পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

के धब्रष्न्ल १८शुद्ध कबिडान९शह-कृभिका গরিফার গৌরব রামকমল সেন, কেশবচন্দ্ৰ সেন, কৃষ্ণবিহারী সেন, প্রতাপচন্দ্র মজমিদার। কুমারহট্টের গৌরব কবিরঞ্জন রামপ্রসাদ। কাঁচরাপাড়ার একটি অলঙ্কার ঈশ্বরচন্দ্ৰ গগুপ্ত।* কাঁচরাপাড়া গ্রামে রামচন্দ্ৰ দাস একটি বৈদ্যবংশের আদি পরিষ। তাঁহার একমাত্র পত্রের নাম রামগোবিন্দ। রামগোবিন্দের দই পত্র, (১) বিজয়রাম, (২) নিধিরােম। বিজয়রাম পন্ডিত বলিয়া খ্যাত ছিলেন। সংস্কৃত ভাষায় তাঁহাব বিলক্ষণ অধিকার ছিল। সেই জন্য তিনি বাচস্পতি উপাধি প্রাপ্ত হয়েন। তাঁহার একটি টােল ছিল, তথায় অনেক ছাত্র সংস্কৃত, সাহিত্য, ব্যাকরণ, কাব্য, অলঙ্কার প্রভৃতি তাহার নিকট শিক্ষা করিত। তিনি সংস্কৃত ভাষায় কয়েকখানি গ্রন্থ প্রণয়ন করেন, কিন্তু তােহা প্রকাশিত হয় নাই। কনিষ্পাঠ নিধিরাম, আয়ন্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্রে বিলক্ষণ ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়াছিলেন। তিনি কবিভূষণ উপাধি পাইয়াছিলেন। নিধিরামের তিনটি পত্র জন্মে, (১) বৈদ্যনাথ, (২) ভোলানাথ এবং (৩) গোপীনাথ । গোপীনাথের প্রথম পক্ষের দ্বিতীয় পত্র হরিনারায়ণ দাসের ঔরসে শ্ৰীমতী দেবীর গর্ভে (১) গিরিশচন্দ্র, (২) ঈশ্বরচন্দ্র, (৩) রামচন্দ্র, (৪ । শিবচন্দ্র এবং একটি কনা জন্ম গ্রহণ করেন। ঈশ্বরচন্দ্র, পিতার দ্বিতীয় পত্র। তিনি ১৭৩৩ শকের (বাঙ্গালা ১২১৮ সালে) ২৫এ ফালগনে শক্রবারে কাঁচরাপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। গপ্তেরা তাদশ ধনী ছিল না ; মধ্যবিত্ত গহস্থ। পৈতৃক ধানক্ষেত্র পঙ্করিণী, উদ্যান, এবং রাইযতি জমির আয়ে এই একান্নভুক্ত পরিবারের কোন অভাব ঘটিত না। সমাজ মধ্যে এই গহস্থেরা মান্য গণ্য ছিল। ঈশ্বরচন্দ্রেব পিতা, চিকিৎসা-ব্যবসায় ত্যাগ করিয়া, সবগ্রামের নিকট শেয়ালডাঙ্গার কুটিতে মাসিক ৮১ টাকা বেতনে কাজ করিতেন। কলিকাতা জোড়াসাঁকোয় ঈশ্বরচন্দ্রেব মাতামহস্তাশ্রম। ঈশ্বরচন্দ্র শৈশব হইতেই স্বীয় জননীর সহিত কাঁচরাপাড়া, এবং মাতামহাশ্রমে বাস করিতেন। মাতামহ রামমোহন গগুপ্ত উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে কানপরে বিষয়-কক্ষমা করিতেন। মাতামহের অবস্থা বড় ভাল ছিল না। ঈশ্বরচন্দ্রেব বাল্যকালের যে দই একটা কথা জানা যায়, তাহাতে বোধ হয়, ঈশ্বর বড় দর্যন্ত ছেলে ছিলেন। সাহসটা খাব ছিল। পাঁচ বৎসর বন্যসে কালীপজার দিন অমাবস্যার রাত্রে, একা নিমন্ত্রণ রাখিতে গিয়াছিলেন। অন্ধকারে, একজন কেহ পথে তাঁহার ঘাডে পড়িয়া গিয়াছিল । সে ঘোর অন্ধকারে তাঁহাকে চিনিতে না পারিয়া জিজ্ঞাসা করিল -- “কেরে ?-কে যায় ?” “আমি ঈশ্বর।” “একেলা এই অন্ধকারে অমাবস্যার রাত্ৰিতে কোথায় যাইতেছিস ?” “ঠাকুর মশায়ের বাড়ী লাচি আনিতে।" দেশকাল গণে এ সাহসের পরিণাম-হোগলকুড়িয়ায় বসিয়া কবিতা লেখা ! ঈশ্বরচন্দ্রের বয়ঃক্রম যৎকালে ১০ বৰ্ষ, সেই সময়ে তাঁহার মাতার মাতৃত্যু হয়। সত্ৰীবিয়োগের কিছদিন পরেই তাঁহার পিতা হরিনারায়ণ দ্বিতীয় বার বিবাহ করেন। তিনি বিবাহ করিয়া শ্বশরালয় হইতে বাটী না আসিয়া কাৰ্য্যস্থলে গমন করেন। নব বধ, একাকিনী কাঁচরাপাড়ার বাটীতে আসিলে, হরিনারায়ণের বিমাতা (মাতা জীবিতা ছিলেন না) তাঁহাকে বরণ করিয়া লইতেছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্র সেই সময়ে যাহা করিয়াছিলেন, তাহা তাঁহার চরিত্রের উপযোগী বটে। ঈশ্বরচন্দ্রের এই মহৎ গণ ছিল যে, তিনি খাঁটি জিনিষ বড় ভালবাসিতেন, মেকির বড় শত্র। এই সংগ্রহস্থিত কবিতাগলি পড়িলেই পাঠক দেখিতে পাইবেন যে, কবি মেকির বড় শত্র-সকল রকম মেকির উপর তিনি গালি। বষণা করিতেছেন-গবণর জেনেরাল হইতে কলিকাতার মটে পয্যন্ত কাহারও মাফ নাই। এই বিমাতার আগমনে কবির সঙ্গে মেকির প্রথম সম্পমখ সাক্ষাৎ। খাঁটি মা কোথায় চলিয়া গিয়াছে- তাহার স্থানে একটা মেকি মা আসিয়া দাঁড়াইল । মেকির শত্র ঈশ্বরচন্দ্রের রাগ আর সহ্য হইল না, এক

  • এই প্রদেশের বৈদ্যাগণ রাজকায্যেও বিশেষ প্রতিপত্তি লাভ করিয়াছেন। নাম করিলে অনেকের নাম করা যাইতে পারে।

br○Q