পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वध्किम ब्रफ़नावली প্রণব মন্ত্রের লক্ষ্য অগ্নিগত শক্তি সম্পবন্ধে যিনি চিন্তা করিতে চান, অথবা উক্ত শক্তির সাহায্যে যিনি কোন কম্পমা করিতে চান, তাঁহাকে সব্বপ্রথমে উক্ত মন্ত্রের ঋষি কে-তােহা জানিতে হইবে। মন্ত্রের ঋষি কে-ইহা না জানিয়া অর্থাৎ মন্ত্রের লক্ষ্য শক্তি কিরুপ চেতনাযািক্ত ইহা না জানিয়া যিনি মন্ত্র সাহায্য গ্রহণ করেন তাঁহাকে পাপভাক হইতে হয়, ইহা শ্রীতির কথা। যোহ হরহারবিদিতঋষিছন্দো দৈবতবিনিয়োগেন ব্রাহ্মণেন বা মন্ত্রেণ বা যজাতি যাজয়তি বা’ অধীতে অধ্যাপয়তি বা হোমে কম্পমণি আন্তজালাদেী বা স পাপীয়ান ভবতি । এখন দেখ বেদোক্ত ধৰ্ম্মমাচারী ঋষিগণকে জড়োপাসক বলা কি কোন ক্রমে সঙ্গত হয় ? যে পাশ্চাত্ত্যগণ হিন্দদের জড়োপাসক বলেন, প্রকৃতপক্ষে তাঁহারাই জড়োপাসক। পাশ্চাত্তাগণ আজকাল নানা প্রকার প্রাকৃতিক শক্তির সাহায্য অবলম্বন করিয়া নানাবিধ কৰ্ম্মে প্রবত্ত হইয়াছেন; কিন্তু ঐ সকল শক্তি যে চৈতন্যময়ের চেতনাযাত্ত, ইহা একবারও ভাবেন না। জগতে ঐ সকল শক্তি দ্বারা চৈতন্যময়ের কি প্রকৃত উদ্দেশ্য সাধিত হইবে পাশ্চাত্ত্যগণ তাহা একবার অন্যাসন্ধান করেন না। পাশ্চাত্ত্যগণ ঋষি বিনিয়োগাদি না জানিয়া প্রাকৃতিক শক্তির সহিত খেলা করিতেছেন। শ্রীতি মতে উপহারা পাপভাগী হইতেছেন। আমার বোধ হয়। যেদিন হইতে ডাইনামাইট সষ্টি হইয়াছে সেই দিন হইতে পাশ্চাত্ত্যগণের উক্ত পাপের ফল ফলিবার সত্ৰপাত হইয়াছে। হিন্দরা জড়োপাসক নহে। চেতনাবিহীন পদাৰ্থ হিন্দদের কাছে অসম্পশ্য পদাৰ্থ। আজকাল যাহাকে জড় পদাৰ্থ বলা হয়, যেমন অগ্নি বায় নদী পৰ্ববত ইত্যাদি, ইহারা হিন্দদের কাছে চৈতন্যময়ের চেতনাযািক্ত পদার্থ। চেতনাবিহীন পদাৰ্থ অ্যার মত শরীর এই দাইটি কথায় হিন্দ একই অৰ্থ বঝিয়া থাকেন। মত শরীরের সংস্পশোঁ হিন্দ থাকিতে চান না।-“প্রচার", sभ व्यक्ष, 91. 8२१-७o । হিন্দধৰ্ম্মম সম্পবন্ধে একটি স্থল কথা আমরা বেদের দেবতা তত্ত্ব সমাপন করিষাছি। এক্ষণে ঈশ্বরতত্ত্ব সমালোচনে প্রবত্ত হইব। পরে আনন্দময়ী ব্ৰহ্ম কথায় আমরা প্রবেশ কবিব। একজন ঈশ্বর যে এই জগৎ সন্ট করিয়াছেন, এবং ইহার স্থিতিবিধান ও ধবংস করিতেছেন, এই কথাটা আমরা নিত্য শনি বলিয়া, ইহা যে কত গরতের কথা, মনষ্যবিদ্ধির কত দর দম্প্রাপ্য, তাহা আমরা অন্যধাবন করিয়া উঠিতে পারি না। মনষ্যজ্ঞানের অগম্য যত তত্ত্ব আছে, সম্ববাপেক্ষা ইহাই মনষ্যের বদ্ধির অগম্য। এই গরতব কথা, যাহা আজিও কৃতবিদ্য সভ্য মনষ্যেরা ভাল করিয়া বঝিতে পারিতেছে না, তাহা কি আদিম অসভ্য জাতিদিগের জানা ছিল ? ইহা অসম্ভব। বিজ্ঞান” প্রভূতি ক্ষদ্রতর জ্ঞানের উন্নতি আতি ক্ষদ্র বীজ হইতে ক্ৰমশঃ হইয়া আসিতেছে ; তখন সব্বাপেক্ষা দম্প্রাপ্য ও দকেবাধ্য যে জ্ঞান তাহাই আদিম মনষ্যে সব্বাগ্রে লাভ করিবে, ইহা সম্ভব নহে। অনেকে বলিবেন, ও বলিয়া থাকেন, ঈশ্বরকৃপায় তাহা অসম্ভব নহে; যাহা মনষ্যে উদ্ধারের জন্য নিতান্ত প্রয়োজনীয়, তাহা কৃপা করিয়া তিনি অপাকবদ্ধি আদিম মনষ্যের হৃদয়ে প্রকটিত করিতে পারেন; এবং এখনও দেখিতে পাই যে, সভ্য সমাজস্থিত অনেক অকৃতবিদ্য মাখেরও ঈশ্বরজ্ঞান আছে। এ উত্তর যথাৰ্থ নহে। কেন না, এখন পথিবীতে যে সকল অসভ্য জাতি বত্তমান আছে, তাহদের মধ্যে অন্যাসন্ধান করিয়া দেখা হইয়াছে যে, তাহদের মধ্যে প্রাযই ঈশ্বরজ্ঞান নাই। একটা মনষ্যের আদি পরিষ কিবা একটা বড় ভূত বলিয়া কোন অলৌকিক চৈতনো কোন কোন অসভ্য জাতির বিশ্বাস থাকিতে পারে, কিন্তু তাহা ঈশ্বরজ্ঞান নহে। তেমনি সভ্য সমাজস্থ নিকেবােধ মািখ ব্যক্তি

  • হিন্দীশাস্ত্রে যাঁহারা অভিজ্ঞ তাঁহাবা জানেন যে, “বিজ্ঞান” অর্থে Science নহে। কিন্তু এক্ষণে ঐ অর্থে তাহা ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে বুলিয়া আমিও ঐ অর্থে ব্যবহার করিতে বাধ্য। "নীতি” 8 ঐরােপ দশা ঘাঁটিয়াছে। নীতি অর্থে Politics কিন্তু এখন আমরা ‘Morals” অর্থে ব্যবহার

፵ቅ8