পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

',' 'बर्ड সেই “হার্ষামৰ্ষভয়োদ্বেগৈৰ্ম্মক্তো য: স চ মে প্রিয়" স্মরণ করা। এখন, ভয় হইতে মােজ ষে ভক্ত সে কি প্রকার তাহা বঝিলে ? “মষ্যৰ্পিতমনোবািন্ধ" কি বািঝলে ?* ভক্তের সেই সকল লক্ষণ বাঝাইবার জন্য এই প্ৰহাদ চরিত্র কহিতেছি। হিরণ্যকশিপ প্ৰহাদকে তাড়াইয়া দিলেন প্ৰহাদ আবার গরগাহে গেলেন। অনেক কালের পর আবার আনাইয়া অধীত বিদ্যার আবার পরীক্ষা লইতে বসিলেন। প্রথম উত্তরেই প্ৰহাদ আবার সেই কথা বলিল, কারণং সকল স্যাস্য স নো বিষ্ণঃ প্ৰসীদাতু। হিরণ্যকশিপ প্ৰহাদকে মারিয়া ফেলিতে হকুম দিলেন। শত শত দৈত্য তাঁহাকে কাটিতে আসিল, কিন্তু প্ৰহাদ “দঢ়নিশ্চয়”, “ঈশ্বরাপিতমনোবিদ্ধি"-যাহারা মারিতে আসিল, প্ৰহাদ তাহাদিগকে বলিল, “বিষ্ণ, তোমাদের অস্ত্রেও আছেন, আমাতেও আছেন, এই সত্যানসারে আমি তোমাদের অস্ত্রের দ্বারা আক্রান্ত হইব না।” ইহাই “দঢ়নিশ্চয়”। শিষ্য। জানি যে, বিষ্ণপরিাণের উপন্যাসে আছে যে, প্ৰহাদ অস্ত্রের আঘাতে অক্ষত রহিলেন। কিন্তু উপন্যাসেই এমন কথা থাকিতে পারে,-যথাৰ্থ এমন ঘটনা হয় না। যে যেমন ইচ্ছা! ಕ್ হউক, নৈসর্গিক নিয়ম তাহার কাছে নিৰ্ম্মফল হয না-অস্ত্রে পরমভক্তেরও ९ গর। অর্থাৎ তুমি Miracle মান না। কথাটা পৰ্ব্বাতন। আমি তোমাদের মত ঈশ্বরের শক্তিকে সীমাবদ্ধ করিতে সক্ষমত নাহি। বিষ্ণপরিাণে যেরূপে প্ৰহাদের রক্ষা কথিত হইয়াছে, ঠিক সেই রূপ ঘটিতে দেখা যায় না বটে, আর উপন্যাস বলিয়াই সেই বৰ্ণনা সম্ভবপর হইয়াছে, ইহাও স্বীকার করি। কিন্তু একটি নৈসগিক নিয়মের দ্বারা ঈশ্বরানিকম্পায় নিয়মান্তরের অদম্পটপ কব প্রতিষেধ যে ঘটিতে পারে না, এমত কথা তুমি বলিতে পার না। অস্ত্রে পরম ভক্তেরও মাংস কাটে, কিন্তু ভক্ত ঈশ্বরানিকক্ষপায় আপনার বল বা বদ্ধি এরপে প্রযক্ত করিতে পারে যে, অস্ত্ৰ নিস্ফল হয। বিশেষ, যে ভক্ত, সে “দক্ষ”; ইহা পৰেব কথিত হইয়াছে, তাহার সকল ব্যক্তিগলি সম্পণ অনশীলিত, সতরাং সে অতিশয় কাৰ্যক্ষম; ইহার উপর ঈশ্বরানগ্ৰহ পাইলে সে যে নৈসগিক নিয়মের সাহায্যেই অতিশয় বিপক্ষ হইয়াও আত্মরক্ষা করিতে পারবে, ইহা অসম্ভব কি ? যাহাই হউক। এ সকল কথায় আমাদিগের কোন প্রয়োজন এক্ষণে দেখা যাইতেছে না-কেন না, আমি ভক্তি বসবাইতেছি, ভক্ত কি প্রকারে ঈশ্বরানগ্রহ প্রাপ্ত হন, বা হন। কি না, তাহা বঝাইতেছি না। এরপী কোন ফলই ভক্তের কামনা করা উচিত নহে,- তাহা হইলে তাঁহার ভক্তি নিম্পাকাম হইবে না। শিষ্য। কিন্তু প্ৰহাদ ত এখানে রক্ষা কামনা করিলেনগর। না, তিনি রক্ষা কামনা করেন নাই। তিনি কেবল ইহাই মনে স্থির বঝিলেন যে, যখন আমার আরাধ্য বিষ্ণ, আমাতেও আছেন, এই অস্ত্রেও আছেন, তখন এ অস্ত্রে কখন আমার অনিন্ট হইবে না। সেই দঢ়নিশ্চয়তাই আরও স্পষ্ট হইতেছে। কেবল ইহাই বােকান আমার উদ্দেশ্য। প্ৰহাদ চরিত্র যে উপন্যাস, তদ্বিষয়ে সংশয় কি ? সে উপন্যাসে নৈসগিক বা অনৈসৰ্গিক কথা আছে, তাহাতে কি আসিয়া যায় ? উপন্যাসে এরপ অনৈসৰ্গিক কথা থাকিলে ক্ষতি কি ? অর্থাৎ যেখানে উপন্যাসকারের উদ্দেশ্য মানস ব্যাপারের বিবরণ, জড়ের গণ ব্যাখ্যা নহে, তখন জড়ের অপ্রকৃত ব্যাখ্যা থাকিলে মানস ব্যাপারের ব্যাখ্যা অপম্পন্ট হয় না। বরং অনেক সময় অধিকতর সােপস্ট হয়। এই জন্য জগতের শ্রেষ্ঠ কবির মধ্যে অনেকেই অতিপ্রকৃতের আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছেন। তার পর অস্ত্ৰে প্ৰহাদ মরিল না দেখিয়া, হিরণ্যকশিপ প্ৰহাদকে বলিলেন, “ওরে দািব্বন্ধি နုံမြိန် BDD DB BD DS DBD SBBL BBBBBS S DDDDS DBDDD gBBD SDBBD S DB দতেছি।”

  • ময্যপি তুমনোবুদ্ধিষো মন্তক্ত: স মে প্ৰিয়ঃ।

+ ঠিক এই কথাটি প্রতিপন্ন করিবার জন্য সিপাহী হস্ত হইতে দেবী চৌধরাণীর উদ্ধার বিত্তমান লেখক কত্ত্বক প্রণীত হইয়াছে। সময়ে মেঘোদয় ঈশ্বরের অনগ্রহ; অবশিষ্ট ভক্তের নিজের দক্ষতা। দেবী চৌধািরণীর সঙ্গে পাঠক এই ভক্তিব্যাখ্যা মিলাইয়া দেখিতে পারেন। s 敬9冷