পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वर्ग७ञ्श झbन्नाब्जौ হী। আমার জবাব হয়েছে। মা ঠাকুরাণী আমাকে জবাব ন। কি করেছিস তুই ? হনী। কুশি আমাকে গালি দিয়াছিল—আমি নালিশ করিয়াছিলাম। তিনি তার কথায় বিশদ্বাস করিয়া আমাকে জবাব দিলেন । নগেন্দ্র মাথা নাড়িয়া হাসিতে হাসিতে বলিলেন, “সে কাজের কথা নয়, হীরে, আসল কথা কি বল ।” হীরা তখন ঋজ হইয়া বলিল, “আসল কথা, আমি থাকব না।” बI । (देवों ? হনী । মা ঠাকুরাণীর মাখ বড় এলোমেলো হয়েছে—কারে কখন কি বলেন, ঠিক নাই। নগেন্দ্র ভ্ৰ কুণ্ডিত করিয়া তীব্রস্বরে বলিলেন, “সে কি ?” হীরা যাহা বলিতে আসিয়াছিল, তাহা এইবার বলিল, “সেদিন কুন্দাঠাকুরাণীকে কি না। বলিয়াছিলেন। শনিয৷ কুন্দঠাকুবাণী দেশত্যাগী হযেছেন। আমাদের ভয়, পাছে আমাদের সেইরােপ কোন দিন কি বলেন,-আমরা তা হলে বাঁচিব না। তাই আগে হইতে সরিতেছি।” ন। সে কি কথা ? হী। আপনার সাক্ষাতে লজজায় তা আমি বলিতে পারি না। শনিয়া, নগেন্দ্রের ললাট অন্ধকার হইল। তিনি হীরাকে বলিলেন, “আজ বাড়ী যা। কােল ডাকব ।” হীরার মনস্কাম সিদ্ধ হইল। সে এই জন্য কৌশল্যার সঙ্গে বাচসা সািজন করিয়াছিল। নগেন্দ্র উঠিয়া সহেযািমদুখীর নিকটে গেলেন। হীরা পা টিপিঘা টিপিয়৷ পশ্চাৎ পশ্চাৎ গেল । সােয্যমখনীকে নিভৃতে লইয়া গিয়া নগেন্দ্র জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কি হীরাকে বিদায় দিয়াছ ?” সন্য মািখী বলিলেন, “দিয়াছি।” অনন্তর হীরা ও কৌশল্যার বক্তান্ত সবিশেষ বিবত করিলেন। শনিয়া নগেন্দ্র বলিলেন, “মরকে। তুমি কুন্দনন্দিনীকে কি বলিয়াছিলে ?” BBBB BBBDS DBBBB BB BBDBDB S BBBB BBBB BBBSBBBB বলিয়াছিলাম ?” ন। কোন দকবােক্য ? সােয্যমানুখী কিয়ৎক্ষণ সীতবধ হইয়া রহিলেন। পরে যাহা বলা উচিত, তাহাই বলিলেন, বলিলেন, “তুমি আমার সব্বস্ব। তুমি আমার ইহকাল, তুমি আমার পবিকাল। তোমার কাছে কেন আমি লকাইব ? কখনও কোন কথা তোমার কাছে ল্যুকাই নাই, আজ কেন এক জন পরের কথা তোমার কাছে ল্যুকাইব ? আমি কুন্দকে কুকথা বলিয়ছিলাম। পাছে তুমি রাগ কর বলিয়া তোমার কাছে ভরসা করিয়া বলি নাই। অপরাধ মাত্তজনা করিও । আমি সকল বলিতেছি। ” তখন সাম্যমখী হরিদাসী বৈষ্ণবীর পরিচয় হইতে কুন্দনন্দিনীর তিরস্কার পয্যন্ত অকপটে সকল বিবত করিলেন। বলিয়া, শেষে কহিলেন, “আমি কুন্দনন্দিনীকে তাড়াইয়া আপনার মরমে আপনি মরিয়া আছি। দেশে দেশে তাহার তত্ত্বে লোক পাঠাইয়াছি। যদি সন্ধান পাইতাম, ফিরাইয়া আনিতাম। আমার অপরাধ লইও না।” নগেন্দ্র তখন বলিলেন, “তোমার বিশেষ অপরাধ নাই, তুমি ফেরােপ কুন্দের কলঙক শনিয়াছিলে, তাহাতে কোন ভদ্রলোকের সত্ৰী তাকে মিটে কথা বলিবে, কি ঘরে সস্থান দিবে ? কিন্তু একবার ভাবিলে ভাল হইত যে, কথাটা সত্য কি না ?” সােয্য। তখন সে কথা ভাবি নাই। এখন ভাবিতেছি । ন। ভাবিলে না কেন ? সােয্য। আমার মনের ভ্রান্তি জন্মিয়াছিল। বলিতে বলিতে সােয্যমখী—পািতপ্ৰাণী—সাধবী -নগেন্দ্রের চরণপ্রান্তে ভূতলে উপবেশন করিলেন, এবং নগেন্দ্রের উভয় চরণ দই হস্তে গ্রহণ ফরিয়া নয়নজলে সিক্ত করিলেন। তখন মাখ তুলিয়া বলিলেন, “প্ৰাণাধিক তুমি। কোন কথা এ পাপ মনের ভিতর থাকিতে তোমার কাছে লঙ্কাইব না। আমার অপরাধ লইবে না ?” নগেন্দ্র বলিলেন, “তোমায় বলিতে হইবে না। আমি জানি, তুমি সন্দেহ করিয়াছিলে যে, আমি কুন্দনন্দিনীতে অনরন্ত ।” সােয্যমখী নগেন্দ্রের যািগল চরণে মখ ল্যুকাইয়া কাঁদিতে লাগিল। আবার সেই শিশির SRS) b'