পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७िकभान्द्ध 5ाशाथशि দিলেন। বঙিকমচন্দ্ৰ অলপকালের মধ্যে ক্লাসের পাঠে বিশেষ কৃতিত্ব দেখান। বৎসরান্তে পরীক্ষার ফল দলেট টীড সাহেব তাঁহাকে ডবল দিতে চাহিলেন । পিতা যাদবচন্দ্রের আপত্তিতে তাহা ঘাঁটিয়া উঠিল না। ১৮৪৭ সনের মধ্যভাক্ষৈ টীড সাহেব ঢাকায় বদলি হইলে তাঁহার স্থানে সিনক্লেয়ার নিযক্ত হইয়া আসেন। তাঁহার নিবােটও প্রায় দেড় বৎসর বঙ্কিমচন্দ্ৰ ইংরেজী পাঠাভ্যাস করিয়াছিলেন। ১৮৪৯ খ্রীস্টাব্দের প্রারম্ভে বঙিকমচন্দ্ৰ মেদিনীপার হইতে কাঁটালপাড়ায় প্রত্যাবিত্তন করেন। এই সনের ফেব্রুয়ারী মাসে নারায়ণপাের গ্রামের পঞg|বষীয়া একটি বালিকার সহিত তাঁহার বিবাহ হয়। কাঁটালপাড়ায় আসিয়া বঙ্কিমচন্দ্র সংস্কৃত শেলাক ও বাংলা কবিতা শিখিলেন। এই সময় ঐ স্থলের শ্ৰীীরাম ন্যায়বাগীশ নামক একজন খ্যাতনামা পন্ডিতে নিকট তিনি এই দই বিষয়ে পাঠ লইতেন। বঙ্কিমচন্দ্র ভাল আবত্তি করিতে পারিতেন। ‘সংবাদ প্রভাকর’ ও ‘সংবাদ সাধারঞ্জনের বহন কবিতা তিনি কন্ঠস্থ করিয়াছিলেন। পন্ডিত হলধর তক চড়ামণির নিকট তিনি মহাভারতের কথা শনিতেন। ভারতচন্দ্রের বিদ্যার রপবর্ণন ও গীতগোবিন্দের ‘ধীর সমীরে যমনাতীরে” কবিতাটি তিনি প্রায় আবত্তি করিতেন। শ্ৰীকৃষ্ণ আদর্শ পরিষ ও আদর্শ চরিত্ৰ'-হলধরের এই কয়টি কথা শৈশবেই তাঁহার হৃদয়ে গ্রথিত হইয়াছিল।* কালেজী শিক্ষা : হগলী কলেজ : মেদিনীপার হইতে কাঁটালপাড়ায় ফিরিয়া বঙ্কিমচন্দ্র কিছকাল বাড়ীতে অধ্যয়ন করেন। পরে ১৮:৪৯, ২৩শে অক্টোবর হগলী কলেজে ভত্তি হন । তখন তাঁহার বয়স সাড়ে এগার বৎসর। তখনকার দিনের উচ্চশিক্ষা সম্পকে এখানে দাঁচার কথা বলা আবশ্যক। কলেজসমাহে কলেজ ও স্কুল দাইটি বিভাগ থাকিত। স্কুল বিভাগ আবার দাইটি অংশে বিভক্ত ছিল—সিনিয়র ও জানিয়র। সিনিয়র ও জানিয়র অংশ একযোগে এখনকার উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয়ের সমপৰ্যায়ভুক্ত ছিল। হিন্দ কলেজ, ঢাকা কলেজ প্রভৃতির মত হগলী কলেজের স্কুল বিভাগেও সিনিয়র ও জানিয়র দই অংশ ছিল। সিনিয়র অংশে তিনটি শ্রেণী, প্রত্যেক শ্রেণীর দাইটি করিয়া সেকশন ; জানিয়র অংশে চারিটি শ্রেণী, এখানেও প্রথম তিন শ্রেণীর দাইটি করিয়া সেকশন। বঙ্কিমচন্দ্র জানিয়র বিভাগে প্রথম শ্রেণীর ‘এ’ সেকশনে ভত্তি হইলেন । বঙ্কিমচন্দ্ৰ হগলী কলেজে ১৮৫৬ সনের ১২ই জলাই পয্যন্ত সব্বসাকুল্যে প্রায় সাত বৎসর এক ক্ৰমে অধ্যয়ন করেন। কাঁটালপাড়া হইতে নৌকাযোগে গঙ্গা পার হইয়া প্রত্যহ কলেজে যাইতেন। কলেজে অধ্যয়ন কালে তাঁহার সঙগী ছিলেন কনিষ্পাঠ সহোদর পণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। পৰ্ণচন্দ্র তাঁহার বঙ্কিমবিষয়ক সমিতিকথায় এই সময়কার নানা কথা বলিয়া গিয়াছেন। বঙ্কিমচন্দ্ৰ পাঠে এতই অগ্রসর ছিলেন যে, ক্লাসের পড়া তাঁহার মোটেই পছন্দসই ছিল না। তিনি এই সময় পাঠ্যাতিরিক্ত পােস্তকাদি পড়িয়া জ্ঞান-পিপাসা মিটাইতেন। তিনি অলপ সময়ের মধ্যেই সবীয় প্রতিভার পরিচয় দিতে সমৰ্থ হইলেন। বঙ্কিমচন্দ্র যখন হগলী কলেজে ভত্তি হন তখন প্রতি বৎসর ১লা অক্টোবর হইতে সেসন আরম্ভ হইয়া পর বৎসর ৩০শে সেপ্টেম্বর শেষ হইত। প্রথম বৎসর বাৎসরিক পরীক্ষায় সাধারণ দক্ষতার (“General Efficiency”) জন্য তিনি পরিস্কার পাইয়াছিলেন। ১৮৫২ সনে বার্ষিক পরীক্ষায় বঙ্কিমচন্দ্র পরিস্কার পান নাই। এই বৎসর অক্টোবর মাসে তিনি প্রথম শ্রেণীর ‘বি’ সেকশনে উন্নীত হন। পর বৎসর, ১৮৫৩ সন হইতে সম্পবৎসরকাল (“সেসন") পরিবত্তিত হইয়া। ১লা মে হইতে পরবত্তী ৩০শে এপ্রিল পয্যন্ত নিদর্ধারিত হয়। কাজেই এ বৎসরের বাৎসরিক পরীক্ষা আঠার মাস পরে ১৮৫৪ সনের এপ্রিল মাসে গহীত হইয়াছিল। এ পরীক্ষা ছিল ১৮৫৩ সনের জানিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষা। জানিয়র বত্তি পরীক্ষা তখন নিন্দিৰ্প । বিদ্যালয়সমাহে পথক পথক ভাবে লওয়া হইত। হগলী কলেজ ও তাহার অধীন স্কুলস1 = হইতে মোট তেয়াত্তর জন ছাত্র এই পরীক্ষা দিয়াছিলেন। বণ্ডিকমচন্দ্ৰ পাঠে এতখানি উৎকৰ লাভ করিয়াছিলেন যে, উক্ত সংখ্যক পরীক্ষাথীদের মধ্যে তিনি প্রথম স্থান অধিকার করিয়া যথারীতি আট টাকা মাসিক বত্তি লাভ করিলেন । বঙ্কিম-প্রসঙ্গ ? বঙ্কিমচন্দ্রের বাল্যশিক্ষা-পাণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, পঃ ৩৩-৪১