পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ প্ৰবন্ধ-বঙ্গদেশের কৃষক छुङौंम्न अब्रिटप्छन—आङ्र्गऊक निम्नश्व আমরা জমীদারের দোষ দিই বা রাজার দোষ দিই, ইহা অবশ্য সবীকার করিতে হইবে যে, বঙ্গদেশের কৃষকের দদশা আজি কালি হয় নাই। ভারতবষীয় ইতর লোকের অবনতি ধারাবাহিকা; যত দিন হইতে ভারতবর্ষের সভ্যতার সন্টি, প্রায় তত দিন হইতে ভারতবষীয় কৃষকদিগের দন্দশার সত্রপাত। পাশ্চাত্যেরা কথায় বলেন, একদিনে রোমনগরী নিশ্চিমত হয় নাই। এদেশের কৃষকদিগের দন্দ শাও দাই এক শত বৎসরে ঘটে নাই। আমরা পাব পরিচ্ছেদে বলিয়াছি, হিন্দ,রাজার রােজ্যাকালে রাজা কর্তৃক প্রজাপীড়ন হইত না; কিন্তু তাহাতে এমন বঝায় না যে, তৎকালে প্ৰজাদিগের বিশেষ সৌষ্ঠব ছিল। এখন রাজার প্রতিনিধিস্বরপ অনেক জমীদারে প্রজাপীড়ন করেন; তখন আর এক শ্রেণীর লোকে পীড়িত করিত। তাহারা কে, তাহা পশ্চাৎ বলিতেছি। কি কারণে ভারতবর্ষের প্রজা চিরকাল উন্নতিহীন, আদ্য আমরা তাহার অন্যাসন্ধানে প্রবত্ত হইব। বঙ্গদেশের কৃষকের অবস্থানসন্ধানই আমাদের মােখ্য উদ্দেশ্য। কিন্তু অদ্য যে সকল ঐতিহাসিক বিবরণে আমরা প্রবত্ত হইতেছি, তাহা যত দীর বঙ্গদেশের প্রতি বত্তে, সমদায় ভারতবর্ষের প্রতি তত দীর বত্তে। বঙ্গদেশে তৎসমদায়ের যে ফল ফলিয়াছে, সমগ্ৰ ভারতে সেই ফল ফলিয়াছে। বঙ্গদেশ ভারতের একটি খন্ডমাত্র বলিয়া তথায় সেই ফল ফলিয়াছে। এবং সেই ফল কেবল কৃষিজীবীর কপালেই ফলিয়াছে, এমত নহে; শ্রমজীবীমাত্রেই সমভাগে সে ফলভোগী। অতএব আমাদিগের এই প্রস্তাব, ভারতীয় শ্রমজীবী প্রজামাত্র সম্পবন্ধে অভিপ্রেত বিবেচনা করিতে হইবে। কিন্তু ভারতীয় শ্রমজীবীর মধ্যে কৃষিজীবী এত অধিক যে, অন্য শ্রমজীবীর অস্তিত্ব এ সকল আলোচনার কালে সমরণ রাখা না রাখা সমান। জ্ঞানবিদ্ধিই যে সভ্যতার মল এবং পরিমাণ, ইহা বকল কর্তৃক সপ্রমাণ হইয়াছে। বাকল বলেন যে, জ্ঞানিক উন্নতি ভিন্ন নৈতিক উন্নতি নাই। সে কথায় আমরা অন্যামোদন করি না। কিন্তু জ্ঞানিক উন্নতি যে সভ্যতার কারণ, এ কথা অবশ্য সত্বীকার করিতে হইবে। জ্ঞানের উন্নতি না হইলে সভ্যতার উন্নতি হইবে না। জ্ঞান আপনি জন্মে না; অতিশয় শ্রমলভ্য। কেহ যদি বিদ্যালোচনায় রত না হয়, তবে সমাজমধ্যে জ্ঞানের প্রকাশ হইবে না। কিন্তু বিদ্যালোচনার পক্ষে অবকাশ আবশ্যক। বিদ্যালোচনার পকেব। উদারপোষণ চাই; অনাহারে কেহই জ্ঞানালোচনা করিবে: না। যদি সকলকেই আহারান্বেষণে ব্যতিব্যস্ত থাকিতে হয়, তবে কাহারও জ্ঞানালোচনার অবকাশ হয় না। অতএব সভ্যতার সন্টির পক্ষে প্রথমে আবশ্যক যে, সমাজমধ্যে একটি সম্প্রদায় শারীরিক শ্রম ব্যতীত আত্মভরণপোষণে সক্ষম হইবেন। অন্যে পরিশ্রম করিবে, তাঁহারা বসিয়া বিদ্যালোচনা করিবেন। যদি শ্রমজীবীরা সকলেই কেবল আত্মভরণপোষণের যোগ্য খাদ্যোৎপন্ন করে, তাহা হইলে এরাপ ঘটিবে না। কেন না, যাহা জন্মিবে, তাহা শ্রমোপজীবীদের সেবায় যাইবে, আর কাহারও জন্য থাকিবে না। কিন্তু যদি তাহারা আত্মভরণপোষণের প্রয়োজনীয় পরিমাণের অপেক্ষা অধিক উৎপাদন করে, তবে তাহাদিগের ভরণপোষণ বাদে কিছ সঞ্চিত হইবে। তন্দ্বারা শ্রমবিরত ব্যক্তিরা প্রতিপালিত হইয়া বিদ্যানশীলন করিতে পারেন। তখন জ্ঞানের উদয় সম্ভব। উৎপাদকের খাইয়া পরিয়া যাহা রহিল, তাহাকে সঞ্চয় বলা যাইতে পারে। অতএব সভ্যতার উদয়ের পকেবা প্ৰথমে আবশ্যক-সামাজিক ধন সঞ্চয়। কোন দেশে সামাজিক ধন সঞ্চয় হয়, কোন দেশে হয় না। যেখানে হয়, সে দেশ সভ্য হয়। যে দেশে হয় না, সে দেশ অসভ্য থাকে। কি কি কারণে দেশবিশেষে আদিম ধনসাগুয়া হইয়া থাকে? দাইটি কারণ সংক্ষেপে নিন্দিািট করা যাইতে পারে। প্রথম কারণ, ভূমির উর্বরতা। যে দেশের ভূমি উকবােরা, সে দেশে সহজে অধিক শস্য উৎপন্ন হইতে পারে। সতরাং শ্রমপোজীবীদিগের ভরণপোষণের পর আরও কিছ অবশিষ্ট থাকিয়া সঞ্চিত হইবে। দ্বিতীয় কারণ, দেশের উষ্ণতা বা শীতলতা। শীতোষ্ণতার ফল দ্বিবিধ। প্রথমতঃ, যে দেশ উষ্ণ, সে দেশের লোকের অলপাহার আবশ্যক, শীতল দেশে অধিক আহার আবশ্যক। এই কথা কতকগালিন স্বাভাবিক নিয়মের উপর নিভাির করে, তাহা এই ক্ষদ্র প্রবন্ধে লিখিবার স্থান নাই। আমরা এতদংশ বকলের গ্রন্থের অন্যবিত্তী হইয়া লিখিতেছি; কোঁত হলাবিন্স্ট পাঠক সেই গ্রন্থে দেখিবেন যে, যে দেশের লোকের সাধারণতঃ অলপ খাদ্যের প্রয়োজন, সে দেশে শীঘ্ৰ যে সামাজিক Ridd