পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বরং সেই অর্থই সঙ্গত বোধ হয়। অতএব জাম্ববতী ও রোহিণী একই। বাকি থাকিল। 甘 否可日 সত্যভামা ও সত্যাও এক। তাহার প্রমাণ উদ্ধত করিতেছি। সত্ৰাজিত বধের কথার উত্তরে “কৃষ্ণঃ সত্যভামামমৰ্যতামলোচনঃ প্রাহ, সত্যে, মমৈষাবহাসনা।” অর্থাৎ কৃষ্ণ ক্রোধােরক্ত লোচনে সত্যভামাকে বলিলেন, “সত্যে! ইহা আমারই অবহােসনা।” পানশাচ পশ্চিমাংশের ৩o অধ্যায়ে, পারিজাতহরণে কৃষ্ণ সত্যভামাকে বলিতেছেন “সত্যে! যথা ত্বমিত্যুক্তং ত্বয়া কৃষ্ণাসকৃৎপ্রিয়ম।” আব্যশক হইলে, আরও ভুরি ভুরি প্রমাণ দেওয়া যাইতে পারে। ইহা যথেষ্ট। অতএব এই দশ জনের মধ্যে, সত্যা সত্যভামারই নােম বলিয়া পরিত্যাগ করিতে হইল। এখন আট জন পাই। যথা ७ । झक्षिभौ । ( । काकिनी & । नउठाभा ৬ । মিত্ৰবিন্দা ৩ । জাম্ববতী a । भानी ৪ । শৈব্যা ४ । स्त्राब्लशामिनी व्नकाधा ইহার মধ্যে পাঁচ জন-শৈব্যা, কালিন্দী, মিত্ৰাবিলদা, লক্ষণা ও মাদ্রী সশীলা-ই হারা তালিকার মধ্যে আছেন মাত্র। ইহাদের কখনও কাষক্ষেত্রে দেখিতে পাই না। ইহাদের কাবে বিবাহ হইল, কেন বিবাহ হইল, কেহ কিছ বলে না। কৃষ্ণজীবনে ইহাদের কোন সংস্পশ নাই। ইহাদের পত্রের তালিকা কৃষ্ণপত্রের তালিকার মধ্যে বিষ্ণপরিাণকার লিখিয়াছেন বটে, কিন্তু তাঁহাদিগকে কখনও কম ক্ষেত্রে দেখি না। ইহারা কাহার কন্যা, কোন দেশসম্পভূতা, তাহার কোন কথা কোথাও নাই। কেবল, সশীলা মদ্ররাজকন্যা, ইহাই আছে। কৃষ্ণের সমসাময়িক মদ্ররাজ, নকুল সহদেবের মাতুল, কুরুক্ষেত্রের বিখ্যাত রথী শিল্য। তিনি ও কৃষ্ণ কুর ক্ষেত্রে সপ্তদশ দিন, পরস্পরের শত্র“সেনা মধ্যে অবস্থিত। অনেক বার তাঁহাদের সাক্ষাৎ হইয়াছে। কৃষ্ণ সম্পবিন্ধীয় অনেক কথা শল্যকে বলিতে হইয়াছে, শল্য সম্পবিন্ধীয় কথা কৃষ্ণকে বলিতে হইয়াছে। কৃষ্ণ সম্বন্ধীয় অনেক কথা শল্যকে শনিতে হইয়াছে, শল্য সম্পবিন্ধীয় অনেক কথা কৃষ্ণকেও শনিতে হইয়াছে। এক পলক জন্য কিছুতেই প্রকাশ নাই যে, কৃষ্ণ শিল্যের জামাতা, বা ভগিনীপতি, বা তাদশ কোন সম্বন্ধবিশিস্ট। সম্বন্ধের মধ্যে এইটকু পাই যে, শল্য কণাকে বলিয়াছেন, ‘অজািন ও বাসদেবকে এখনই বিনাশ করা”। কৃষ্ণও যাধিস্ঠিরকে শল্যবধে নিবন্ত করিয়া তাহার যমস্বরপ হইলেন। কৃষ্ণ যে মাদ্রীকে বিবাহ করিয়াছিলেন, ইহা সম্পণে মিথ্যা বলিয়াই বোধ হয়। শৈব্যা, কালিন্দী, মিত্ৰবিন্দা এবং লক্ষণার কুলশীল, দেশ এবং বিবাহবক্তান্ত কিছই কেহ জানে না। তাঁহারাও কাব্যের অলঙ্কার, সে বিষয়ে আমার সংশয় इश्क का । কেন না, কেবল মাদ্রী নয়, জাম্ববতী রোহিণী ও সত্যভামাকেও ঐরােপ দেখি। জাম্ববতীর সঙ্গে কালিন্দী প্রভৃতির প্রভেদ এই যে, তাঁহার পত্র শালেবর নাম, আর পাঁচ জন যাদবের সঙ্গে মধ্যে মধ্যে দেখা যায়। কিন্তু শাম্পব কাৰ্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ কেবল এক লক্ষণাহরণে। লক্ষণা দায্যোধনের কন্যা। মহাভারতে যেমন পান্ডবদিগের জীবনবত্ত, তেমনি কৌরবদিগেরও জীবনবত্ত। লক্ষণাহরণে যদি কিছ: সত্য থাকিত, তবে মহাভারতে লক্ষণাহরণ থাকিত। তাহা নাই। লক্ষণাহরণ ভিন্ন যদ্যবংশধৰংসেও শাস্বের নায়কতা দেখা যায়। তিনিই পেটে মসল জড়াইয়া মেয়ে সাজিয়াছিলেন। আমি এই গ্রন্থের সপ্তম খন্ডে বলিয়াছি যে, এই মৌসলপিব প্রক্ষিপ্ত। মােসল-ঘটিত বত্তোন্তটা অতিপ্রকৃত, এজন্য পরিত্যাজ্য। জাম্ববতীর বিবাহের পরে সভদ্রার বিবাহ-অনেক পরে। সভদ্রার পৌত্র পরিক্ষিৎ যখন ৩৬ বৎসরের, তখন যদ বংশধবংস। সতরাং যদৱবংশধৰ্ব্বংসের সময় শািম্পব প্রাচীন। প্রাচীন ব্যক্তির গাভিাণী সাজিয়া ঋষিদের ঠকাইতে যাওয়া অসম্ভব। জাম্ববতী নিজে ভল্পের্ক কন্যা, ভল্লকী। ভল্ল কী কৃষ্ণভাব বা কোন মানষের ভাব্য হইতে পারে না। এই জন্য রোহিণীকে কামরূপিণী বলা হইয়াছে। BDBDBu BDBDB DDSDBDBDBuDu uBB DDDDuu DB uBDuDBD DBDDBu uBDBuDuuB 8)