পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীমন্তগৰক্ষগীতা যাহা সৰ্ব্বব্যাপী, তাহার বিনাশ হইতে পারে না; কেন না, যত কাল কিছ থাকিবে, তত কাল সেই সব্বব্যাপী সত্তাও থাকিবে। যত কাল কিছ: থাকিবে, তত কাল সেই সব ব্যাপী সত্তা সব্বব্যাপীই থাকিবে । অতএব তাহা অব্যয় । আকাশ সকবব্যাপী, আকাশের বিনাশ বা ক্ষয় আমরা মনেও কলপনা করিতে পারি না। আকাশ অবিনাশী এবং অব্যয। যিনি সব ব্যাপী, সতরাং আকাশও যাঁহার দ্বারা ব্যাপ্ত, তিনিও অবিনাশী ও অবায়। কাজেই বোেহই ইহার বিনাশসাধন করিতে পারে না। এক্ষণে এই কথার দ্বারা আর কয়েকটি কথা সচিত হইতেছে। সেই সকল কথা হিমাদ - ধন্মের স্থলে কথা, এ জন্য এখানে তাহার উত্থাপন করা উচিত। প্রথমতঃ এই শ্লোকের দ্বারা সিদ্ধ হইতেছে যে, ঈশ্বর নিরাকার, সাকার হইতে পাবেন না। যাহা সাকার, তাহা সৰ্ব্বব্যাপী হইতে পারে না। সাকার ইন্দ্রিয়াদির গ্রাহ্য। আমরা জানি। মে, ইন্দুিয়াদির গ্রাহ্য সাকার সকল ব্যাপী কোন পদাৰ্থ নাই। অতএব ঈশ্বর যদি সৰস্ব ব্যাপী হযেন, তবে তিনি সাকার নহেন। ঈশ্বব্য সাকার নহেন, ইহাই গীতার মত। কেবল গীতার নহে, হিন্দ শাস্ত্রের এলং হিন্দধন্মের ইহাই সাধারণ মত। উপনিষৎ এবং দর্শনশাস্ত্রের এই মত। সে সকলে ঈশ্বর সব্বব্যাপী চৈতন্য বলিয়া নিদিষ্ট হইসাছেন। সত্য বটে, পরাণেতিহাসে ব্ৰহ্মা বিষ্ণৰ মহেশ্বর প্রভৃতি সাকার চৈতন্য কলিপিত হইযা অনেক স্থলে ঈশ্বর স্বরপ উপাসিত হইয়াছেন। সে কারণে এইরােগ ঈশ্বরের রপকলপনাব প্রযোজন বা উদ্ভব হইয়াছিল, তােহর অন্যাসন্ধানের এ স্থলে প্রযোজন নাই । কেবল ইহাই বক্তব্য যে, পরাণেতিহাসে শিবাদি সাকার বলিয়া কথিত হইলেও পরাণ ও ইতিহাসকারেরা ঈশ্বরের সাকারতা প্ৰতিপন্ন করিতে চাহেন না, ঈশ্বর যে নিরাকার, তাহ’ কখনাই ভুলেন না। পরাণেতিহাসেও ঈশ্বর নিরাকার। একটা উদাহরণ দিলেই আমার কথার তাৎপৰ্য্য বাবা যাইবে। বিষ্ণুপরাণের প্রহTাদচরিত্র ইহার উদাহরণস্বরুপ গ্ৰহণ করা ঘাউক। তথম বিষ্ণই ঈশ্বর। প্ৰহাদ তাঁহাকে “নমস্তে পােন্ডরীকাক্ষ" বলিযা স্তব করিতেছেন। অন্য স্থলে স্পষ্টতঃ সাকারতা স্বীকার করিতেছেন। যথা - ব্ৰহ্মত্বে সাজতে বিশ্বং স্থিতৌ পালয়তে পােনাঃ। রদ্রেরপাব কলপান্তে নমস্তুভ্যং ত্রিমািত্তয়ে৷ এবং পরিশেষে পীতাম্বর হরি সশরীরে প্রহাদকে দশন দিলেন। কিন্তু তথাপি এই প্ৰহাদ চরিত্রে বিষ্ণু নিরাকার; তাঁহার নাম “অনন্ত,” তিনি “সব্বব্যাপী”। যিনি অনন্ত এবং সব্বব্যাপী, তিনি নিরাকার ভিন্ন সাকার হইতে পারেন না ; এবং তিনি যে নিগণ ও নিরাকার, তাহা পািনঃ পািনঃ কথিত হইয়াছে। যথা নমস্তস্মৈ নমস্তস্মৈ নমস্তস্মৈ পরাত্মনে। নােমর পং ন যস্যৈকে যোহস্তিত্বেনোপলভ্যতে৷ ইত্যাদি। ১ । ১৯ ।। ৭১ পােনশ্চ বিষ্ণু ‘অনাদিমধ্যান্তঃ,” সতরাং নিরাকার। এরপ সকল পরাণে ইতিহাসে। অতএব ঈশ্বর নিরাকার, ইহাই যে হিন্দী ধর্মের মৰ্ম্ম, ইহা এক প্রকার নিশ্চিত । তবে কি হিন্দধৰ্ম্মে সাকারের উপাসনা নাই ? গ্রামে গ্রামে ত প্রত্যহ প্রতিমা-পাজা দেখিতে পাই, ভারতবর্ষ প্রতিমাচ্চ নায় পরিপণ। তবে” হিন্দধমে সাকারবাদ নাই কি প্রকারে বলিব ? ইহার উত্তর এই যে, অন্য দেশে যাহা হউক, হিন্দরে প্রতিমাচ্চন সাকারের উপাসনা নয: এবং যে হিন্দ প্রতিমাচ্চনা করে, সে নিতান্ত অজ্ঞ ও অশিক্ষিত না হইলে মনে করে না যে, এই প্রতিমা ঈশ্বর, অথবা ঈশ্বরের এইরুপ আকার বা ইহা ঈশ্বরের প্রকৃত প্রতিমা। যে একখানা মাটির কালী গড়িয়া পজা করে, সে যদি সাবকৃত উপাসনার কিছ মাত্র বঝে, তবে সে জানে, এই চিত্রিত মৎপিন্ড ঈশ্বর নহে বা ঈশ্বরের প্রতিমা নহে, এবং সে জানে, তাহা ঈশ্বরের প্রতিকৃতি হইতে পারে না। তবে সে মাটির তালের পজা করে কেন ? সে যাঁহার পজা করিবে তাঁহাকে খাজিয়া পায় না। তিনি অদশ্য, অচিন্তনীয়, ধ্যানের অপ্রাপ্য, অতএব উপাসনার অতীত। কাজেই সে DBDDBBD DDBDD BBBSB DBDDD DBD DBDBDDDu S uuB BBBBB BBBS DDD DDD তোমাকে দেখিতে পাই না; তুমি সব্বত্রই আবিভূতি হইতে পাের, অতএব আমি দেখিতে পাই, CRS (t