পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰঙ্কিম রচনাবলী বিজ্ঞান তত দীর সন্ধান করিল, কিন্তু যথার্থ সত্যানসন্ধিৎস হইয়া ও সাধ্যমত চেন্টা করিয়াও বিজ্ঞান আত্মাকে পাইল না। পাইল না কেন, না বিজ্ঞানের তত দীর গতিশক্তি নাই। যাহার যত দৌড়, তাহার বেশী সে যাইতে পারে না। ডুবরী কোমরে দড়ি বধিয়া সাগরে নামে, যতটকু দড়ি, তত দরে যাইতে পারে, তার বেশী যাইতে পারে না, সাগরে সমস্ত রত্ন কুড়াইবার তার সাধ্য নাই। প্রমাণের দাঁড়ি বিজ্ঞানের কোমরে বাঁধা, বিজ্ঞান প্রমাণের অপ্রাপ্য আত্মতত্ত্ব পাইবে কোথা ? যেখানে বিজ্ঞান পৌছে না, সেখানে বিজ্ঞানের অধিকার নাই, যে উচ্চ ধামের নিম্ন সোপানে বসিয়া বিজ্ঞান জন্ম সাৰ্থক করে, সেখানে বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অন্যসন্ধান করাই a "Our victorious Science fails to sound one fathom's depth on any side, since it does not explain the parentage of mind. For mind was in truth before all science, and remains for ever, the seer, judge, interpreter, even father of all its systems, facts, and laws. Our faculties are none the less truly above our heads because we no longer wonder like children at processes we do not understand. Spite of category and formula of Kant and Hegel, we arc abashed before our own untraceable thought. The star of hcaven, the grass of the field, the very dust that shall be man, foil our curiosity as much as ever, and none the less for yielding to the lens, the prism and the polariscope of science ever now triumphs for our pride and delight.” যখন বিজ্ঞান একটি ধলিকণার অস্তিত্ব প্রমাণ করিতে পারে না, তখন আত্মার অস্তিত্ব প্রমাণ করিবে কি প্রকারে ? যে হৃদয়ে ঈশ্বরকে না পায় সে বিজ্ঞানে পায় না। দয়ে ঈশ্বরকে পাইয়াছে, তাহার কাছে আত্মবাদ সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিক প্রমাণের কোন প্রয়ােজন এখন বৈজ্ঞানিক উত্তর করবেন যে, বিচার বড় অন্যায় হইতেছে। যখন বলিতেছ, জ্ঞান মাত্রের উপায় প্রমাণ, তখন অবশ্য স্বীকার করিতেছি যে, প্রমাণাতিরিক্ত জ্ঞেয় কিছই নাই। আত্মতত্ত্ব যখন প্রমাণের অতীত, আত্মার অস্তিত্বের যখন প্রমাণ নাই, তখন আত্মসম্পবন্ধে মনষ্যের কোন জ্ঞান নাই ও হইতে পারে না। অতএব আত্মা আছে কি না জানি না, ইহা ভিন্ন আর কিছ আমাদের বলিবার উপায় নাই। এ কথার দাইটি উত্তর দেওয়া যাইতে পারে। একটি প্রাচীন হিন্দ দার্শনিকদিগের উত্তর, একটি আধনিক জন্মাণাদিগের উত্তর। দর্শনশাস্ত্রে এই দাইটি জাতিই পথিবীর শ্রেণীঠ। এই দই জাতিই দেখিয়াছেন যে, প্রত্যক্ষ ও প্রত্যক্ষমলক যে অনামান, তাহার গতিশক্তি অতি সঙ্কীণ, তারা কখনই মনষ্যে-জ্ঞানের সীমা নহে। এই জন্য হিন্দ দাশ নিকেরা অন্যবিধ প্রমাণ সবীকার করেন। নৈয়ায়িকেরা বলেন, আর দ্বিবিধ প্রমাণ আছে, উপমান এবং শাব্দ। সাংখ্যেরা উপমান স্বীকার করেন না, কিন্তু শব্দকে তৃতীয় প্রমাণ বলিয়া স্বীকার করেন। উপমান (Analogy) যে একটি পথক প্রমাণ, ইহা আমরা পাঠকদিগকে স্বীকার করিতে বলিতে পারি না। অনেক স্থলে উহার দ্বারা প্রমাণ জ্ঞান জন্মে না, ভ্ৰমজ্ঞান জন্মে। যেখানে উপমান প্রমাণের কায্য করে, সেখানে উহা পথগবিধ প্রমাণ নহে, অনমানবিশেষ মাত্র। এক্ষণে “শাব্দি” কি, তাহা বঝাইতেছি। আপ্তোপদেশই শাৰদ, অর্থাৎ ভ্রমপ্রমাদাদিশান্য যে বাক্য, তাহাই তৃতীয় প্রমাণ। যদি বেদাদিকে ভ্ৰমপ্রমাদাদিশনা বলিয়া আমরা স্বীকার করিতে পারি, তবে তাহা প্ৰমাণ। যদি বেদাদিকে আমরা ভ্ৰমপ্রমাদাদিশান্য বাক্য বলিয়া সবেীকার করিতে পারি, তবে আত্মার অস্তিত্ব ও অবিনাশিতা বেদে উক্ত হইয়াছে বলিয়া, উহা অনায়াসে স্বীকার করা যাইতে পারে। পরস্তু বেদাদি যদি মনয্যোক্তি হয়, তবে উহা ভ্ৰমপ্রমাদাদিশান্য বলিয়া স্বীকার করা যাইতে পারে না; কেন না, মনীষামাত্রেই ভ্ৰমপ্রমাদাদির অধীন। স্থল কথা, এক ঈশ্বরই ভ্রমপ্রমাদাদিশান্য পরষ।

  • আত্মা ।

toriental Religiores, India, p. 447. SS BDDD DBHuu BDBDBDBD DBB DDBBB DBDDB DDD BBB DDSS GOO