পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আসল কথা, কৃষ্ণোক্ত ধর্মের এমন মৰ্ম্ম নহে যে, কেবল জ্ঞানের দ্বারাই সাধন সম্পর্শ হয়। জ্ঞান ও কলম উভয়ের সংযোগ চাই * কেবল কক্ষেম হইবে না, কেবল জ্ঞানেও নহে। কক্ষেমই আবার জ্ঞানের সাধন। কন্মের দ্বারা জ্ঞান লাভ হয়। ভগবান বলিতেছেন আরর ক্ষোম্মনোযোগং কৰ্ম্ম কারণমচ্যতে।। ৬। ৩ যিনি জ্ঞানযোগে আরোহণোচ্ছ, কম্পমাই তাঁহার তদারোহণের কারণ বলিয়া কথিত হয়। অতএব কম্পমানন্ঠানের দ্বারা জ্ঞান লাভ করিতে হইবে। এখানে ভগবদ্বাক্যের অর্থ এই যে, কৰ্ম্মযোগ ভিন্ন চিত্তশদ্ধি জন্মে না। চিত্তশান্ধি ভিন্ন জ্ঞানযোগে পৌছান যায় না। শিষ্য। তবে কি কম্পেমার দ্বারা জ্ঞান জন্মিলে কম ত্যাগ করতে হইবে ? গর। উভয়েরই সংযোগ ও সামঞ্জস্য চাই। যোগসংন্যস্তকম্পমাণং জ্ঞানসংচ্ছিন্নসংশয়ম। BBBB SDD DBBD DDD BDDE S 0SSLLSL হে ধনঞ্জয় ! কম্পমাযোগের দ্বারা যে ব্যক্তি সংন্যস্তকম এবং জ্ঞানের দ্বারা যার সংশয় ছিন্ন হইয়াছে, সেই আত্মবানকে কৰ্ম্মসকল বদ্ধ করিতে পারে না। তবেই চাই (১) কমের সংন্যাস বা ঈশ্বরাপণ এবং (২) জ্ঞানের দ্বারা সংশযচ্ছেদন। এইরূপে কম্পম্যবাদের, ও জ্ঞানবাদের বিবাদ মিটিল। ধৰ্ম্মম সম্পপণ্য হইল। এইরূপে ধৰ্ম্ম প্রণেতৃশ্রেষ্ঠ ভূতলে মহামহিমময় এই নাতন ধৰ্ম্মম প্রচারিত করিলেন। কম্পম ঈশ্বরে অপর্ণ কর; কম্পের্মর দ্বারা জ্ঞান লাভ করিয়া পরমার্থতিত্ত্বে সংশষ ছেদন কর। এই জ্ঞানও ভক্তিতে যক্ত ; কেন না,- তদ্বন্ধিয়স্তদাত্মানস্তািন্নঠিাস্তৎপরাযণাঃ। গচ্ছন্ত্যপনবাবত্তিং জ্ঞাননিধাতকলমষাঃ৷ ৫ ৷৷ ১৭ ঈশ্বরেই যাহাদের বদ্ধি, ঈশ্বরেই যাহাঁদের আত্মা, তাঁহাতে যাহাঁদের নিষ্ঠা, ও যাহারা তৎপরায়ণ, তাহদের পাপসকল জ্ঞানে নির্ধাৎ হইয়া যায়, তাহারা মোক্ষ প্রাপ্ত হয়। শিষ্য। এখন বঝিতেছি যে, এই জ্ঞান ও কম্পের্মর সমবায়ে ভক্তি। কন্মের জন্য প্রযোজন -কাৰ্য্যকারিণী ও শারীরিকী ব্যক্তিগলি সকলেই উপযক্ত সাফত্তি ও পরিণতি প্রাপ্ত হইয়া ঈশ্বরমখী হইবে। জ্ঞানের জন্য চাই।--জ্ঞানাক্তজনী বত্তিগলি ঐরােপ সাফত্তি ও পরিণতি প্রাপ্ত হইযা ঈশ্বরমখী হইবে। আর চিত্তরঞ্জিনী বত্তি ? গর। সেইরাপ হইবে। চিত্তরঞ্জিনী বত্তি সকল ককাইবার সময়ে বলিব। শিষ্য। তবে মনষ্যে সমদায় বত্তি উপযক্ত সফৰ্ত্তি ও পরিণতি প্রাপ্ত হইয়া ঈশ্বরম, খী হইলে, এই গীতোক্ত জ্ঞানকম্পমন্যাস যোগে পরিণত হয। এতদভয়ই ভক্তিবাদ। মনষ্যেত্ব ও অনশীলনধৰ্ম্মম যাহা আমাকে শনাইয়াছেন, তাহা এই গীতোক্ত ধৰ্ম্মের নাতন ব্যাখ্যা মাত্র। গর। ক্রমে এ কথা আরও স্পষ্ট বঝিবে। बाgभ खशाम-स्ख ভগবদ্গীতা-সৰিয়াল গবে। তাব পব, আব্ব একটা কথা শোন। হিন্দীশাসন্মানসারে যৌবনে জ্ঞানাজািন করিতে হয়, মধ্য বয়সে গহস্থ হইয়া কৰ্ম্ম করিতে হয়। গীতোক্ত ধর্মে ঠিক তাহা বলা হয নাই; বরং কমের দ্বারা জ্ঞান উপাজন করিবে, এমন কথা বলা হইয়াছে। ইহা সত্য কথা; কেন না অধ্যয়নও কম্পেমর মধ্যে, এবং কেবল অধ্যয়নে জ্ঞান জন্মিতে পারে না। সে যাই হৌক, মনয্যের এমন এক দিন উপস্থিত হয় যে, কম্পমা করিবার সময়ও নহে, জ্ঞানোেপাজনের সময়ও নহে। তখন জ্ঞান উপচিজত হইয়াছে, কম্পেমািরও শক্তি বা প্রয়োজন আর নাই। হিন্দশাস্ত্রে এই

  • বলা বাহাল্য যে, এই কথা জ্ঞানবাদী শঙ্করাচায্যের মতের । তাঁহার মতে জ্ঞান কৰ্ম্মে সমাচয় নাই। শঙ্করাচায্যের মতের যাহা বিরোধী, শিক্ষিত সম্প্রদায় ट्द्र कष्ट्र उगा क्ष এখনকার দিনে গ্রহণ করবেন না, তাহা আমি জানি। পক্ষান্তরে ইহাও কৰ্ত্তব্য যে, শ্ৰীধর স্বামী প্রভৃতি ভক্তিবাদিগণ শঙ্করাচায্যের অন্যবিত্তীৰ্ণ নন। এবং অনেক অনগামী পন্ডিত শঙ্কল্পের মতের বিরোধী বলিয়াই তাঁহাকে স্বপক্ষসমৰ্থন জন্য ভায্যের মধ্যে বড় বড় প্রবন্ধ লিখিতে হইয়াছে।

S