পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যং হি ন ব্যথয়ন্ত্যেতে পরিষং পরিষেবভ। সমদঃখসখং ধীরং সোহমতত্বায় কলপতে ॥ ১৫ ৷৷ হে পরিষষভ! সখদঃখে সমভাব যে ধীর পরিষ, এ সকলে ব্যথিত হন না, তিনিই মোক্ষলাভে সমর্থ হন। ১৫ । সখি দঃখ সহ্য করিতে পারিলে মোক্ষলাভের উপযোগী হয় কেন ? দঃখ হইতে মাক্তিই, মাক্তি বা মোক্ষ। সংসার দঃখময়। যাঁহারা বলেন, সংসারে দঃখের অপেক্ষা সখি বেশী, তাঁহাদেরও স্বীকার করিতে হইবে, সংসারে দঃখ আছে। এজন্য জন্মান্তরও দঃখ, কেন না, পনেকবার সংসারে আসিয়া আবার দঃখভোগ করিতে হইবে। অতএব পানজন্ম হইতে মাক্তিলাভও মাক্তি বা মোক্ষ। স্থলতঃ দঃখভোগ হইতে মাক্তিলাভই মোক্ষ। এই জন্য সাংখ্যকার প্রথম সত্রেই বলিয়াছেন, “ত্রিবিধদঃখস্যাতন্তনিবত্তিরত্যন্তপরিষার্থঃ।” এখন, দদুঃখ সহ্য করিতে শিখিলেই দঃখ হইতে মাক্তি হইল। কেন না, যে দঃখ সহ্য করিতে শিখিয়াছে, সে দঃখকে আর দঃখ মনে করে না। তাহার। আর দঃখ নাই বলিযা তাহার মোক্ষলাভ হইয়াছে। অতএব মোক্ষের জন্য মরিবার প্রয়োজন নাই। দঃখ সহ্য কবিতে পারিলে, অর্থাৎ দঃখে দঃখিত না হইলে, ইহজীবনেই মোক্ষলাভ হইল। নাসতো বিদ্যতে ভাবো নাভাবো বিদ্যতে সতঃ । উভযোেরাপি দলেটাহন্তসত্বনয়োস্তিত্ত্বদশি ভিঃ ৷৷ ১৬ ৷৷ অসৎ বস্তুর অস্তিত্ব নাই, সদ্ধস্তুর অভাব হয় না। তত্ত্বদশি গণ এইরপ উভয়ের অন্ত দশন করিয়াছেন। ১৬ ৷৷ অস, ধাতু হইতে সৎ শব্দ হইয়াছে। যাহা থাকিবে, তাহাই সৎ ; যাহা নাই বা থাকিবে না, তাহাঁই অসৎ। আত্মাই সং; শীতোষ্ণাদি সখি দঃখ, অসৎ। নিত্য আত্মায় এই অনিত্য শীতোষ্ণাদি সখি-দঃখাদি স্থায়ী হইতে পারে না। কেন না, সৎ যে আত্মা, অসৎ শীতোষ্ণাদি তাহার ধৰ্ম্মম বিরোধী। শ্ৰীধর স্বামী এইরপ বাবাইয়াছেন। তিনি বলেন, “আসতোহনাত্মাধৰ্ম্মত্বং অবিদ্যমানস্য শীতোষ্ণাদেরাত্মনি ন ভাবঃ।” আমরা তাঁহারই অনসরণ করিয়াছি। শঙ্করাচায্য এই শ্লোক অবলম্বন করিযা সদসদবেদ্ধি যে প্রকার বঝাইযাছেন, তাহাও পাঠকদিগের বিশেষ অভিনিবেশপকেবািক আলোচনা করা কত্তব্য। তাহা হইতে আমাদিগেব পািব্ব পরিষেরা এই সকল বিষয় কোন দিক হইতে দেখিতেন, এবং আমরা এখন কোন দিক হইতে দেখি, তাহার প্রভেদ বঝিতে পরিবেন। এই শ্লোকের শঙ্করপ্রণীত ভাষ্য অতিশয় দরহে। নিম্পেন্ন তাহার একটি অন্যবাদ দেওয়া গেল। “কারণ হইতে উৎপন্ন, অতএব অসৎস্বরপ শীত উষ্ণ প্রভৃতি কায্যের অস্তিত্ব নাই। শীত উষ্ণাদি যে কারণ হইতে উৎপন্ন, তাহা প্রমাণ দ্বারা নিরাপিত হয়; সতরাং উহাবা সৎ পদার্থ হইতে পারে না। কারণ, উহারা বিকার মাত্র, এবং বিকারেরও সব্বদা ব্যভিচার দন্ট হয় (অর্থাৎ কখন বিকার থাকে, কখন থাকে না)। যেমন চক্ষ দ্বারা দেখিতে পাইলেই ঘন্টাদি পদাৰ্থ মাত্তিকা ভিন্ন অন্য কিছ* বলিয়া উপলব্ধি হয না, সেইরােপ কারণ ভিন্ন অন্য কিছ বলিয়া উপলব্ধি না হওয়ায় সৰুব প্রকার বিকার পদাৰ্থই অসৎ। উৎপত্তির পর্বে এবং ধবংসের পরে, মাত্তিকাদি কারণ হইতে উৎপন্ন ঘটাদি কায্যের উপলব্ধি হয় না। সেই সকল কারণও আবার তাহদের কারণ হইতে ভিন্ন বলিয়া উপলব্ধি হয় না, সতরাং ত্যাহারাও অসৎ। এস্থলে আপত্তি হইতে পারে, কারণসমােহ এইরপে অসৎ হইলে সকল পদার্থই অসৎ হইয়া পড়ে (সৎ আর কিছই থাকে না)। এরােপ আপত্তির খন্ডন এই যে, সকল স্থলেই দই প্রকার জ্ঞান উৎপন্ন হয়; সৎ বলিযা জ্ঞান ও অসং বলিযা জ্ঞান। যে বস্তুর জ্ঞানের ব্যভিচার matter, সতরাং তিনি “মাত্রাসপশাঃ” পদের অন্যবাদে 'Matter-contacts” লিখিয়াছেন। পরিমাণজ্ঞানের জন্য ইন্দুিয়াবিষয়েরও যে আবশ্যকতা, তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই। সাংখ্যদর্শনের “তলমাত্র” শব্দের তাৎপৰ্য্য বিচার করা কত্তব্য। বলা বাহাল্য যে, আমি বিশ্বনাথ চক্রবত্তীর্ণ ও ডেভিস সাহেবকে পরিত্যাগ BDD DDBBDBu S gDB DBDD DBDBB DBDD

  • অৰ্থাৎ ঘটের জ্ঞান জমিতে গেলে তাহার সঙ্গে সঙ্গেই মাত্তিকার জ্ঞান জন্মায়। মাত্তিকার জ্ঞান না জলমাইলে ঘটের জ্ঞান জন্মায় না, সতরাং ঘাট অসৎ, উহার কারণ মাত্তিকা সৎ।

GANS SR