পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ọat f“attā’1 তাঁহার ইচ্ছা বঙ্গদর্শনকে, সাঁশিক্ষিত মন্ডলীর সাধারণ উক্তিপত্ররূপে পরিণত করেন। তাহা হইলেই বঙ্গদর্শন স্থায়ী মঙ্গলপ্রদ হইবে। ইউরোপীয় সাময়িক পত্রে এবং এতদ্দেশীয় সাময়িক পত্রে বিশেষ প্রভেদ এই যে, এখানে যিনি সম্পাদক তিনিই প্রধান লেখক। ইউরোপীয় সম্পাদক, সম্পাদক মাত্র-কদাচিৎ লেখক । পত্র এবং প্রবন্ধের উদ্বাহে তিনি ঘটক মাত্র-স্বয়ং বরকত্তা হইয়৷ সচৰাচর উপস্থিত হয়েন নাই। এবার বঙ্গদশন সেই প্ৰণালী অবলম্পাবন করল। যাহা সকলের মনোনীত, তাহার সহিত সম্পবিন্ধ গৌরবের বিষয। আমি সে গৌরবের আকাঙক্ষা করি। বঙ্গদর্শনের সম্পাদকীয় কায্য পরিত্যাগ করলাম বটে, কিন্তু ইহ'র সহিত আমার সম্পবিন্ধবিচ্ছেদ হইল না। যত দিন বঙ্গদশন থাকিবে, আমি ইহার মঙ্গলাফ অক্ষা করিব এবং যদি পাঠকেরা বিরক্ত না হয়েন, তবে ইহার স্তম্ভে তাহাদিগের সম্মখে মধ্যে মধ্যে উপস্থিত হাইমা বঙ্গদশনের গৌরবে গৌরব লাভ করিবার সাপদ্ধা করিব। এক্ষণে বঙ্গদশনিকে অভিনব সম্পাদকের হস্তে সমপণ কবিয়া, আশী হব।দ করতেছি যে, ইহাের সশীতল ছায়ায় এই তপ্ত ভাবতবৰ্ষ পরিব্যাপ্ত হউক। আমি ক্ষ-দ্রবদ্ধি, ক্ষদুশাক্ত, সেই মহতী ছায়াতলে অলক্ষিত থাকিয়া বাঙ্গালা সাহিত্যেব দৈনন্দিন শ্ৰীবদ্ধি দশন কবি, ইহাই আমার বাসনা |* —“বঙ্গদশন’, বৈশাখ ১২৮৪, প, ১-৩ ৷৷ সচনা। [ ‘প্রচার” ] আমাদিগেব এই মাসিক পত্ৰখানি অতি ক্ষদ্র। এত ক্ষুদ্র পত্রের একটা বিস্তারিত মািখবন্ধ লেখা কতকটা অসঙ্গত বোধ হয। বড় বড় এবং ভাল ভাল এত মাসিক পত্র থাকিতে আবার একখানি এমন ক্ষদ্র পত্র কেন ? সেই কথা বলিবার জন্যই এই সাচনাটকু আমরা লিখিলাম। এ কথা কতকটা আমরা বিজ্ঞাপনেই বলিয়াছি। পথিবীতে হিমালয়ও আছে, বিলমীকও আছে। সমদ্রে জাহাজও আছে, ডিঙ্গীও আছে। তবে ডিঙ্গীর এই গণ, জাহাজ সব স্থানে চলে না, ডিঙ্গী সব স্থানে চলে। যেখানে জাহাজ চলে না, আমরা সেইখানে ডিঙ্গী চালাইব । চড়ায় ঠেকিয়া বঙ্গদশ ন-জাহাজ বানচাল হইয়া গেল প্রচার ডিঙ্গী, এ হাঁট জলেও নিবিবাঘে ভাসিয়া যাইবে ভরসা আছে। দেখ, ইউরোপীয় এক একখানি সামষিক পত্র, আমাদের দেশের এক একখানি পরাণ বা উপপরাণের তুল্য আকার ;–দৈঘ্যে, প্রস্থে, গভীরতা এবং গাম্ভীৰ্য্য কলপান্তজীবী মাকন্ডেয়া বা পরাণ-প্রণেতা বেদব্যাসেরই আয়ত্ত বলিয়া বোধ হয়। আমরা যদি মনে করিতে পরিতাম যে, রাবণ কুম্ভকৰ্ণ মেগেজিন পড়িতেন, তাহা হইলে তাঁহারা কণ্টেম্পোরারি বা নাইণ্টীন্থ সেঞ্চারি পড়িতেন সন্দেহ নাই। ইউরোপে বা লঙ্কায় সে সব সম্ভবে, ক্ষদ্র-প্রাণ বাঙ্গালীর দেশে, সে সকল সম্ভবে না। ক্ষদ্র প্রাণ বাঙ্গালী বড় অধ্যয়নপর হইলেও ছয় ফক্ষমা সপোর-রিয়াল মাসে মাসে পাইলে পরিতোষ লাভ করে। তাহাতেও ইহা দেখি যে, মাসে মাসে অলপলোেকই ছয় ফক্ষমা সপোর-রিয়াল আয়ত্ত করিতে পারেন। যাহাদিগকে শারীরিক বা মানসিক পরিশ্রম করিয়া দিনপাত করিতে হয়, অর্থ চিন্তায় এবং সংসারের জালালায় শশব্যস্ত, মহাজনের তাড়নায় বিব্রত,-এক মাসে ছয ফক্ষমা পড়া তাঁহারা বিড়ম্বনা মনে করেন। তাঁহাদের মধ্যে অনেকেই টাকা দিয়া বা না দিযা ছয় ফলস্মার মাসিক পত্ৰ লইয়া দই এক বার চক্ষ বলাইয়া ভক্তপোষের উপর ফেলিয়া বাখেন। তারপর সেই জ্ঞানবিদ্ধিবিদ্যারসপণ মাসিক পত্রিখন্ড ক্ৰমে ক্রমে গড়াইতে গড়াইতে তক্তপোষের নীচে পড়িয়া যায। স্রায়মান দীপতৈল তাহাকে নিষিক্ত

  • গত বৎসর বঙ্গদর্শনের বিদায় গ্রহণ কালে আমি অনবধানতা বশতঃ একটি গরতলা অপরাধে পতিত হইয়াছিলাম। যাঁহাদিগের বলে এবং সাহায্যে আমি চারি বৎসর বঙ্গদর্শন সম্পাদনে কৃতকাৰ্য্য হইয়াছিলাম, কবিবর বাব নবীনচন্দ্ৰ সেন তাঁহাদিগের মধ্যে একজন অগ্রগণ্য। সে উপকার ভুলিবার নিহে -আমিও ভুলি নাই। তবে বিখ্যাত মাদ্রাকরের প্ৰেতগণ। আমাকে চারি বৎসর জবালাইয়া তৃপ্তিলাভ করে DDS BB DBDS DBBDBB BBLBBB DBDBD BB DBDBD BB DDD DDDD DDDSDBDBDuB পানন্দজীবন কালে আমি নবীন বাবার কাছে বিনীত ভাবে এই দোষের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি।

ܬܼܬܬ