পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वर्गऽदञ • झbनाब्दब्जौ কমল মনের ভাব বািকয়া বললেন, "মেয়ে হলেই কি হয়? যার যেমন কপাল, তার তােমর্শ স। আমার কপালের চেয়ে কার কপাল ভাল ? কে এমন ভাগ্যবতী ? কে এমন স্বামী পেয়েছে? রােপ, ঐশবৰ্য্য, সম্পদ। —সে সকলও তুচ্ছ কথা—এত গণ কার স্বামীর ? আমার কপাল, জোর কপাল—তবে কেন এমন হইল ? <SSIG I A S SSPG স। তবে এ জবালায় মন পোড়ে কেন ? কমল। তুমি স্বামীর আজিকার আহমাদপৰ্ণ মখ দেখিয়া সখী—তথাপি বলিতেছ, এ জবালায় মন পোড়ে কেন ? দই কথাই সত্য ? স। দাই কথাই সত্য। আমি তাঁর সখে সখী—কিন্তু আমায় যে তিনি পায়ে ঠেলিলেন, আমায় পায়ে ঠেলিয়াছেন বলিয়াই তাঁর এত আহাদ !— সােয্যমখেী আর বলিতে পারিলেন না, কণ্ঠ রন্ধ হইল-চক্ষ ভাসিয়া গেল, কিন্তু সােয্যমখনীর অসমাপত কথার মৰ্ম্ম কমলমণি সম্পপণ্য বঝিয়াছিলেন। বলিলেন, “তোমায় পায়ে ঠেলেছেন বলে তোমার অন্তদাহ হতেছে। তবে কেন বল “আমি কে ?’ তোমার অন্তঃকরণের আধখানা আজও আমিতে ভরা ; নাহিলে আত্মবিসর্জন করিয়াও অন্যতাপ করিবে কেন ?” স। অন্যতাপ করি না। ভালই করিয়াছি, ইহাতে আমার কোন সংশয় নাই। কিন্তু মরণে ত যন্ত্ৰণা আছেই। আমার মরণই ভাল বলিয়া, আপনার হাতে আপনি মরিলাম। কিন্তু তাই বলিয়া মরণের সময়ে কি তোমার কাছে কাঁদিব না ? সােয্যমখী কাঁদিলেন। কমল তাঁহার মাথা। আপনি হৃদয়ে আনিয়া হাত দিয়া ধরিয়া রাখিলেন। কথায় সকল কথা ব্যক্ত হইতেছিল না—কিন্তু অন্তরে অন্তরে কথোপকথন হইতেছিল। অন্তরে অন্তরে কমলমণি বঝিতেছিলেন যে, সৰ্য্যেমখী কত দঃখী। অন্তরে অন্তরে সৰ্য্যেমখী বঝিয়াছিলেন যে, কমলমণি তাঁহার দঃখ বঝিতেছেন। উভয়ে রোদন সম্বরণ করিয়া চক্ষ মছিলেন। সােয্যমখী তখন আপনার কথা ত্যাগ করিয়া অন্যান্য কথা পাড়িলেন। সতীশচন্দ্রকে আনাইয়া আদর করিলেন, এবং তাহার সঙ্গে কথোপকথন করিলেন। কমলের সঙেগ, অনেকক্ষণ পয্যন্ত সতীশ শ্ৰীশচন্দ্রের কথা কহিলেন । সতীশচন্দ্রের বিদ্যাশিক্ষা, বিবাহ ইত্যাদি বিষয়ে অনেক সখের কথার আলোচনা হইল। এই রােপ গভীর রাত্ৰি পৰ্য্যন্ত উভয়ে কথোপকথন করিয়া সােয্যমখী কমলকে স্নেহভরে আলিঙ্গন করিলেন এবং সতীশচন্দ্রকে ক্লোড়ে লইয়া মািখচুম্বন করিলেন। উভয়কে বিদায় দিবার কালে সােয্যমখনীর চক্ষের জল আবার অসমবরণীয় হইল। রোদন করিতে করিতে তিনি সতীশকে আশীৰ্ব্ববাদ করিলেন, “‘বাবা! আশীৰ্ব্ববাদ করি, যেন তোমার মামার মত অক্ষয় গণে গণবান হও । ইহার বাড়া আশীৰ্ব্ববাদ আমি আর জানি না।” সৰ্য্যেমখী স্বাভাবিক মদ স্বরে কথা কহিয়াছিলেন, তথাপি তাঁহার কন্ঠস্বরের ভঙ্গীতে কমলমণি চমকিয়া উঠিলেন। বলিলেন, “বউ! তোমার মনে কি হইতেছে—কি ? বল না ?” স। কিছ না। কম। আমার কাছে লঙ্কাইও না। স। তোমার কাছে ল্যুকাইবার আমার কোন কথাই নাই। কমল তখন স্বচ্ছন্দচিত্তে শয়নমন্দিরে গেলেন। কিন্তু সােয্যমখীর একটি ল্যুকাইলার কথা ছিল। তাহা কমল প্রাতে জানিতে পারিলেন। প্রাতে সৰ্য্যেমখীর সন্ধানে তাঁহার শয্যাগহে। গিয়া দেখিলেন, সৰ্য্যেমখী তথায় নাই, কিন্তু অভুক্ত শয্যার উপরে একখানি পত্ৰ পড়িয়া আছে। পত্ৰ দেখিয়াই কমলমণির মাথা ঘরিয়া গেলা-পত্ৰ পড়িতে হইল না—না পড়িয়াই সকল বঝিলেন। বঝিলেন, সােয্যমখী পলায়ন করিয়াছেন। পত্র খলিয়া পড়িতে ইচ্ছা হইল না--- তাহা করতলে বিমন্দিত করিলেন। কপালে করাঘাত করিয়া শয্যায় বসিয়া পড়িলেন। বলিলেন, “আমি পাগল। নচেৎ কাল ঘরে যাইবার সময়ে বঝিয়াও বঝিলাম না কেন ?” সতীশ নিকটে দাঁড়াইয়াছিল; মার কপালে করাঘাত ও রোদন দেখিয়া সেও কাঁদিতে লাগিল। ᏬᎤ bᎴ