পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बकिकम ब्रा5नाबजी এখানে ইহাও বক্তব্য যে, “এই জমদগ্ন পরাশরাম কৃষ্ণের সমসাময়িক বলিয়া বৰ্ণিত হইয়াছেন। রামায়ণে আবার তিনি রামচন্দুের সমসাময়িক বলিয়া বাণিত হইয়াছেন। অথচ পরাণে তিনি রাম কৃষ্ণ উভয়েরই পৰ্ব্বগামী বিষ্ণর অবতারান্তর বলিয়া খ্যাত। পরাণের দশাবতারবাদ কত দীর সঙ্গত, তাহা আমরা গ্রন্থান্তরে বিচার করিব। এই হস্তিনাযাত্রার বর্ণনায় জানা যায় যে, কৃষ্ণ নিজেও সাধারণ প্রজার নিকটেও পাজ্য ছিলেন। হস্তিনাযাত্রার বণনা আরও কিছ উদ্ধত করিলাম। “দেবকীনন্দন সব্বশস্যপরিপািণ অতি রম্য সখাপদ পরম পবিত্ৰশালিভবন এবং অতি মনোহর ও হৃদয়তোষণ বহবিধ গ্রাম্যপশ সন্দশন করতঃ বিবিধ পরে ও রাজ্য অতিক্রম করিলেন। কুরকুলসংরক্ষিত নিত্যপ্রহৃস্ট অন্যদ্বিগ্ন ব্যাসনরহিত পরিবাসিগণ কৃষ্ণকে দশন করিবার মানসে উপপ্লব্য নগর হইতে পথিমধ্যে আগমন করিয়া তাঁহার পথ প্রতীক্ষা করিতে লাগিল। ক্ষমতা পরে মহাত্মা বাসদেব সমাগত হইলে তাহারা বিধানানসারে তাঁহার পূজা করিতে গল । “এদিকে ভগবান মরীচিমালী স্বীয় কিরণজাল পরিত্যাগ করিয়া লোহিত কলেবর ধারণ করিলে অরতিনিপাতন মধ্যসািদন বাকস্থলে সমপস্থিত হইয়া সত্বরে রথ হইতে অবতরণপব্বক যথাবিধি শৌচ সমাপন্যান্তে রথাশ্বমোচনে আদেশ করিয়া সন্ধ্যার উপাসনা করিতে লাগিলেন। দারক কৃষ্ণের আজ্ঞানসারে অশ্বগণকে রথ হইতে মক্ত করতঃ শাস্ত্রানসারে তাহদের পরিচয্যা ও গাত্র হইতে সমদায় যোক্তাদি মোচন করিয়া তাহাদিগকে পরিত্যাগ করিল। মহাত্মা মধ্যসদন সন্ধ্যা সমাপন্যান্তে সম্ববীয় সমভিব্যাহারী জনগণকে কহিলেন, হে পরিচারকবগ ! অদ্য যধিস্ঠিরের কাৰ্য্যােনরোধে এই স্থানে রজনী অতিবাহিত করিতে হইবে। তখন পরিচারকগণ তাঁহার অভিপ্রায় অবগত হইয়া ক্ষণকালমধ্যে পটমন্ডপ নিম্পমাণ ও বিবিধ সমিস্ট অন্নপান প্রস্তুত করিল। অনন্তর সেই গ্রামস্থ সর্বধৰ্ম্মমাবলম্বী আয্য কুলীন ব্রাহ্মণ সমদায় অরাতিকুলকালান্তক মহাত্মা হৃষীকেশের সমীপে আগমনপািৰবাক বিধানানসারে তাঁহার পজা ও আশীৰ্ব্ববাদ করিয়া সব সব ভবনে আনয়ন করিতে বাসনা করিলেন। ভগবান মধ্যসািদন তাঁহাদের অভিপ্ৰায়ে সম্মত হইলেন এবং তাঁহাদিগকে অচ্চনপল্কবািক তাঁহাদের ভবনে গমন করিয়া তাঁহাদিগের সমভিব্যাহারে পনরায় স্বীয় পাটমান্ডপে আগমন করিলেন। পরে সেই সমদায় ব্ৰাহ্মণগণের সমভিব্যাহারে সমিস্ট দ্রব্যজাত ভোজন করিয়া পরম সখে যামিনী যাপন করিলেন। ইহা নিতান্তই মানষেচরিত্র, কিন্তু আদশ মনষ্যের চরিত্র। দেখা যাইতেছে যে, দেবতা বলিয়া কেহ তাঁহাকে পজা করিতেছে, এমন কথা নাই। তবে শ্ৰেষ্ঠ মনষ্য যেরপে পজা পাইবার সম্ভাবনা, তাহাই তিনি পাইতেছেন, এবং আদর্শ মনষ্যের লোকের সঙ্গে যেরপে ব্যবহার করা সম্ভব, তিনি তাহাই করিতেছেন। ষািঠ পরিচ্ছেদ-হস্তিনায় প্রথম দিবস কৃষ্ণ আসিতেছেন শনিয়া, বদ্ধ ধাতরাষ্ট্র তাঁহার অভ্যর্থনা ও সম্পমানের জন্য বড় বেশী রকম উদ্যোগ আরম্ভ করিলেন। নানা রত্নসমাকীর্ণ সভা সকল নিৰ্ম্মাণ করাইলেন, এবং তাঁহাকে উপঢৌকন দিবার জন্য অনেক হস্তাশ্বরথ, দাস, “অজাতি৷াপত্য শতসংখ্যক দাসী৷” মেষ, অশ্বতরী, মণিমাণিক্য ইত্যাদি সংগ্ৰহ করিতে লাগিলেন। t DBBD DBBBDBB DDDD DDBBSDBDDS DD D BDBD DBuBBS BDDDD BDBBBBD কিন্তু রত্নাদি দিয়া কৃষ্ণকে ঠকাইতে পরিবে না। তিনি যে জন্য আসিতেছেন, তাহা সম্পাদন কর; তাহা হইলেই তিনি সস্তুষ্ট হইবেন -অৰ্থ প্রলোভিত হইয়া তোমার বশ হইবেন না।” ধন্তরাষ্ট্ৰ ধত্তি, এবং বিন্দর সরল ; দায্যোধন। দই। তিনি বলিলেন, “কৃষ্ণ পাজনীয় বটে, কিন্তু তাঁহার পজা করা হইবে না। যন্ধ তা ছাড়িব না; তবে তাঁর সমাদরে কাজ কি ? লোকে মনে করিবে, আমরা ভয়েই বা তাঁহার খোেশামোদ করিতেছি। অামি তদপেক্ষা সৎ পরামর্শ স্থির করিয়াছি। আমরা তাঁহাকে বধিয়া রাখিব। পাশডবের বল বদ্ধি কৃষ্ণ, কৃষ্ণ আটক থাকিলে পান্ডবেরা আমার বশীভুত থাকিবে।” এই কথা শনিয়া ধাতরাষ্ট্ৰও পত্রকে তিরস্কার করিতে বাধ্য হইলেন। কেন না, কৃষ্ণ দত - și gr;