পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রচনাবলী মন্দিরাদি নিশ্চমাণ করিয়া জাতীয় কীৰ্ত্তি সকল তাহাতে চিত্ৰিত কারিত। অসভ্য জাতি কেবল আপন প্রতিভাকে সহায় করিয়া যে এত দীর উন্নতি লাভ করে, ইহা অনেক সহস্ৰ বৎসরের কাজ। তাহার পর ঐতিহাসিক কাল অনেক সহস্র বৎসর। অতএব বাহ সহস্ৰ বৎসর হইতে মিসরদেশে মনষ্যজাতি সমাজবদ্ধ হইয়া বাস করিতেছে। সে দশ সহস্ৰ বৎসর, কি ততোধিক, কি তাহার কিছ ন্যান, তাহা বলা যায় না। মিসরদেশ নীলনদী-নিশ্চিমত। বৎসর বৎসর নীলনদীর জলে আনীত কদমরাশিতে এই দেশ গঠিত হইয়াছে। থিবসে, মেফিজ প্রভৃতি নগরী নীলনদীর পলির উপর স্থাপিত হইয়াছিল। এই নদী-কদম-নিশ্চিমত প্রদেশ ১৮৫১ ও ১৮৫৪ সালে রাজব্যয়ে সংযোগ্য তত্ত্বাবধায়কের তত্ত্বাবধারণায় নিখাত হইয়াছিল। নানা স্থানে খনন করা যায়। যেখানে খনন করা হইয়া গিয়াছিল, সেইখান হইতেই ভগ্ন মৎপাত্র, ইস্টকাদি উঠিয়াছিল। এমন কি, ষাট ফিট নীচে হইতে ইন্টক উঠিয়াছিল। সকল স্থানে এইরােপ ইস্টকাদি পাওয়া গিয়াছিল, অতএব ঐ সকল ইন্টক পর্বতন কপাদিনিহিত বলিয়া বিবেচনা করা যায় না। এই সকল খনন-কাৰ্য্য হেকেকিয়ান বে নামক একজন সাঁশিক্ষিত আরমাণিজাতীয় কৰ্ম্মমচারীর তত্ত্বাবধারণায় হইয়াছিল। লিনাণ্টবে নামক অপর একজন কম্পমচারী ৭২ ফিট নিম্পেন্ন ইস্টক প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। মসরে গিরাড অনামান করেন যে, নীলের কদম, শত বৎসরে পাঁচ ইঞি মাত্র নিক্ষিপ্ত হয়। যদি শত বৎসরে পাঁচ ইণি8ও ধরিয়া লওয়া যায়, তাহা হইলে হেকে কিয়ান ৬০ ফিট নীচে যে ইট পাইয়াছিলেন, তাহার বয়ঃক্রম অন্যান দ্বাদশ সহস্ৰ বৎসর। মসরি রজনীর হিসাব করিয়া বলিয়াছেন যে, নীলের কাদা শত বৎসরে ২০ ইঞ্চি মাত্র জমে। যদি এ কথা সত্য হয়, তবে লিনান্টবের ইন্টকের বয়স ত্ৰিশ হাজার বৎসর। অতএব যদি কেহ বলেন যে, ত্ৰিশ হাজার বৎসরেরও অধিক কাল মিসরে মনষ্যের বাস, তবে তাঁহার কথা নিতান্ত প্ৰমাণশান্য বলা যায় না। মিসরে যেখানে, যত দর খনন করা গিয়াছে, সেইখানেই পথিবীস্থ বৰ্ত্তমান জন্তুর অস্থ্যাদি ভিন্ন লিপ্ত জাতির অস্থ্যাদি কোথাও পাওয়া যায় নাই। অতএব যে সকল স্তরমধ্যে লিপ্ত জাতির পাওয়া যায়, তদপেক্ষা এই নীল-কদমস্তর অত্যন্ত আধনিক। আর যদি সেই সকল লপ্ত জন্তুর দেহাবশেষবিশিষ্ট স্তরমধ্যে মনতুষ্যের তৎসহ সমসাময়িকতার চিহ্ন পাওয়া যায়, তবে কত সহস্ৰ বৎসর পথিবীতল মনষ্যের আবাসভূমি, কে তাহার পরিমাণ করিবে ? এরােপ সমসাময়িকতার চিহ্ন ফ্রান্স ও বেলজ্যমে পাওয়া গিয়াছে। ट्रेऊर्वानक ক্ষিতি, অপ, তেজঃ, মরৎ এবং আকাশ, বহকাল হইতে ভারতবর্ষে ভৌতিক সিংহাসন অধিকার করিয়াছিলেন। তাঁহারাই পঞ্চভূত-আর কেহ ভূত নহে। এক্ষণে ইউরোপ হইতে নািতন বিজ্ঞান-শাস্ত্ৰ আসিয়া তাঁহাদিগকে সিংহাসন-চু্যত করিয়াছেন। ভূত বলিয়া আর কেহ তাঁহাদিগকে বড় মানে না। নাতন বিজ্ঞান-শাস্ত্র বলেন, আমি বিলাত হইতে নািতন ভূত আনিয়াছি, তোমরা আবার কে ? যদি ক্ষিত্যাদি জড়সড় হইয়া বলেন যে, আমরা প্রাচীন ভূত, বিলাতী বিজ্ঞান বলেন, তোমরা আদৌ ভূত নও। আমার ‘Elementary Substances” দেখ—তাহারাই ভূত; তাহার মধ্যে তোমরা কই! তুমি, আকাশ, তুমি কেহই নও-সম্প্ৰবন্ধবাচক শব্দ মাত্র। তুমি, তেজঃ, তুমি কেবল একটি ক্রিয়া-গতিবিশেষ মাত্র। আর, ক্ষিতি, অপ, মরৎ, তোমরা এক একজন দই তিন বা ততোধিক ভূতে নিৰ্ম্মিমত। তোমরা আবার কিসের ভূত ? যদি ভারতবর্ষ এমন সহজে ভূতছাড়া হইত, তবে ক্ষতি ছিল না। কিন্তু এখনও অনেকে পঞ্চ ভূতের প্রতি ভক্তিবিশিষ্ট। বাস্তবিক ভূত ছাড়াইলে একটা বিপদগ্ৰস্ত হইতে হয়। ভূতাবাদীরা বালিবেন যে, যদি ক্ষিত্যাদি ভূত নহে, তবে আমাদিগের এ শরীর কোথা হইতে ? কিসে নিশ্চিমত হইল ? নািতন বিজ্ঞান বলেন যে, “তোমাদের পরাণ কথায় একেবারে অশ্রদ্ধা প্রকাশ করিয়া এ প্রশেনর উত্তর দিতে চাহি না। জীব-শরীরের একটি প্রধান ভাগ ষে জল, ইহা অবশ্য সম্বীকার করিব। আর মরতের সঙ্গে শরীরের একটি বিশেষ সম্প্রবন্ধ আছে -এমন কি, শরীরের Տ8Ե