পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Na fupi কুবলয়দল শ্রেণী, সফটিত কুস্যম, শরচ্চন্দ্ৰ, মধ্যকরবীন্দ, কোকিলকজিতকুঞ্জ, নবজলধর, এবং তৎসঙ্গে কামিনীর মখমন্ডল, ভ্ৰাবল্লী, বাহািলতা, বিক্ষেবাহ্মঠ সরাসীরহালোচনা, অলস নিমেষ, এই সকলের চিত্র, বাতোমথিত তটিনীতিরঙ্গবং সতত চাকচিক্য সম্পাদনা করিতেছে। বাস্তবিক এই শ্রেণীর কবিদের কবিতায় বাহ্য প্রকৃতির প্রাধান্য। বিদ্যাপতি যে শ্রেণীর কবি, তাঁহাদিগের কাব্যে বাহ্য প্রকৃতির সম্প্রবন্ধ নাই। এমত নহে-বাহ্য প্রকৃতির সঙ্গে মানবহৃদয়ের নিত্য সম্পবিন্ধ সতরাং কাব্যেরও নিত্য সম্প্ৰবন্ধ; কিন্তু তাঁহাদিগের কাব্যে বাহ্য প্রকৃতির অপেক্ষাকৃত অস্পটতা লক্ষিত হয়, তৎপরিবত্তে মনােষ্যহীদয়ের গঢ় তলচারী ভাব সকল প্রধান স্থান গ্ৰহণ করে। জয়দেবাদিতে বহিঃপ্রকৃতির প্রাধান্য, বিদ্যাপতি প্রভৃতিতে অন্তঃপ্রকৃতির রাজ্য। জয়দেব, বিদ্যাপতি উভয়েই রাধাকৃষ্ণের প্রণয়কথা গীত করেন। কিন্তু জয়দেব যে প্রণয় গীত করিয়াছেন, তাহা বহিরিান্দ্ৰিয়ের অনগামী। বিদ্যাপতির কবিতা বহিরিান্দ্রিয়ের অতীত। তাহার কারণ কেবল এই বাহ্য প্রকৃতির শক্তি। স্থল প্রকৃতির সঙ্গে স্থলে শরীরেরই নিকট সম্প্ৰবন্ধ, তাহার আধিক্যে কবিতা একটি ইন্দ্রিয়ানসারিণী হইয়া পড়ে। বিদ্যাপতি মনয্যেহাদয়কে বহিঃপ্রকৃতি ছাড়া করিয়া, কেবল তৎপ্রতি দটি করেন, সতরাং তাঁহার কবিতা, ইন্দ্ৰিয়ের সংস্রবশন্যে, বিলাসশন্য, পবিত্র হইয়া উঠে। জয়দেবের গীত, রাধাকৃষ্ণের বিলাস পণ্য; বিদ্যাপতির গীত রাধাকৃষ্ণের প্রণয় পণ্য। জয়দেব ভোগ; আকাঙক্ষা ও সন্মতি। জয়দেব সখি, বিদ্যাপতি দঃখ। জয়দেব বসন্ত, বিদ্যাপতি বর্ষা। জয়দেবের কবিতা উৎফল্লি কমলজলশোভিত বিহঙ্গমাকুল, স্বচ্ছ বারিবিশিষ্ট্ৰট সন্দর সরোবর; বিদ্যাপােতর কবিতা দরগামিনী বেগবতী তবঙ্গসংকুলা নদী। জয়দেবের কবিতা সবণহায় বিদ্যাপাতন কবিতা রদ্রাক্ষমালা। জয়দেবের গান, মরজীবীণাসঙ্গিনী স্ত্রীকণ্ঠগীতি; বিদ্যাপােতর গান, সায়াহৰ সমীরণের নিঃশ্বাস। আমরা জয়দেব ও বিদ্যাপতির সম্পবন্ধে যাহা বলিয়াছি, তাহাদিগকে এক এক ভিন্ন শ্রেণীর গীতিকবিৰ আদশ স্বরপ বিবেচনা করিয়া তােহা বলিযাছি । যাহা জয়দেব সম্পবন্ধে বলিয়াছি, YS0L DBBDkD DBBB BDBDS DBBBD DBBD BBB BBBD DBBDD BBBDBBB