পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

IS BDBDBBDS tDD S DBDB DBDBB BDBD BBD BLB DDDuuDB D BBB DLBLSS হইজ। তাঁহার অন্বেষণে শিবিরে গেলেন। তখনও কণা নিহত হয়েন নাই। যধিষ্ঠির, যখন খািনলেন যে, অজ্ঞজন। এখনও ফলবিধ করেন নাই, তখন রাগিয়া বড় গরম হইলেন। কাপরাবেয় পৰম্ভাবই এই যে, আপনি যাহা না পারে, পরে তাহা করিয়া না দিলে চটিয়া উঠে। সতরাং যধিস্ঠির অর্জনকে খািব কঠিন গালিগালাজ করিলেন। শেষে বললেন যে, তুমি নিজে যখন যন্ধে ভীত হইয়া পলায়ন করিয়াছ, তখন তুমি কৃষ্ণকে গান্ডীব শরাসন প্ৰদান কর। শনিয়া অঙ্গজন তরবারি লইয়া ষাধিনেিষ্ঠরকে কাটিতে উঠিলেন। কৃষ্ণ জিজ্ঞাসা করিলেন, তরবারি দিয়া কাহাকে বধ করিবে ? অভিজােন বলিলেন, “তুমি অন্যকে গান্ডীব* শরাসন সমাপণ কর, এই কথা যিনি আমায়ে কহিবেন, আমি তাঁহার মস্তক ছেদন করিব, এই আমার উপাংশাৱত। এক্ষণে তোমার সমক্ষেই মহারাজ আমারে এই কথা কহিয়াছেন, অতএব আমি এই ধৰ্ম্মভীর নিরাপতিরে নিহত করিয়া প্ৰতিজ্ঞা প্ৰতিপালন ও সত্যের আনণ্য লাভ করতঃ নিশ্চিন্ত হইব।” কথাটা মাচু ও পাষন্ডের মত হইল-অজ্ঞজনের মত নহে। একে ত, গান্ডীব অন্যকে দাও বলিলে কোন ব্যক্তিকে খােন করিতে হইবে, এ প্রতিজ্ঞাই মাচুতার কাজ। তার পর পাজ্যপাদ জ্যেষ্ঠাগ্ৰজ উত্তেজনার জন্য এরপে কথা বলিয়াছেন বলিয়া, তাঁহাকে বধ করিতে প্রবত্ত হওয়া অতিশয় পাষন্ডের কাজ। তবে ইহার ভিতর গারতের কথা আছে; তাহার বিস্তারিত মীমাংসা কৃষ্ণ কীৰ্ত্তক হইয়াছিল, এই জন্য এ কথার অবতারণায় আমি বাধ্য। । কথাটা এই। সত্য পরম ধৰ্ম্ম। যদি অন্তজািন যধিস্ঠিরকে বধ না করেন, তবে তাঁহাকে সত্যচ্যুত হইতে হয়। অর্জনের প্রশন এই যে, সত্যরক্ষার্থ যাধিষ্ঠিরকে বধ করা তাঁহার কৰ্ত্তব্য কি না। অন্তর্জন কৃষ্ণকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার মতে এক্ষণে কি করা কত্তব্য ?” কৃষ্ণ যে উত্তর দিলেন, তাহা বঝাইবার পকেব, আমরা পাঠককে অনরোধ করি যে, আপনিই ইহার উত্তর দিবার চেন্টা করবেন। বোধ করি, সকল পাঠকই একমত হইয়া উত্তর দিবেন যে, এরপা সত্যের জন্য যাধিস্ঠিরকে বধ করা অতীজনের কত্তব্য নহে। কৃষ্ণও সেই উত্তর দিলেন। কিন্তু পাশ্চাত্ত্য নীতিপন্ডিত আধনিক পাঠক যে কারণে এই উত্তর দিবেন, কৃষ্ণ সেই কারণে এ সকল উত্তর দিলেন না। তিনি প্রাচ্যনীতির বশবত্তী হইয়াই এই উত্তর দিলেন। তাহার কারণ বঝাইতে হইবে না-বাঝাইতে হইবে না যে, শ্ৰীকৃষ্ণ ভারতবর্ষে অবতীর্ণ, ইংলন্ডে নহে। তিনি ভারতবর্ষের নীতিতে সপন্ডিত, ইউরোপীয় নীতি তখন হয়ও নাই; এবং কৃষ্ণ তন্মাগাবলম্বী হইলে অতীজনেও তাহার কিছই বঝিতেন না। কৃষ্ণ অজ্ঞজনকে বঝাইবার জন্য যে সকল তত্ত্বের অবতারণা করিলেন, এক্ষণে তাহার স্থলেমৰ্ম্ম বলিতেছি।-অন্ততঃ যে অংশ বিবাদের স্থল হইতে পারে, তাহা উদ্ধত করিতেছি। তাঁহার প্রথম কথা “অহিংসা পরম ধৰ্ম্মমর্শ” । ইহাতে প্রথম আপত্তি হইতে পারে যে, সকল স্থানে অহিংসা ধৰ্ম্ম নহে। দ্বিতীয় আপত্তি এই হইতে পারে যে, কৃষ্ণ স্বয়ং গীতাপখবোধ্যায়ে অজানকে যে, উপদেশ দিয়া যন্ধে প্রবত্ত করিয়াছিলেন, এ উক্তি তাহার বিপরীত। যিনি অহিংসাতত্ত্বের যথার্থ মন্ম না বাঝেন, তিনিই এরােপ আপত্তি করিবেন। অহিংসা পরম ধর্ম, এ কথায় এমন বকায় না যে, কোন অবস্থায় কোন প্রকারে প্রাণিহিংসা করিলে অধৰ্ম্ম হয়। প্রাণিহিংসা ব্যতীত আমরা ক্ষণমাত্র জীবন ধারণা করিতে পারি না, ইহা ঐশিক নিয়ম। যে জল পান করি, তাহার সঙ্গে সহস্ৰ সহস্ৰ অণবীক্ষণদশ্য জীব। উদারন্থ করি; প্রতি নিশ্বাসে বহুসংখ্যক তাদক জীব নাসাপথে প্রেরিত করি, প্রতি পদাপণে সহস্ৰ সহস্ৰকে দলিত করি। একটি শাকের পাতা বা একটি বেগনের সঙ্গে অনেকগলিকে, রাধিয়া খাই। যদি বল, এ সকল অজ্ঞানকৃত হিংসা, তাহতে পাপ নাই; আমি তাহার উত্তরে বলি যে, জ্ঞানকৃত প্রাণিহিংসা ব্যতীতও। আমাদের প্রাণরক্ষা নাই। যে বিষধর সপ বা বশিচক, আমার গহে বা আমার শয্যাতলে আশ্ৰয় করিয়াছে, আমি তাহকে বিনাশ না করিলে সে আমাকে বিনাশ করিবে। যে ব্যাক্স আমাকে গ্রহলি করিবার জন্য লম্ফনোদ্যত, আমি তাহাকে বিনাশ না করিলে সে আমাকে বিনাশ করিবে । মে শত্র আমার বধ্যসাধনে কৃতনিশ্চয় ও উদ্যতায়াধ, আমি তাহকে বিনাশ না করিলে সে আমাকে । YS BrrBB BDBD DD DDBLBL BBBB BS BBBD BBLBBDB BBBDB DBLS BB BBBLB BBBSDDDBBL uit ng Tage VSF 、丐a一es’ 6.