পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बभ्का ब्रष्नाबढ्ी ধৰ্ম্মতত্ত্বে আমি আর আর উদাহরণের দ্বারা বঝাইয়াছি যে, সকল প্রকার অনন্ঠেয় কৰ্ম্মমই নি✉কাম হইতে পারে। অতএব পািনরক্তি অনাবশ্যক। নিস্কাম কম্পম সম্পবন্ধে একটি প্রথম কথা। এ তত্ত্ব ক্রমশঃ আরও পরিসফট ও বিশদ হইবে। যোগস্থঃ কুর, কম্পমণি সঙ্গং ত্যক্ত বা ধনঞ্জয়। সিদ্ধ্যসিদ্ধ্যোঃ সমো ভূত্বা সমত্বং যোগ উচ্যতে ॥ ৪৮ ৷৷ হে ধনঞ্জয়! যোগস্থ হইয়া “সঙ্গ” ত্যাগ করিয়া কৰ্ম্ম কর। সিদ্ধি ও অসিদ্ধিকে তুল্য জ্ঞান করিয়া (কৰ্ম্মম কর)। (এইরপ) সমত্বকে যোগ বলে। ৪৮ । পািকবশ্লোকে ফলাকাঙক্ষাশন্য যে কম, তাহাই বিহিত হইয়াছে। এক্ষণে সেইরােপ কৰ্ম্ম করার পক্ষে তিনটি বিধি নিদিদ আট হইতেছে প্রথম, যোগস্থ হইয়া কম করবে। দ্বিতীয়, সঙ্গ ত্যাগ করিয়া কম্পমা করিবে। তৃতীয়, সিদ্ধি ও অসিদ্ধিতে তুল্যজ্ঞান করিবে। ক্রমশঃ এই তিনটি বিধি বঝিতে চেস্টা করা যাউক । প্রথম, যোগস্থ হইয়া কম্পমা করিবে। যোগ কি ? যোগ শব্দ গীতায় স্থানে স্থানে ভিন্ন ভিন্ন অৰ্থে ব্যবহৃত হইয়াছে, ইহা পাবে বলিয়াছি। পাঠককে বঝাইতে হইবে না যে, যাহাকে পতঞ্জলি ঠাকুর “চিত্তব্যক্তিনিরোধ” বলিয়াছেন, সেরাপ কথা হইতেছে না। এখানে “যোগ” শব্দের অর্থে শ্ৰীধর সবামীর মতে “পরমেশ্বরৈকপরতা।“ শঙকরাচায্যও তাহাঁই বঝিয়াছেন। তিনি বলেন, “যোগস্থ সন কুর, কম্পমণি কেবলমীশ্বরাথমি।” কিন্তু শ্লোকের শেষাংশের ব্যাখ্যাকালে তিনি বলিয়াছেন, “কোহসৌ যোগো যন্ত্ৰস্থঃ কুব্বি তুর্ভূক্তমিদমেব তৎ সিদ্ধ্যসিদ্ধ্যোঃ সমত্বং যোগ উচ্যতে।” স্থল কথা, যোগ কি, তাহা যখন এই শ্লোকেই ভগবান বঝাইয়াছেন, তখন আর ভিন্ন অর্থ খাঁজবার প্রয়োজন কি ? সিদ্ধি ও অসিদ্ধিতে যে সমত্বজ্ঞান, তাহাঁই যোগ। তৃতীয় বিধি বঝিলেই তাহা বঝিব। তৃতীস্য বিধি, প্রথম বিধির সম্প্রসারণ মাত্র। সম্প্রসারণকে পািনরক্তি दवा या का । তৃতীয় বিধির আগে দ্বিতীয় বিধি বাবা যাউক । “সঙ্গ” ত্যাগ করিয়া কম করিবে। সঙ্গ কি ? শ্ৰীধর বলেন, “কত্ত্বত্বাভিনিবেশঃ।" আমি কত্তা, এই অভিনিবেশ পরিত্যাগ করিয়া, কেবল ঈশ্বরাশ্রয়ে অর্থাৎ ঈশ্বরই কত্তা, ইহা জানিমা কম করবে। শওকর বলেন, “যোগস্থঃ সন কুর, কমাণি, কেবলমীশ্বরাথং তত্ৰাপীশ্বরো মে তুষ্যত্বিতি সঙ্গং ত্যক্তবা,” কেবল ঈশ্বরার্থ কৰ্ম্মম করিবে, কিন্তু ঈশ্বর তত্তজনা আমার শাভ করন, এরপ কামনা পরিত্যাগ করিয়া কৰ্ম্ম করিবে। ফলে, ফলকামনা ত্যাগই সঙ্গত্যাগ, এইরুপ অর্থে “সঙ্গ” শব্দ পািনঃ পানঃ গীতায্য ব্যবহৃত হইয়াছে, দেখা যায়। এক্ষণে তৃতীয় বিধি বাবা যাউক। কৰ্ম্মসিদ্ধি, এবং কম্পেমর অসিদ্ধিকে তুল্য জ্ঞান করিতে হইবে, এই সমত্বজ্ঞানই যোগ। এই কথা জ্ঞানবাদী শঙ্করাচাৰ্য্য যেরােপ বসবাইয়াছেন, আমাদের মত অজ্ঞানীদিগের সেরপি বব্যান্য বিশেষ লাভ নাই। তাঁহার মত এই যে, জ্ঞানপ্রাপ্তি কৰ্ম্মেমরি সিদ্ধি। তাই তিনি বলেন যে, “সত্ত্বশীদ্ধিজা জ্ঞানপ্ৰাপ্তিলক্ষণা সিদ্ধিঃ।” এবং “তদ্বিপৰ্য্যয়জা। অসিদ্ধি”। শ্ৰীধর ঠাকুরও এখানে শঙ্করাচায্যের অন্যবিত্তীর্ণ। তিনি বলেন “কদম ফলস্য জ্ঞানসা সিদ্ধ্যসিদ্ধ্যোঃ” ইত্যাদি। এখন জ্ঞান, কমের ফল কি না, সে বিচারের প্রয়োজন নাই। স্থানান্তরে সে বিচারে প্রবত্ত হইতে হইবে। আপাততঃ যে কথাটা উপস্থিত, তাহার সোজা অৰ্থ বঝিতে পারিলে আমাদিগের পরম লাভ হইবে। টীকাকার মধ্যসদন সরস্বতী সেই সোজা অৰ্থ বসবাইয়াছেন। তিনি বলেন, “সিন্ধ্যসিদ্ধ্যোঃ সমো ভূত্বেতি ফলিসিদ্ধৌ হৰ্ষং ফলাসিদ্ধৌ চ বিষাদং ত্যক্তৰা” ইত্যাদি। ফলসিদ্ধিতে হর্ষ ত্যাগ এবং ফলের অসিদ্ধিতে বিষাদত্যাগ, ইহাই সিদ্ধি অসিদ্ধিতে সমত্বজ্ঞান। সাধারণ পাঠকের ইহাই সঙ্গত অৰ্থ বলিয়া বোধ হইবে। যে নিৰ্ম্মকামী, ফলকামনা করে না, তাহার ফিলিসিদ্ধিতে হৰ্ষ হইতে পারে না এবং অসিদ্ধিতে বিষাদ জলিমতে পারে না। যত দিন। সে ফলিসিদ্ধিতে আনন্দ লাভ করে, তত দিন বকিতে হইবে যে, সে ফলকামনা করে-কেন না, ফলকামনা না করিলে ফলিসিদ্ধিতে হৰ্ষলাভ করিবে কেন। কম্পমকারী নিহুকাম হইলে, তাহার aО8