পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बभ्कब ब्रष्नाबव्ी কৃষ্ণ দারককে হস্তিনায় অজ্ঞজনের নিকট পাঠাইলেন। অর্জন আসিয়া যাদবদিগের কুলকামিনীগণকে হস্তিনায় লইয়া যাইবে, এইরােপ আজ্ঞা করিলেন। বলরামকে কৃষ্ণ যোগাসনে আসীন দেখিলেন। তাঁহার মািখ হইতে একটি সহস্রামস্তক সাপ নিগৰ্ভত হইয়া সাগর, নদী, বরণ, এবং বাসকি প্রভৃতি অন্য সপগণ কর্তৃক স্তুত হইয়া সমদ্রমধ্যে প্রবেশ করিল। বলরামের দেহ জীবনশন্য হইল। তখন কৃষ্ণ স্বয়ং মত্ত্যলোক ত্যাগ বাসনায় মহাযোগ অবলম্বনপৰ্ব্বক ভূতলে শয়ন করিলেন। জরা নামে ব্যাধ মােগন্দ্রমে তাঁহার পাদপদ্ম শরদ্বারা বিদ্ধ করিল। পরে আপনার ভ্ৰম জানিতে পারিয়া শঙ্কিতমনে কৃষ্ণের চরণে নিপতিত হইল। কৃষ্ণ তাহাকে আশ্বাসিত করিয়া আকাশমন্ডল উদ্ভাসিত করিয়া সবগে গমন করিলেন। এদিকে অর্জন দ্বারকায় আসিয়া রামকৃষ্ণাদির ঔদ্ধৰ দৈহিক কৰ্ম্ম সম্পাদনা করিষা যাদবকুলকামিনীগণকে লইয়া হস্তিনায় চলিলেন। পথিমধ্যে দস্যগণ লাঠি হাতে তাঁহাকে আক্রমণ করিল। যিনি পথিবী জয় করিয়াছিলেন, এবং ভীস্ম কণের নিহন্তা, তিনি লগাড়ধারী চাষাদিগকে পরাভূত করিতে পারিলেন না। গান্ডীব তুলিতে পারিলেন না। রাত্মিণী, সত্যভামা, মাম্ববতী প্রভৃতি কৃষ্ণের প্রধানা মহিষীগণ ভিন্ন আর সকলকেই দস্যগণ হরণ করিয়া a এই সকল কথা কি মৌলিক ? মােসল এরকার অনৈসগিক উপন্যাস আমবা পািব্ব নিয়মানসারে পরিত্যাগ করিতে বাধ্য। কিন্তু তাহা ত্যাগ করিলে যে, প্রাকৃতিক স্থল কথা কিছ: বাকী থাকে, তাহা তত শীঘ্ৰ ত্যাগ করা যায় না। যাদবেরা পানাসক্ত ও দনীতিপরাযণা হইয়াছিল; ইহা পাবে। কথিত হইয়াছে। তাহারা সকলে একবংশীয় নহে; ভিন্ন ভিন্ন বংশীয়, এবং অনেক সময়ে পরস্পর বিরাদ্ধাচারী। কুরক্ষেত্রের যন্ধে বাষ্ণোয় সাতকি ও কৃষ্ণ পাশডবপক্ষে, কিন্তু অন্ধক ও ভোজবংশীয় কৃতবৰ্ম্মমা, দায্যোধনের পক্ষে। তার পর, যাদবদিগের কেহ বাজা ছিল না, উগ্রসেনকে কখন রাজা বলা হইয়া থাকে, কিন্তু যাদবদিগের মধ্যে কেহই রাজা নহেন, ইহাই প্রসিদ্ধ। কৃষ্ণের গণাধিক্য হেতু, তিনি যাদবগণের নেতা ছিলেন, কিন্তু তাঁহার অগ্রজ বলরামের সঙ্গে তাঁহার মতভেদ দেখা যায়, এবং শান্তিপর্বে দেখিতে পাই, ভীস্ম একটি কৃষ্ণনারদসংবাদ বলিতেছেন, তাহাতে কৃষ্ণ নারদের কাছে দঃখ করিতেছেন যে, তিনি জ্ঞাতিগণের মনোরঞ্জনাথ বহতর যত্ন করিয়াও কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই। এ সকল কথা পাবে বলিযাছি। অতএব, যখন যাদবেরা, পরস্পর বিদ্বেষবিশিষ্ট, সব সব প্রধান, অত্যন্ত বলদাপ্ত দনীতিপরায়ণ, এবং সারাপাননিরত,* তখন তাঁহারা যে পরস্পর বিবাদ করিয়া যদকুলক্ষয় করিবেন এবং তান্নিবন্ধন কৃষ্ণ বলরামেরও যে ইচ্ছাধীন বা অনিচ্ছাধীন দেহান্ত হইবে, ইহা অনৈসর্গিক বা অসম্ভব নহে। বোধ হয়, এরপ এ - াৈ কিম্বদন্তী প্রচলিত ছিল এবং তাহার উপর পরাণকারগণ যাদববংশধবংস স্থাপিত করিয়াছে। অতএব এ অংশের মৌলিকতার পরওখান পাণ্ডখ মিচারে আমাদের কোন প্রয়োজন নাই। তবে কেবল দই একটা কথা বলা আবশ্যক। লিখিত হইয়াছে যে যাদৱবংশধবংস নিবারণ জন্য কৃষ্ণ কিছই করেন নাই, বরং তাহার আনকল্যই করিয়াছিলেন। ইহাও যদি সত্য হয়, তাহাতে কৃষ্ণচরিত্রের অসঙ্গতি বা অগৌরব কিছই দেখি না। আদর্শ মনষ্যে আদশ মনয্যের উপযক্ত কাজই করিয়াছিলেন। তাঁহার আত্মীয় বা অনাত্মীয় কেহ নাইআদশ পরিষের ধৰ্ম্মমই আত্মীয়। যদ্যবংশীয়েরা যখন অধাৰ্ম্মিক হইয়া উঠিয়াছিল, তখন তাহাদের দন্ড ও প্রয়োজনীয় স্থলে বিনাশসাধনই তাঁহার কৰ্ত্তব্য। যিনি জরাসন্ধ প্রভৃতিকে অধৰ্ম্মমাত্মা বলিয়াই বিনন্ট করিলেন, তিনি যাদবগণকে অধৰ্ম্মমাত্মা দেখিয়া তাহদের যদি বিনস্ট নহেন, আপনার পক্ষপাতী, বংশের পক্ষপাতী। আদশ ধৰ্ম্মমাত্মা, তাহা হইতে পারেন না।-- কৃষ্ণও তাহা হয়েন নাই। কৃষ্ণের দেহত্যাগের কারণটা কতক অনিশ্চিত রহিল। চারি প্রকার কারণ নিন্দেশ করা ঘাইতে পারে।

  • যদিবেরা এমন মদ্যাসক্ত ছিলেন যে, কৃষ্ণ বলরাম ঘোষণা করিয়াছিলেন যে, দ্বারকায় যে সরা

করিবে, তাহকে শালে দিব। আমি পাশ্চাত্তা রাজপর ^မျို'ဇို့ রাজপরিষগণকে এই নীতির অন্যবিত্তীর্ণ হইতে