uuBDDB প্রত্যাতি বৈষ্ণব কবিদিগেন সর্বন্ধে তদুপই বত্তে । আধনিক বাঙ্গালি গীতিকাব্য-লেখকগণকে একটি তৃতীয় শ্রেণীভুক্ত করা যাওঁতে পারে। তাহারা আধনিক ইংরেজি গীতিকবিদিগের অনগামী। আধনিক ইংরেজ কবি ও আধনিক বাঙ্গালি কবিগণ সভ্যতা বদ্ধির কারণে সর্বতন্ত্র একটি পথে চলিয়াছেন। পািব্ব কবিগণ কেবল আপনাকে চিনিতেন, আপনার নিকটবত্তী যাহা তাহা চিনিতেন। যাতা আভ্যন্তরিক, বা নিকটস্থ, তাহার পশুখান পঙ্খ সন্ধান জানিতেন তাহার অন্যাকরণীয় চিত্র সকল রাখিয়া গিােযাছেন। এক্ষণকার কবিগণ জ্ঞানী-বৈজ্ঞানিক, ইতিহাসবেত্তা, আধ্যাত্মিকতত্ত্ববিৎ । নানা দেশ, নানা কাল, নানা বস্তু তাঁহাদিগের চিত্তমধ্যে স্থান পাইয়াছে। তাঁহাদিগের বিদ্ধি বহবিষয়িণী বলিয়া তাঁহাদিগের কবিতাও বহবিষয়িণী হইয়াছে। তাঁহাদিগের বদ্ধি দরসম্পন্ধগ্রাহিণী বলিয়া তাঁহাদিগের কবিতাও দরসম্বন্ধ-প্রকাশিকা হইয়াছে। কিন্তু এই বিস্তুতিগণ হেতু প্রগাঢ়তা গণের লাঘব হইয়াছে। বিদ্যাপতি প্রভৃতির কবিতার বিষয় সঙ্কীর্ণ, কিন্তু কবিত্ব প্রগাঢ় ; মধ্যসািদন বা হেমচন্দ্রের কবিতার বিষয় বিস্তত, বা বিচিত্র, কিন্তু কবিত্ব তােদশ প্রগাঢ় নহে। জ্ঞানবন্ধির সঙ্গে সঙ্গে, কবিত্বশক্তির হ্রাস হয় বলিয়া যে প্রবাদ আছে। ইহা তাহার একটি কারণ। যে জল সঙ্কীর্ণ কাপে গভীর, তাহা তড়াগে ছড়াইলে আর গভীর থাকে না। কাব্যে অন্তঃপ্রকৃতি ও বহিঃপ্রকৃতির মধ্যে যথাৰ্থ সম্পবিন্ধ এই যে, উভয়ে উভয়েব প্রতিবিম্ব নিপতিত হয়। অর্থাৎ বহিঃপ্রকৃতির গণে হৃদয়ের ভাবান্তর ঘটে, এবং মনের অবস্থাবিশেষে বাহ্য দশ্যে সংখ্যকর বা দঃখকর বোধ হয়---উভয়ে উভয়ের ছাযা পড়ে। যখন বহিঃপ্রকৃতি বৰ্ণনীয়, তাহা অন্তঃপ্রকৃতির। সেই ছায়া সহিত চিত্রিত করাই কাব্যের উদ্দেশ্য। যখন অন্তঃপ্রকৃতি বৰ্ণনীয় তখন বহিঃপ্রকৃতির ছায়া সমেত বৰ্ণনা তাহার উদ্দেশ্য। যিনি ইহা পারেন, তিনিই সািকবি। ইহার ব্যতিক্রমে এক দিকে ইন্দ্রিয়পরতা, অপর দিকে আধ্যাত্মিকতা দোষ জন্মে। এ স্থলে শারীরিক ভোগাসক্তিকেই ইন্দ্রিয়পরতা বলিতেছি না-চক্ষরাদি ইন্দুিয়ের বিষয়ে আনরেক্তিকে ইন্দ্রিয়পরতা বলিতেছি। ইন্দ্রিয়পরতা দোষের উদাহরণ, কালিদাস ও জয়দেব । আধ্যাত্মিকতা দোষের উদাহরণ, পোপ ও জনসন। LDDDLLDr DBDD DBDS DDDB DDDB DS KYBB BDB BBBS sDBDB BBB bታህሃ€ል