পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ܚܣܩܚܣܒܝܣܚܩ BDB BDBDDB DBS DBBDS BBDS BDDS DBS DDuDBS BBDS DBDBS DB DS uB D সন্তোষ প্রভৃতি সমদায় গণাবলী কৃষ্ণে নিয়ত বিরাজিত রহিয়াছে। অতএব সেই সব্বগণসম্পন্ন আচাষ্য, পিতা ও গারস্বরপ পজিাহা কৃষ্ণের প্রতি ক্ষমা প্রদশর্তন তোমাদের সবাতোভাবে কৰ্ত্তব্য। তিনি ঋত্বিক, গর, সম্প্ৰবন্ধী, স্নাতক, রাজা এবং প্রিয়পাত্র। এই নিমিত্ত অচ্যুত অচিত হইয়াছেন।”* পােনশচ দেবত্ববাদ, এবং সম্পূর্বভূতের অধীশ্বর, সতরাং পরমপজনীয়, তাহাতে আর সন্দেহ কি ? বদ্ধি, মন, মহত্ত্ব, পথিব্যাদি পশ্চ ভূত, সমদায়ই একমাত্র কৃষ্ণে প্রতিষ্ঠিত আছে। চন্দ্র, সােয্য, গ্রহ, নক্ষত্র, দিক বিদিক সমদায়ই একমাত্র কৃষ্ণে প্রতিষ্ঠিত আছে। ইত্যাদি।” ভীস্ম বলিয়াছেন, কৃষ্ণের পাজার দাইটি কারণ-(১) যিনি বলে সৰবশ্রেষ্ঠ, (২) তাঁহার তুল্য বেদবেদাঙ্গপারদশী কেহ নহে। অদ্বিতীয় পরাক্রমের প্রমাণ এই গ্রন্থে অনেক দেওয়া গিয়াছে। কৃষ্ণের অদ্বিতীয় বেদজ্ঞতার প্রমাণ গীতা। যাহা আমরা ভগবদগীতা বলিয়া পাঠ করি, তাহা কৃষ্ণ-প্রণীত নহে। উহা ব্যাস-প্রণীত বলিয়া খ্যাত-“বৈয়াসিকী সংহিতা" নামে পরিচিত। উহার প্রণেতা ব্যাসই হউন আর যেই হউন, তিনি ঠিক কৃষ্ণের মখের কথাগালি নোট করিয়া রাখিয়া ঐ গ্রন্থ সঙ্কলন করেন নাই। উহাকে মৌলিক মহাভারতের অংশ বলিয়াও আমার বোধ হয় না। কিন্তু গীতা কৃষ্ণের ধৰ্ম্মমমতের সঙ্কলন, ইহা আমার বিশ্বাস। তাঁহার মতাবলম্পবী কোন মনীষী কর্তৃক উহা এই আকারে সঙ্কলিত, এবং মহাভারতে প্ৰক্ষিপ্ত হইয়া প্রচারিত হইয়াছে, ইহাই সঙ্গত বলিয়া বোধ হয়। এখন বলিবার কথা এই যে, গীতোক্ত ধৰ্ম্মম যাঁহার প্রণীত, তিনি সম্পন্সন্টতঃই অদ্বিতীয় বেদবিং পন্ডিত ছিলেন । ধৰ্ম্মম সম্বন্ধে তিনি বেদকে সব্বোচ্চ স্থানে বসাইতেন না-কখন বা বেদের একটি একটা নিন্দা করিতেন। কিন্তু তথাপি অদ্বিতীয় বেদজ্ঞ ব্যতীত অন্যের দ্বারা গীতোক্ত ধৰ্ম্মম প্রণীত হয় নাই, ইহা যে গীতা ও বেদ উভয়ই অধ্যয়ন করে, সে অনায়াসেই বঝিতে পারে। যিনি এইরূপ, পরাক্রমে ও পান্ডিত্যে, বীৰ্য্যে ও শিক্ষায়, কম্মেম ও জ্ঞানে, নীতিতে ও ধন্মে, দয়ায় ও ক্ষমায়, তুল্যর পেই সব শ্রোিঠ, তিনিই আদশ পরিষ। দশম পরিচ্ছেদ-শিশপালবধ ভীস্ম কথা সমাপ্ত করিয়া, শিশপালকে নিতান্ত অবজ্ঞা করিয়া বলিলেন, “যদি কৃষ্ণের পজা শিশাপালের নিতান্ত অসহ্য বোধ হইয়া থাকে, তবে তাঁহার যেরপ অভিরুচি হম, করন।” ऊथी९ 'छाळल ना ढाका, ऐठंक्षा श्वाG ।' পরে মহাভারত হইতে উদ্ধত করিতেছি :- “কৃষ্ণ অচ্চিত হইলেন দেখিয়া সনীথনামা এক মহাবল পরাক্রান্ত বীরপরিষ ক্ৰোধে কম্পান্বিতকলেবর ও আরক্তনেত্ৰ হইয়া সকল রাজগণকে সম্বোধন পৰ্যবেক কহিলেন, “আমি পবে সেনাপতি ছিলাম, সম্প্রতি যাদব ও পান্ডবকুলের সমালোমিলন করিবার নিমিত্ত অদ্যই সমরসাগরে অবগাহন করিব।” চেন্দিরাজ শিশপাল, মহীপালগণের অবিচলিত উৎসাহ সম্প্রদর্শনে প্রোৎসাহিত হইয়া যজ্ঞের ব্যাঘাত জন্মাইবার নিমিত্ত তাঁহাদিগের সহিত মন্ত্রণা করিতে লাগিলেন, যাহাতে যাধিস্ঠিরের অভিষেক এবং কৃষ্ণের পজা না হয়, তাহা আমাদিগের সবাতোভাবে কত্তব্য। রাজারা নিকোবাদ প্রযক্ত ক্ৰোধাপরবশ হইয়া মন্ত্রণা করিতেছেন দেখিয়া কৃষ্ণ পদ্টই বঝিতে পারিলেন যে, তাঁহারা যাদ্ধাৰ্থ পরামর্শ করিতেছেন।” রাজা যধিষ্ঠির সাগরসদশে রাজমন্ডলকে রোষপ্রচলিত দেখিয়া প্রাজ্ঞতম পিতামহ ভীষ্মমকে সম্বোধন করিয়া কহিতে লাগিলেন, “হে পিতামহ ! এই মহান রাজসমদ্র সংক্ষোভিত হইয়া উঠিয়াছে, এক্ষণে যাহা কৰ্ত্তব্য হয়, অনািমতি করন।”

  • প্রথম অধ্যায়ে যাহা বলিয়াছি-অনশীলনধৰ্ম্মেমরি চরমাদশ শ্ৰীকৃষ্ণ, এই ভীমোক্তিতে তাহা পরিস্কৃত হইতেছে।

dBð