পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बाश्कन ब्रष्नाबव्ी উর শব্দগালিকে অশ্লীল মনে করি না। মা, ভগিনী বা কন্যা কাহারও সম্মখে ঐ সকল কথা ব্যবহার করিতে আমাদের লজা নাই। পক্ষান্তরে স্ত্রীপরিষে মািখচুম্বনটা আমাদের সমাজে অতি অশ্লীল ব্যাপার। কিন্তু ইংরেজের চক্ষে উহা পবিত্ৰ কাৰ্য্য-মাতৃপিতৃ সমক্ষেই উহা নিৰ্ব্ববাহ পাইয়া থাকে। এখন আমাদের সৌভাগ্য বা দভাগ্যক্রমে, আমরা দেশী জিনিষ সকলই হেয় বলিয়া পরিত্যাগ করিতেছি, বিলাতী জিনিষ সবই ভাল বলিয়া গ্রহণ করিতেছি। দেশী সরাচি ছাড়িয়া আমরা বিদেশী সারাচি গ্রহণ করিতেছি। শিক্ষিত বাঙ্গালী এমনও আছেন যে, তাঁহাদের পরস্ত্রীর মািখচুম্পিবনে আপত্তি নাই, কিন্তু পরাস্ত্রীর অনাবািত চরণ। আলতাপরা মলাপরা পা! দর্শনে বিশেষ আপত্তি। ইহাতে আমরা যে কেবলই জিতিয়াছি। এমত নহে। একটা উদাহরেণর দ্বারা বঝাই। মেঘদতের একটি কবিতায় কালিদাস কোন পৰ্ব্বতশঙ্গকে ধরণীর স্তন বলিয়া বৰ্ণনা করিয়াছেন। ইহা বিলাতী রচিবিরদ্ধে। স্তন বিলাতী রচি আনসারে অশ্লীল কথা। কাজেই এই উপমাটি নব্যের কাছে অশ্লীল। নব্যবাব হয়ত ইহা শনিয়া কানে আঙ্গল দিয়া পরস্ত্রীর মািখচুম্ববন ও করপশের মহিমা কীৰ্ত্তনে মনোযোগ দিবেন। কিন্তু আমি ভিন্ন রকম বঝি। আমি এ উপমার অর্থ এই বঝি যে, পথিবী আমাদের জননী। তাই তাঁকে ভক্তিভাবে স্নেহ করিয়া “মাতা বসমেতী” বলি; আমরা তাঁহার সন্তান; সন্তানের চক্ষে মাতৃস্তনের অপেক্ষা সন্দির, পবিত্র, জগতে আর কিছই নাই-থাকিতে পারে না। অতএব এমন পবিত্র উপমা আর হইতে পারে না। ইহাতে যে অশ্লীলতা দেখে, আমার বিবেচনায় তাহার চিত্তে পাপচিন্তা ভিন্ন কোন বিশদ্ধ ভাবের স্থান হয় না। কবি এখানে অশ্লীল নহে,-“এখানে পাঠকের হৃদয় নরক। এখানে ইংরেজি রচি বিশদ্ধ নহে-দেশী রচিই বিশদ্ধ। আমাদের দেশের অনেক প্রাচীন কবি, এইরপ বিলাতী রচির আইনে ধরা পড়িয়া বিনাপরাধে অশ্লীলতা অপরাধে অপরাধী হইয়াছেন। স্বয়ং বালিমীকি কি কালিদাসেরও অব্যাহতি নাই। যে ইউরোপে মসরি জেলার নবেলের আদর, সে ইউরোপের রচি বিশদ্ধ, আর যাঁহারা রামায়ণ, কুমারসম্ভব লিখিয়াছেন, সীতা শকুন্তলার সম্মিট করিয়াছেন, তাহদের রচি অশ্লীল! এই শিক্ষা আমরা ইউরোপীয়ের কাছে