পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিজ রচনাবলী বধ ও কৌশিবধকে সেরাপে উড়াইয়া দেওয়া যায় না। বিশেষ এই কেশিবধবত্তান্ত অথব্বসংহিতায় আছে বলিয়াছি। সেখানে কেশীকে কৃষ্ণকেশী বলা হইয়াছে। কৃষ্ণকেশী অর্থে যার BDBBD OO S SDDBBBDBDBLBD DD BBBBBDD DDDS SBB DOBDS SDDD DBDDSSS s কেশী দেব কে, তাহা অনিশ্চিত। ইহার চতুর্থ ও পঞ্চম ঋক হইতে এমন বঝা যায় যে, হয়ত মনিই কেশী-দেবতা। মনিগণ লম্বা লম্বা চুল রাখিতেন। ঐ দাই ঋকে মনিগণেরই প্রশংসা করা হইতেছে। Muir সাহেবও সেইরােপ বঝিয়াছেন। কিন্তু প্ৰথম ঋকে, অন্যপ্রকার ব্যবস্থান হইয়াছে। প্রথম ঋক রমেশ বাব এইরূপ বাঙ্গালা অন্যবাদ করিয়াছেন :- “কেশী নামক যে দেব, তিনি অগ্নিকে, তিনিই জলকে, তিনি ভূলোক ও দ্যলোককে ধারণ সংসারকে কেশীই আলোকের দ্বারা দশনযোগ্য করেন। এই যে জ্যোতি, ইহার ga" তাহা হইলে, জগদ্ব্যঞ্জক যে জ্যোতি, তাহাই কেশী। এবং জগাদাবরক যে জ্যোতি, তাহাই কৃষ্ণকেশী। কৃষ্ণ তাহারই নিধনকৰ্ত্তা, অর্থাৎ কৃষ্ণ জগাদাবরাক তমঃ প্রতিহত করিয়াছিলেন। এইখানে বান্দাবনলীলার পরিসমাপ্তি। এক্ষণে আলোচ্য যে, আমরা ইহার ভিতর পাইলাম কি ? ঐতিহাসিক কথা কিছই পাইলাম ' না বলিলেই হয়। এই সকল পৌরাণিক কথা অতিপ্ৰাকৃত উপন্যাসে পরিপািণ । তাহার ভিতর ঐতিহাসিক তত্ত্ব অতি দলভ। আমরা প্রধানতঃ ইহাই পাইয়াছি যে, কৃষ্ণ সম্পবন্ধে যে সকল প্ৰবাদ আছে-চোরবাদ এবং পরদারবাদ —সে সকলই অমলেক ও অলীক। ইহাই প্ৰতিপন্ন করিবার জন্য আমরা এত সবিস্তারে ব্ৰজলীলার সমালোচনা করিয়াছি। “ ঐতিহাসিক তত্ত্ব যদি কিছ পাইয়া থাকি, তবে সেটকু এই-- অত্যাচারকারী কংসের ভয়ে বসদেব আপন পত্নী রোহিণী এবং পত্রদ্বয় রাম ও কৃষ্ণকে নন্দালয়ে গোপনে রাখিয়াছিলেন। কৃষ্ণ শৈশব ও কৈশোর সেইখানে অতিবাহিত করেন। তিনি শৈশবে রােপলাবণ্যে এবং শিশসলভ গণসকলে সব্বজনের প্রিয় হইয়াছিলেন। কৈশোরে তিনি অতিশয় বলশালী হইয়াছিলেন এবং বান্দাবনের অনিষ্টকারী পশ্য প্রভৃতি হনন করিয়া গোপালগণকে সব্বদা রক্ষা করিতেন। তিনি শৈশবাবধিই সব্বজন এবং সব্বজীবে কারণ্যপরিপািণসকলের উপকার করিতেন। গোপালগণ। প্রতি এবং গোপবালিকাগণ প্রতি তিনি স্নেহশালী ছিলেন। সকলের সঙ্গে আমোদ আহমাদ করিতেন এবং সকলকে সন্তুষ্ট রাখিতে চেন্টা করিতেন, এবং কৈশোরেই প্রকৃত ধৰ্ম্মতত্ত্বও তাঁহার হৃদয়ে উদ্ভাসিত হইয়াছিল। এতটুকু ঐতিহাসিক তত্ত্বও যে পাইয়াছি, ইহাই সাহস করিয়া বলিতে পারি না। তবে ইহাও বলিতে পারি যে, ইহার বেশি আর কিছ নয়। 86