পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बास्कब ब्रष्नाबव्ी গাছা রইেল লইয়া সর্বীয় বিমাতাকে লক্ষ্য করিয়া বিষম বেগে তিনি নিক্ষেপ করিলেন। কবিপ্রযক্ত রল সৌভাগ্যক্রমে, বিমাতার অপেক্ষা আরও অসার সামগ্রী খাজিল-বিমাতা ত্যাগ করিয়া একটা কলা গাছে বিধিয়া গেল। অস্ত্র ব্যর্থ দেখিয়া কিরাতপরাজিত ধনঞ্জয়ের মত ঈশ্বরচন্দ্র এক ঘরে ঢকিয়া সমস্ত দিন দ্বার রদ্ধ করিয়া রহিলেন। কিন্তু বরদানাথ পিনাকহস্তে পশপতি না আসিয়া, প্রহরার্থ জতাহন্তে জ্যেঠা মহাশয় আসিয়া উপস্থিত। জ্যেঠা মহাশয় দ্বারা ভাঙ্গিয়া ঈশ্বরচন্দ্রকে পাদকো প্রহার করিয়া চলিয়া গেলেন। কিন্তু ঈশ্বরচন্দ্রের পাশাপত অস্ত্ৰ সংগ্ৰহ হইল সন্দেহ নাই। তিনি বঝিলেন, এ সংসার মেকি চলিবার ঠাঁই-মেকির পক্ষ হইয়া না চলিলে এখানে জতা খাইতে হয়। ইহার পর, যখন তাঁহার লেখনী হইতে অজস্র তীৱ জবালাবিশিষ্ট বক্রোক্তি সকল নিগত হইল, তখন পথিবীর অনেক রকম মেকি তাঁহার নিকট জােতা খাইল। কবিকে মারিলে, কবি মারা তুলিয়া রাখেন। ইংরেজ সমাজ বায়রাণকে প্ৰপীড়িত করিয়াছিল-বায়ারণ, ডন জয়ানে তাহার শোধ লাইলেন। পরে ঈশ্বরচন্দ্রের পিতামহ আসিয়া সান্ত্বিনা করিয়া বলেন, “তোদের মা নাই, মা হইল, তোদেরই ভাল। তোদেরি দেখিবে শানিবে।” আবার মেকি! জ্যেঠা মহাশয় যা হৌক-খাঁটি রকম জনতা মারিয়া গিয়াছিলেন, কিন্তু পিতামহের নিকট এ স্নেহের মেকি ঈশ্বরচন্দ্রের সহ্য হইল না। ঈশ্বরচন্দ্র পিতামহের মাখের উপর বলিলেন,- “হাঁ! তুমি আর একটা বিয়ে করে যেমন বাবাকে দেখছি বাবা আমাদের তেমনই দেখবেন।” দর্যন্ত ছেলে, কাজেই ঈশ্বরচন্দ্র লেখা পড়ায় বড় মন দিলেন না। বদ্ধির অভাব ছিল না। কথিত আছে ঈশ্বরচন্দ্রের যখন তিন বৎসর বয়স, তখন তিনি একবার কলিকাতায় মাতুলালয়ে আসিয়া পীড়িত হয়েন। সেই পীড়ায় তাঁহাকে শয্যাগত হইয়া থাকিতে হয়। কলিকাতা তৎকালে নিতান্ত অস্বাস্থ্যকর ছিল এবং মশা মাছির বড়ই উপদ্রব ছিল। প্রবাদ আছে, ঈশ্বরচন্দ্র শয্যাগত থাকিয়া সেই মশা মাছির উপদ্রবে একদা সম্ভবতঃই আবত্তি করিতে থাকেন - “রেতে মশা দিনে মাছি, এই তাড়িয়ে কলকেতায় আছি।” I lisped in numbers, for the numbers came তাই নাকি ? অনেকে কথাটা না বিশ্বাস করতে পারেন—আমরা বিশ্বাস করিব কি না। জানি না। তবে যখন জন অন্টয়ার্ট মিলের তিন বৎসর বয়সে গ্রীক শেখার কথাটা সাহিত্যজগতে চলিয়া গিয়াছে, তখন এ কথাটা চলক। ঈশ্বরচন্দ্রের পািকব পািরষদিগের মধ্যে অনেকেই, তৎকালে সাধারণ্যে সমাদত পাঁচালি কবি প্রভৃতিতে যোগদান এবং সংগীত রচনা করিতে পারিতেন। ঈশ্বরচন্দ্রের পিতা ও পিতৃব্যদিগের সংগীত রচনা শক্তি ছিল। বীজ গণে নাকি অনেক আশ্চৰ্য্য ঘটনা ঘটে। কিন্তু পাঠশালায় গিয়া লেখা পড়া শিখিতে ঈশ্বরচন্দ্ৰ মনোযোগী ছিলেন না। কখনও পাঠশালায় যাইতেন, কখনও বা টো টো করিয়া খেলিয়া বেড়াইতেন। এ সময় মদখে মখে কবিতা রচনায় তৎপর ছিলেন। পাঠশালার উচ্চশ্রেণীর ছাত্রেরা পারস্য ভাষায় যে সকল পািন্তক অৰ্থ করিয়া পাঠ করিত, শনিয়া, ঈশ্বর তাহার এক এক স্থল অবলম্বন পাকবািক বাঙ্গালা ভাষায় কবিতা রচনা করিতেন। ঈশ্বরচন্দ্ৰকে লেখা পড়া শিক্ষায় অমনোযোগী দেখিয়া, গরজনেরা সকলেই বলিতেন, ঈশ্বর মাখ এবং অপরের গলগ্ৰহ হইবেন। চিরজীবন অন্নবস্ত্রের জন্য কষ্ট পাইবে। সেই অনাবিভ্ৰাট বালক সমাজে লব্ধপ্রবিন্স্ট হইয়াছিলেন। আমাদের দেশে সচরাচীব প্রচলিত প্রথানসারে লেখা পড়া না শিখিলেই ছেলে গেল স্থির করা যায়। কিন্তু ক্লাইব বালককালে কেবল পরের ফলকরা চুরি করিয়া বেড়াইতেন, বড় ফ্রেড্রিক বাপের অবাধ্য বয়াটে ছেলে ছিলেন, এবং আর আর অনেকে এইরপ ছিলেন। কিম্বদন্তী আছে, স্বয়ং কালিদাস নাকি বাল্যকালে ঘোর মাখ ছিলেন। মাতৃহীন হইবার পরই ঈশ্বরচন্দ্ৰ কলিকাতায় আসিয়া মাতুলালয়ে অবস্থান করিতে থাকেন। b*や*