শ্ৰাদ্ধাধিকারী-নিত্য পিন্ডদান করিতেছে। দঃখের মধ্যে ইহাতেও আৰ্যসভ্যতা মাক্তিলাভ করিল না, আজিও ভূত হইয়া রহিয়াছে। ভরসা। আছে, কোন ঢেকি অচিরাৎ তাহার গয়া করিবে। ঢেকির এই অপরিমেয় মাহাম্ম্যের কারণানসন্ধানে আমি বড় সমাৎসক হইলাম। এ উনবিংশ শতাব্দী, বৈজ্ঞানিক সময়-অবশ্য কারণ অনসন্ধান করিতে হয়। কোথা হইতে ঢেকির এই কাৰ্য্যদক্ষতা! এই পরোপকারে মতি! এই Public spirit ? নবস্তুনা বস্তৃসিদ্ধিঃ ?-বিনা কারণে কি ইহা জন্মে ? অন্যসন্ধানাথ আমি ঢেকিশালে গেলাম। দেখিলাম, ঢেকি খানায় পড়িতেছে। বিন্দমাত্র মদ্যপান করে নাই, তথাপি পািনঃ পানঃ খানায় পড়িতেছে, উঠিতেছে, বিরতি নাই। ভাবিলাম, মহােশমহঃ খানায় পড়াই কি এত মাহীত্ব্যের কারণ ? ঢেকি খানায় পড়ে বলিয়াই কি এত পরোপকারে মতি ? এতটা Public spirit ? ভাবিলাম-না, তাহা কখনই হইতে পারে না। কেন না, আমার রামচন্দ্ৰ ভায়াও দাই বেলা খানায় পড়িয়া থাকেন-কিন্তু কই, তাঁহার ত কিছ মাত্র Public spiritiনাই। শৌখিন্ডকালয়ের বাহিরে ত তাঁহার পরোপকার কিছ দেখিনা। আরও-মনের কথা লাকাইলে কি হইবে ? আমিও-আমি শ্ৰীকমলাকান্ত চক্রবত্তীর্ণ স্বয়ং, একদিন খানায় পড়িয়াছিলাম। দ্রাক্ষারসের বিকারবিশেষের সেবনে আমার এই গৰ্ত্তলোক প্রাপ্তি ঘটে নাই-কারণান্তরে। প্ৰসন্ন গোয়ালিনীগোপাঙ্গনাকুল-কলঙ্কিনী-এক দিন তাহার মঙ্গলা গাইকে ছাড়িয়া দিয়াছিল। ছাড়িবামাত্র মঙ্গলা, উদ্ধৰপিচ্ছে, প্ৰণতশাঙ্গে ধাবমানা! কি ভাবিয়া মঙ্গলা ছটিল তা বলিতে পারি না,- bዖኪታ