পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী মাধয্য বিকীর্ণ করিতে করিতে যাইতেছে। তবে বহনতন্ত্রীবিশিষ্ট বাদের তন্ত্রীতে অঙ্গলিসােপশের ন্যায়, ঐ গীতিধৰনি আমার হৃদয়কে আলোড়িত করিল কেন ? কেন, কে বলিবে ? রাত্রি জ্যোৎস্নময়ী-নদী-সৈকতে কৌমাদী হাসিতেছে। অদ্ধাব্যতা চলিয়াছেন; রাজপথে কেবল আনন্দ-বালক, বালিকা, যবক, যাবতী, প্রৌঢ়া, বাদ্ধা, বিমল চন্দ্রকিরণে স্নাত হইয়া আনন্দ করিতেছে। আমিই কেবল নিরানন্দ-তাই ঐ সঙ্গীতে আমার হৃদয়যন্ত্র বাজিয়া উঠিল। আমি একা-তাই এই সঙ্গীতে আমার শরীর কণ্টকিত হইল। এই বহজনাকীর্ণ নগরীমধ্যে, এই আনন্দময়, অনন্ত জনস্রোতোমধ্যে, আমি একা। আমিও কেন ঐ অনন্ত জনস্রোতোমধ্যে মিশিয়া, এই বিশাল আনন্দতরঙ্গ-তাড়িত জলবদ্ধদাসমহের মধ্যে আর একটি বদ্বদ না হই ? বিন্দ বিন্দ বারি লইয়া সমদ্রা; আমি বারিবিন্দ এ সমদ্রে মিশাই না কেন ? তাহা জানি না-কেবল ইহাই জানি যে, আমি একা। কেহ একা থাকিও না। যদি অন্য কেহ তোমার প্রণয়ভাগী না হইল, তবে তোমার মনষ্যেজন্ম ব্যথা। পল্প সদগন্ধি, কিন্তু যদি ঘাণগ্রহণকত্তা না থাকিত, তবে পল্প সগন্ধি হইত না—ঘাণেন্দ্রিয়বিশিষ্ট না থাকিলে গন্ধ নাই। পল্প আপনার জন্য ফটে না। পরের জন্য তোমার হৃদয়-কুসমকে প্রস্ফটিত করিও। কিন্তু বারেক মাত্র শ্রত ঐ সঙ্গীত আমার কেন এত মধ্যর লাগিল, তাহা বলি নাই। অনেক দিন আনন্দোখিত সঙ্গীত শনি নাই—অনেক দিন আনন্দানভব করি নাই। যৌবনে, যখন পথিবী সন্দিরী ছিল, যখন প্রতি পক্ষেপ সাগন্ধ পাইতাম, প্রতি পত্ৰমৰ্ম্মরে মধর শব্দ শনিতাম, প্রতি নক্ষত্রে চিত্রা রোহিণীর শোভা দেখিতাম, প্রতি মনষ্যেমখে সরলতা দেখিতাম, তখন আনন্দ ছিল। পথিবী এখনও তাই আছে, সংসার এখনও তাই আছে, মনষ্য চরিত্র এখনও তাই আছে। কিন্তু এ হৃদয় আর তাই নাই। তখন সঙ্গীত শনিয়া আনন্দ হইত। আজি এই সঙ্গীত শনিয়া সেই আনন্দ মনে পড়িল। যে অবস্থায়, যে সখে সেই আনন্দ অনভূত করিতাম, সেই অবস্থা, সেই সখি মনে পড়িল। মহাত্ত জন্য আবার যৌবন ফিরিয়া পাইলাম। আবার তেমনি করিয়া, মনে মনে, সমবেত বন্ধমন্ডলীমধ্যে বসিলাম; আবার সেই অকারণসঞ্জাত উচ্চ হাসি হাসিলাম, যে কথা নিষ্পপ্রয়োজনীয় বলিয়া এখন বলি না, নিম্পপ্রয়োজনেও চিত্তের চাঞ্চল্য হেতু তখন বলিতাম, মনে গ্ৰহণ করিলাম। ক্ষণিক ভ্ৰান্তি জন্মিল—তাই এ সঙ্গীত এত মধর লাগিল। শােধ, তাই নয়। তখন সঙ্গীত ভাল লাগিত,-“এখন লাগে না- চিত্তের যে প্ৰফল্লিতার জন্য ভাল লাগিত, সে প্রফতুল্লতা নাই বলিয়া ভাল লাগে না। আমি মনের ভিতর মন লাকাইয়া সেই গত যৌবনসখি চিন্তা করিতেছিলাম-সেই সময়ে এই পাকবািসন্মতিসচক সঙ্গীত কণে প্রবেশ করিল, তাই এত মধর বোধ হইল। সে প্রফােল্লতা, সে সখি, আর নাই কেন? সখের সামগ্রী কি কমিয়াছে ? অজািন এবং ক্ষতি উভয়েই সংসারের নিয়ম। কিন্তু ক্ষতি অপেক্ষা অর্জন অধিক, ইহাও নিয়ম। তুমি জীবনের পথ যতই অতিবাহিত করবে, ততই সখদ সামগ্ৰী সঞ্চয় করবে। তবে বয়সে সাফাত্তি কমে কেন ? পথিবী আর তেমন সন্দেরী দেখা যায় না কেন? আকাশের তারা আর তেমন জবলে না কেন ? আকাশের নীলিমায় আর সে উত্তজবলতা থাকে না কেন ? যাহা তৃণপল্লবময়, কুসমসবাসিত, স্বচ্ছ কল্লোলিনী-শীকর-সিক্ত, বসন্তপবনবিধত বলিয়া বোধ হইত, এখন তাহা বালকাময়ী মরুভূমি বলিয়া বোধ হয় কেন ? কেবল রঙ্গিল কাচ নাই বলিয়া। আশা সেই রঙ্গিল কাচ। যৌবনে অভিজাত সখি অলপ, কিন্তু সখের আশা অপরিমিতা। এখন অভিজাত সখি অধিক, কিন্তু সেই ব্ৰহ্মা"ডব্যাপিনী আশা কোথায় ? তখন জানিতাম না, কিসে কি হয়, অনেক আশা করিতাম। এখন জানিয়াছি, এই সংসার চক্রে আরোহণ করিয়া, যেখানকার আবার সেইখানে ফিরিয়া আসিতে হইবে; যখন মনে ভাবিতেছি, এই অগ্রসর হইলাম, তখন কেবল BDDBD DDDBDD D S ggBB DBBDD BBSDDBBBSBBD DB BBDD DDBS DBB তরঙ্গে আমাকে প্ৰহত করিয়া আবার আমাকে কলে ফেলিয়া যাইবে। এখন জানিয়াছি যে, এ অরণ্যে পথ নাই; এ প্রান্তরে জলাশয় নাই, এ নদীর পার নাই, এ সাগরে দ্বীপ নাই, এ অন্ধকারে নক্ষত্ৰ নাই। এখন জানিয়াছি যে, কুসমে কীট আছে, কোমল পল্লবে কণ্টক আছে, আকাশে মেঘ ó0