পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঁচশ শ্ৰীমদভাগবদগীতা: বঙ্কিমচন্দ্ৰ শ্ৰীমদভগবদগীতাকে পথিবীর যাবতীয় ধৰ্ম্মমগ্রন্থের মধ্যে শ্ৰেষ্ঠতম স্থান দিয়াছেন। কাজেই ধৰ্ম্মশাস্ত্র আলোচনা কালে তিনি ইহার আলোচনায়ও ষে লিপ্ত হইবেন তাহা সহজেই অন্যমেয়। বস্তৃত্যুঃ ১২৯৩, শ্রাবণ সংখ্যা ‘প্রচারে' তিনি ইহার ব্যাখ্যান আরম্ভ করিয়া দিয়াছিলেন। গীতার মাত্র দ্বিতীয় অধ্যায়৷ পয্যন্ত ব্যাখ্যান ১২৯৫ বঙ্গাব্দের ফাল্গন সংখ্যায় সমাপ্ত হয়। ইহার পর তৎকৃত গীতা-ব্যাখ্যা আর কোথাও প্রকাশিত হয় নাই। কিন্তু চতুৰ্থ অধ্যায়ের ১৯শ শ্লোক পৰ্যন্ত ব্যাখ্যান পাণ্ডুলিপি অবস্থায় ছিল। বঙ্কিমচন্দ্রের মাতুর পরে ১৯০২ খ্ৰীষ্টাব্দে তাঁহার দৌহিত্র দিব্যেন্দািসন্দর বন্দ্যোপাধ্যায় ‘প্রচারে প্রকাশিত এবং পাশতুলিপি অবস্থায় প্রাপ্ত অংশ কালীপ্রসন্ন সিংহকৃত অবশিষ্ট ভাগের মািল ও অন্যবাদদ্বারা সম্পণ করিয়া পান্তকাকারে প্রকাশ করেন। এখানে বঙ্কিমকৃত অংশই মদ্রাণপ্ৰমাদ সংশোধনান্তর প্রকাশিত হইল। হীরেন্দ্রনাথ পাবোল্লিখিত পন্তকে ‘বঙ্কিমচন্দ্র ও ভগবদগীতা’ এবং "বঙ্কিমচন্দ্র ও গীতার ধৰ্ম্ম।” শীর্ষক দাইটি অধ্যায়ে বঙ্কিমচন্দ্র-ব্যাখ্যাত গীতাতত্ত্বের বিশদ আলোচনা করিয়াছেন। যৌবনে হীরেন্দ্রনাথ বঙ্কিমচন্দ্ৰ প্ৰমখাৎ গীতা সম্বন্ধে যে সব মন্তব্য শনিয়াছিলেন তাহা উক্ত পর্যন্তকের পরিশিলেট গীতার কথায় উদ্ধত করিয়াছেন। ইহা হইতে জানা যায় যে, বঙ্কিমচন্দ্রের দািঢ় ধারণা ছিল দ্বাদশ অধ্যায়ে বিশ্বরপ দর্শনের পরই গীতার পরিসমাপ্তি, অবশিষ্ট ছয় অধ্যায়। পরবত্তীর্ণ কালের সংযোজন। দত্তজা বলেন, মাল ভগবদগীতার “অধ্যায় ও শ্লোক সংস্থান” (arrangement) অন্যরােপ ছিল। গীতার বাৰ্ত্তমান আকারে পািনঃ সংস্থানের সময় কতকগলি শ্লোক বিপৰ্য্যস্ত হইয়া দ্বাদশা হইতে অষ্টাদশ অধ্যায়ের স্থানে স্থানে নিবদ্ধ হইয়াছে। কিন্তু তথাপি বঙ্কিমবাবর একথা ঠিক যে, বিশ্বরপদশান অধ্যায়েই গীতার পরিসমাপ্তি।" (“দার্শনিক বঙ্কিমচন্দ্র” (৫) পরিশিষ্ট, প, ২১৫) দেবতত্ত্ব ও হিন্দধৰ্ম্মম : এখানি বঙ্কিমচন্দ্রের জীবিত কালে পাস্তকাকারে তো গ্রথিত হয়ই নাই, সাহিত্য-পরিষৎ-সংস্করণ প্রকাশের পতব্দের্ব ইহার অস্তিত্ব সম্পবন্ধেও কেহ কোনরাপ আলোচনা করেন নাই। অথচ “কৃষ্ণচরিত্রে”'র। “প্ৰথমবারের বিজ্ঞাপনে” দেবতত্ত্ববিষয়ক রচনাটির সম্পন্ট উল্লেখ আছে। ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে এই রচনাটি ‘প্রচারে” প্রথম ও দ্বিতীয় বিষে ধারাক্রমে বঙ্কিমচন্দ্র প্রকাশিত করেন। ১৩৪৫ বঙ্গাব্দের ২৯শে শ্রাবণ শ্ৰীীরামপাের মহকুমা বঙ্কিমশতবার্ষিকী উৎসবের সভাপতির অভিভাষণে শ্ৰীযক্ত সজনীকান্ত দাস সব্বপ্রথম বঙ্কিমচন্দ্রের এই রচনাটির অস্তিত্বের কথা সাধারণের গোচরে আনেন। এই পাস্তকের নামকরণও তাঁহারই। বঙ্কিমচন্দ্র এই চারিখানি গ্রন্থে জীবদ্দশায় যতদর সম্ভব ধৰ্ম্মশাস্ত্র সম্পবন্ধে আলোচনা করিয়া গিয়াছেন এবং ইহা করিয়াছেন সমসাময়িকদের ভাষায় তাঁহাদের উপযোগী করিয়া। శా শাস্ত্রালোচনা সম্পবন্ধে রমেশচন্দ্র দত্তের উক্তি উল্লেখ করিয়া 'বত্তমান আলোচনা শেষ র শেষ দশ বৎসর তিনি ধৰ্ম্ম সম্পবন্ধে অনেক আলোচনা করিয়াছিলেন। তিনি হিন্দধমের য্যেরােপ আলোচনা করিয়াছেন, তাহা আধনিক সময়ের একটি লক্ষণ-একটি চিহ্নস্বরূপ। অনৈক্য স্থলে ঐক্য সংগঠন, অনাদার মত ও আচারের স্থলে উদার মত ও আচার সংস্থাপন, নিজীবি অনঙ্গঠানের স্থলে প্রাচীন ধর্মের সঞ্জীবনী শক্তি প্রচারকরণ, অজ্ঞানতার ও মােখাঁতার স্থলে হিন্দধমের জ্ঞানবিতরণ, অবনতির স্থলে উন্নতির পথ প্রদর্শন-এইরাপ ইচ্চা, এইরূপ ভাব, এইরাপ। আশা, আজি বঙ্গসমাজে কিছ কিছল অনভূত হইতেছে। বঙ্কিমচন্দ্রের ধৰ্ম্মম সম্বন্ধীয় গ্রন্থগলি এই ইচ্ছা, এই ভাব ও এই আশার বিকাশ মাত্র। বঙ্গদেশীয় হিন্দগণ ক্রমশঃ ঐক্যলাভ করিতে শিখিতেছেন-প্রাচীন ধৰ্ম্মজ্ঞান এবং উদার আচার ও অনন্ঠান সেই ঐক্য সাধনের একমাত্র মন্ত্র।” (“সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা”, ১ম ভাগ, SN 7 Rwyf ger Kef, Sebos) এই ভাগে “সম্পাদিত গ্রন্থের ভূমিকা”, “সাময়িক পত্রে প্রকাশিত ও পািকস্তকাকারে অপ্রকাশিত রচনা”, “পত্রাবলী” এবং “সহজ রচনা শিক্ষা” সন্নিবেশিত হইয়াছে। বহল সম্পাদিত rrB DDBD DDBDBuBu DiD DBDSBDD DBBD DBDBDuuD BBSS BuBuBuuBu uBDDS YzuBS StBDBBD S DLLB sBBDuSBBiuBBB BsBB LBSLL0L BBSSDDD স্বতন্ত্র পত্তিকাকারে “রায় দীনবন্ধ মিত্র বাহাদরের জীবনী” শিরোনামে, ১২৮৪ সালে প্রকাশিত