পাই। কি শিক্ষা । তাই আমি অনেক বার বলিয়াছি, ইউরোপের কাছে বিজ্ঞান ইতিহাস শিলপ শেখ। আর সব দেশীয়ের কাছে শেখ { অন্যের ন্যায় ঈশ্বর গাংগুও হাল আইনে অনেক স্থানে ধরা পড়েন। সে সকল স্থানে আমরা তাঁহাকে বেকসার খালাস দিতে রাজি। কিন্তু ইহা অবশ্য স্বীকার করিতে হয় যে, আর অনেক স্থানেই তত সহজে তাঁহাকে নিস্কৃতি দেওয়া যায় না। অনেক স্থানে তাঁহার রচি বাস্তবিক কদৰ্য্য, যথাৰ্থ অশ্লীল, এবং বিরক্তিকর। তাহার মাজজনা নাই। ঈশ্বর গপ্তের যে অশ্লীলতার কথা আমরা লিখিলাম, পাঠক তাহা এ সংগ্রহে কোথাও পাইবেন। না। আমরা তাহা সব কাটিয়া দিয়া, কবিতাগলিকে নেড়া মড়া করিয়া বাহির করিয়াছি। অনেকগলিকে কেবল অশ্লীলতাদোষ জন্যই একেবারে পরিত্যাগ করিয়াছি। তবে তাঁহার কবিতার এই দোষের এত বিস্তারিত সমালোচনা করিলাম, তাহার কারণ এই যে, এই দোষ তাঁহার প্রসিদ্ধ। ঈশ্বর গপ্তের কবিত্ব কি প্রকারের তাহা বঝিতে গেলে, তাহার দোষ গণ দই-ই ব্যবইতে হয়। শােধ, তাই নয়। তাঁহার কবিত্বের অপেক্ষা আর একটা বড় জিনিষ পাঠককে বঝাইতে চেন্টা করিতেছি। ঈশ্বর গঞ্জ নিজে কি ছিলেন, তাহাই বাবাইবার চেণ্টা করিতেছি। কবির কবিত্ব বঝিয়া লাভ আছে, সন্দেহ নাই, কিন্তু কবিত্ব অপেক্ষা কবিকে বঝিতে পারলে আরও গরতের লাভ। কবিতা দ্বপািণ মাত্র-তাহার ভিতর কবির অবিকল ছায়া আছে। দপণ বাকিয়া কি হইবে ? ভিতরে যাহার ছায়া, ছায়া দেখিয়া তাহাকে বঝিব। কবিতা, কবির কীৰ্ত্তি— তাহা ত আমাদের হাতেই আছে-পড়িলেই বঝিব। কিন্তু যিনি এই কীৰ্ত্তি রাখিয়া গিয়াছেন, তিনি কি গণে, কি প্রকারে, এই কীৰ্ত্তি রাখিয়া গেলেন, তাহাঁই বঝিতে হইবে। তাহাই জীবনী ও সমালোচনাদত্ত প্রধান শিক্ষা ও জীবনী ও সমালোচনার মােখ্য উদ্দেশ্য। ঈশ্বরচন্দ্রের জীবনীতে আমরা অবগত হইয়াছি যে, একজন অশিক্ষিত যােবা। কলিকাতায় আসিয়া, সাহিত্য ও সমাজে আধিপত্য সংস্থাপন করিল। কি শক্তিতে ? তাহাও দেখিতে পাই --নিজ প্রতিভা গণে। কিন্তু ইহাও দেখিতে পাই যে, প্রতিভানা যায়ী ফল ফলে নাই। প্রভাকর মেঘাচ্ছন্ন। সে মেঘ কোথা হইতে আসিল ? বিশদ্ধ রচির অভাবে। এখন ইহা এক প্রকার স্বাভাবিক নিয়ম যে, প্রতিভা ও সরাচি পরস্পর সখী-প্রতিভার অন্যগামিনী সরচি। ঈশ্বর bታ6ኔ8