পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পদ্ধতি নহে। পরন্তু ঈশ্বরের নিকাম উপাসনাই মােখ্য উপাসনা, তন্তিৰে ঈশ্বরপ্রাপ্তি হয় না। অতএব সৰ্ব্বকামনা পরিত্যাগপৰিবাক সৰ্ব্বকৰ্ম্ম ঈশ্বরে অপণ করিষা ঈশ্বরে ভক্তি করাই ধৰ্ম্মম ও মোক্ষের উপায়। এই রাজগহযোেগ ভক্তিপণ । সপ্তমে ঈশ্বরের সবরপ কথিত হইয়াছে, দশমে তাঁহার বিভূতি সকল কথিত হইতেছে। এই বিভূতিযোগ আতি বিচিত্র, কিন্তু এক্ষণে উহাতে আমাদের প্রয়োজন নাই। দশমে বিভূতি সকল বিবত করিয়া, তাহার প্রত্যক্ষগহ্বরপে একাদশে ভগবান অজ্ঞজনকে বিশ্বব্যাপ দশন করান। তাহাতেই দ্বাদশে ভক্তিপ্রসঙ্গ উত্থাপিত হইল। কালি তোমাকে সেই ভক্তিযোগ শনাইব। स्रकोनम अथाम्न-छख ভগবদগীতা-ভক্তিযোগ শিষ্য। ভক্তিযোগ বলিবার আগে, একটা কথা বঝাইয়া দিন। ঈশ্বব এক কিন্তু সাধন ভিন্ন ভিন্ন প্রকার কেন ? সোজা পথ একটা ভিন্ন পাঁচটা থাকে না। গর। সোজা পথ একটা ভিন্ন পাঁচটা থাকে না বটে, কিন্তু সকলে, সকল সময়ে সোজা পথে যাইতে পারে না। পাহাড়ের চড়ায় উঠিবার যে সোজা পথ, দই একজন বলবানে তাহাতে আরোহণ করিতে পারে। সাধারণের জন্য ঘরাণ ফিরাণ পথই বিহিত। এই সংসারে নানাবিধ লোক; তাহদের ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষা, এবং ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতি। কেহ সংসারী কাহাবও সংসার হয় নাই, হইয়াছিল ত সে ত্যাগ করিয়াছে। যে সংসারী, তাহার পক্ষে কম্পমা ; যে অসংসারী, তাহার পক্ষে সন্ন্যাস। যে জ্ঞানী অথচ সংসারী, তাহার পক্ষে জ্ঞান ও বিজ্ঞানযোগই প্রশস্ত; যে জ্ঞানী অথচ সংসারী নয়। অর্থাৎ যে যোগী, তাহার পক্ষে ধ্যানযোগই প্রশস্ত। আর আপামর সাধারণ সকলেরই পক্ষে সব্বসাধনশ্রেষ্ঠ রাজগহ্যযোগই প্রশস্ত। অতএব সর্বপ্রকার মনষ্যের উন্নতির জন্য জগদীশ্বর এই আশ্চৰ্য্য ধৰ্ম্মম প্রচার করিযাছেন। তিনি করুণাময়-যাহাতে সকলেরই পক্ষে ধৰ্ম্ম সোজা হয়, ইহাই তাঁহার উদ্দেশ্য। শিষ্য। কিন্তু আপনি যাহা বঝাইয়াছেন, তাহা যদি সত্য হয়, তবে ভক্তিই সকল সাধনের অন্তর্গত। তবে এক ভক্তিকে বিহিত বলিলেই, সকলের পক্ষে পথ সোজা হইত। গর। কিন্তু ভক্তির অনশীলন চাই। তাই বিবিধ সাধন, বিধি অনশীলনপদ্ধতি। আমার কথিত অনশীলনতত্ত্ব যদি বঝিয়া থাক, তবে এ কথা শীঘ্ৰ বঝিবে। ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতিত্ব মনয্যের পক্ষে ভিন্ন ভিন্ন অনশীলনপদ্ধতি বিধেয। যোগ, সেই অনশীলনপদ্ধতিব নামান্তর মাত্র। শিষ্য। কিন্তু যে প্রকারে এই সকল যোগ কথিত হইয়াছে, তাহাতে পাঠকের মনে একটা প্রশন উঠিতে পারে। নিগণ ব্রহ্মের উপাসনা অর্থাৎ জ্ঞান, সাধন বিশেষ বলিয়া কথিত হইয়াছে, সগণ ব্রিহ্মের উপাসনা অর্থাৎ ভক্তিও সাধন বলিয়া কথিত হইয়াছে। অনেকের পক্ষে দই-ই সাধ্য। যাহার পক্ষে দই-ই সাধ্য, সে কোন পথ অবলম্বন করিবে? দই-ই ভক্তি বটে জানি, তথাপি জ্ঞান-বিদ্ধি-ময়ী ভক্তি, আর কৰ্ম্ম-মযী ভক্তি মধ্যে কে শ্রেদ্ঠ ? গর। দ্বাদশ অধ্যায়ের আরম্ভে এই প্রশনই অর্জন কৃষ্ণকে জিজ্ঞাসা করিয়াছেন, এবং এই প্রশেনর উত্তরই দ্বাদশ অধ্যায়ে ভক্তিযোগ। এই প্রশনটি বাঝাইবার জন্যই গীতার পক্ষোবগামী একাদশ অধ্যায় তোমাকে সংক্ষেপে বিকাইলাম। প্রশন না বঝিলে উত্তর বাবা যায না। भिवा । कुश्क कि ठखद्ध निशाछन? গর। তিনি সপটিই বলিয়াছেন যে, নিগণ ব্রহ্মের উপাসক ও ঈশ্বরভক্তি, উভয়েই ঈশ্বর প্রাপ্ত হয়েন। কিন্তু তন্মধ্যে বিশেষ এই যে, ব্ৰহ্মোপাসকেরা অধিকতর দঃখ ভোগ কবে; ভক্তেরা সহজে উদ্ধত হয়। ক্লেশোহধিকতরস্তেষামব্যক্তাসক্তচেতসাম। অব্যক্তা হি গতিদঃখং দেহবন্তিরবাপ্যতে৷ যে তু সব্বণি কৰ্ম্মণি ময়ি সংন্যস্য মৎপরাঃ । অননেনৈব যোগেন মাং ধ্যায়ন্ত উপাসতে ৷ তেষামহং সমন্ধত্তা মাতুসংসারসাগর।াৎ ৷৷ ১২ । ৫-৭ t