পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী প্রকৃতি-পরিষের সংযোগের উচ্ছিত্তিই অপবগ বা মোক্ষ। তাহা কি প্রকারে প্রাপ্ত 芝G和I T報? সাংখ্যকার বলেন, বিবেকের দ্বারা। কিন্তু কোন প্রকার বিবেকের দ্বারা মোক্ষ লাভ হয় ? প্রকৃতিবিষয়ে যে অবিবেক, সকল অবিবেক তাহার অন্তগত। অতএব প্রকৃতি-পরিষসম্পবিন্ধীয় জ্ঞানদ্বারাই মোক্ষ লাভ হয়। অতএব জ্ঞানেই মাক্ত। পাশ্চাত্য সভ্যতার মল কথা, “জ্ঞানেই শক্তি” (knowledge is power); হিন্দসভ্যতার মল কথা, “জ্ঞানেই মাক্তি”। দই জাতি দাইটি পথক। উদ্দেশ্যানসন্ধানে এক পথেই যাত্ৰা করিলেন। পাশ্চাত্যেরা শক্তি পাইয়াছেন-আমরা কি মাক্তি পাইয়াছি ? বন্ধুতঃ এক যাত্রার যে পথকা ফল হইয়াছে, তাহাতে সন্দেহ নাই। ইউরোপীয়েরা শক্তি-অনসারী, ইহাই তাঁহাদিগের উন্নতির মল। আমরা শক্তির প্রতি যত্নহীন, ইহাই আমাদিগের অবনতির মল। ইউরোপীয়দিগের উদ্দেশ্য ঐহিক; তাঁহারা ইহকালে জয়ী। আমাদিগের উদ্দেশ্য পারিত্রিক-তাই ইহকালে আমরা জয়ী হইলাম না। পরকালে হইব। कि मा, उर्शीवषGझ भऊCख्छन उभाCछ । কিন্তু জ্ঞানেই মাক্তি, এ কথা সত্য হইলেও ইহার দ্বারা ভারতবষের পরম লাভ হইয়াছে বলিতে হইবে। প্রাচীন বৈদিক ধৰ্ম্মম ক্রিয়াত্মক ; প্রাচীন আয্যেরা প্রাকৃতিক শক্তির পজা একমাত্র মঙ্গলোপায় বলিয়া জানিতেন। প্রাকৃতিক শক্তিসকল আতি প্রবল, স্থির, অশাসনায়, কখন মহামঙ্গলকর, কখন মহৎ অমঙ্গলের কারণ দেখিয়া প্রথম জ্ঞানীরা তাহাদিগকে ইন্দ্র, বরুণ, মরৎ, অগ্নি প্রভূত দেবতা কলপনা করিয়া তাহাদিগের ঘুতি এবং উপাসনা করেন। ক্রমে তাহাদিগের প্রীত্যৰ্থ যাগ যজ্ঞাদির বড় প্রবলতা হইল। অবশেষে সেই সকল যাগ যজ্ঞাদিই মনষ্যের প্রধান কাৰ্য্য এবং পারিত্রিক সখের একমাত্র উপায় বলিয়া, লোকের একমাত্র অনন্ঠেয় হহয়া পীড়ল। শাস্ত্ৰসকল কেবল তৎসমদায়ের আলোচনাথ সন্ট হইল-প্রকৃত জ্ঞানের প্রতি আষ্যজাতির তােদশ মনোযোগ হইল না। বেদের সংহিতা, ব্রাহ্মণ, উপনিষৎ, আরণ্যক এবং সত্ৰগ্ৰন্থসকল কেবল ক্রিয়াকলাপের কথায় পরিপািণ । যে কিছ প্রকৃত জ্ঞানের চচ্চা হইত, তাহা কেবল বেদের আনষঙ্গিক বলিয়াই। সে সকল শাস্ত্ৰ বেদাঙ্গ বলিয়া খ্যাত হইল। জ্ঞান এইরপে ক্রিয়ার দাসত্বশািণ্ডখলে বদ্ধ হওয়াতে তাহার উন্নতি হইল না। কৰ্ম্মম জন্য মোক্ষ, এই বিশ্বাস ভারতভূমে অপ্রতিহত থাকাতেই এরাপ ঘাঁটিয়াছিল। প্রকৃত জ্ঞানের আলোচনার অভাবে বেদাভক্তি আরও প্রবলা হইল। মনষ্যচিত্তের স্বাধীনতা একেবারে লিপ্ত হইতে লাগিল। মনষ্যে বিবেকাশন্য মন্ত্রমািন্ধ শঙ্খলাবদ্ধ পশবৎ হইয়া উঠিল। সাংখ্যকার বললেন, কৰ্ম্মম অর্থাৎ হোম যাগাদির অনন্ঠান পরিষার্থী নহে। জ্ঞানই পরিষার্থ। জ্ঞানই মাক্তি। কম্পমপীড়িত ভারতবর্ষ সে কথা শানিল। छुडौन ब्रिटच्छय-नीच অতি প্রাচীন কাল হইতে দর্শনশাস্ত্রের উদ্দেশ্য, জগতের আদি কি, তাহা নিরাপিত হয়। আধনিক ইউরোপীয় দাশ নিকেরা সে তত্ত্ব নিরাপণীয় নহে বলিয়া এক প্রকার ত্যাগ করিয়াছেন। জগতের আদি সম্পবন্ধে প্রথম প্রশন এই যে, জগৎ সস্ট, কি নিত্য। অনাদিকাল এইরাপ আছে, না কেহ তাহার সােজন করিয়াছেন ? অধিকাংশ লোকের মত এই যে, জগৎ সম্পন্ট, জগৎকত্তা। একজন আছেন। সামান্য ঘাট-পটাদি একটি কত্তা ব্যতীত হয় না; তবে এই অসীম জগতের কত্তা নাই, ইহা কি সম্ভবে ? আর এক সম্প্রদায়ের লোক আছেন; তাঁহারা বলেন যে, এই জগৎ যে সন্ট বা ইহার কেহ। কত্তা আছেন, তাহা বিবেচনা করিবার কারণ নাই। ইহাদের সচরাচর নাস্তিক বলে; কিন্তু নাস্তিক বলিলেই মাচু বঝায় না। তাঁহারা বিচারের দ্বারা আপন পক্ষ সমর্থনা করিতে চেন্টা করেন। সেই বিচার অত্যন্ত দরহে, এবং এ স্থলে তাহার পরিচয় দিবার কোন প্রয়োজন নাই। তবে একটি কথা মনে রাখিতে হইবে যে, ঈশ্বরের অস্তিত্ব একটি পথক তত্ত্ব, সন্টিপ্রক্রিয়া SBDDB BBDB BB BDDSS DDBBDuuDuD DBB BB BDBSBDD BBDB DDDS DD BDDDD RR 9