পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৬৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

영I E অগিন জলিল 22 of CC217 2 frqns Xerxes—forqNS: Platæs রাজসিংহের রাজ্য ধবংস করিবার জন্য ঔরঙ্গজেবের যাত্ৰা করিতে যে বিলম্ব হইল, তাহার কারণ, তাঁহার সেনোদ্যোগ অতি ভয়ঙ্কর। দায্যোধন ও যাধিস্ঠিরের ন্যায় তিনি ব্ৰহ্মপত্র-পার হইতে বাহীক পৰ্য্যন্ত, কাশমীর হইতে কেরল ও পান্ড্য পয্যন্ত, যেখানে যত সেনা ছিল, সব এই মহাযদ্ধে আহত করিলেন। দক্ষিণাপথের মহাসৈন্য, গোলকুণডা, বিজয়পাের, মহারাষ্ট্রের সমরের অবিশ্রান্ত বজাঘাতে, দ্বিতীয় বত্রাসরের ন্যায় যাহার পন্ঠ অশনিদাভেদ্য হইয়াছিল— তাহা লইয়া বাদশাহের জ্যোিঠ পত্র শাহ আলম, দক্ষিণ হইতে উদয়পর ভাসাইতে আসিলেন। অন্য পত্র আজম শাহ,-বাঙ্গালার রাজপ্রতিনিধি, পািব্বভারতবষের মহতী চমক লইয়া মেবারের পৰ্ব্ববতমালার দাবারে উপস্থিত হইলেন। পশ্চিমে মলতান হইতে পঞ্জাব-কাবিল-কােশমীরের অজেয় যোদ্ধবগ লইয়া, অপর পাত্ৰ আককবর শাহ আসিয়া, সেনাসাগরের অনন্ত স্রোতে আপনার সেনাসাগর মিশাইলেন। উত্তরে স্বয়ং শাহান শাহ বাদশাহ দিল্লী হইতে অপরাজেয় বাদশাহী সেনা লইয়া উদয়পরের নাম পথিবী হইতে বিলপতি করিবার জন্য মেবারে দশন দিলেন। সাগর!!!!!!!!! উন্নত পৰ্ব্বতশিখরসাদশ সেই অনন্ত মোগল সেনাসাগরমধ্যে উদয়পাের শোভা পাইতে লাগিল । অনন্তসপন্শ্রেণী:পরিবেষ্টিত গরড়ে, যতটকু শত্র ভীত হওয়ার সম্পভাবনা, রাজসিংহ এই সাগরসদশে মোগলসেনা দেখিয়া ততটকুই ভীত হইয়াছিলেন। ভারতবর্ষে এরােপ সেনোদ্যোগ কুরক্ষেত্রের পর হইয়াছিল কি না, বলা যায় না। যে সেনা চীন, পরিস্য বা রািষ জয়ের জন্যও আবশ্যক হয় না-ক্ষ-দ্র উদয়পাের জয়ের জন্য ঔরঙ্গজেব বাদশাহ, তাহা রাজপতনায় আনিয়া উপস্থিত করিলেন। একবার মাত্র পথিবীতে এরাপ ঘটনা হইয়াছিল। যখন পারস্য পথিবীর মধ্যে বড় রাজ্য ছিল, তখন তদধিপতি সেরা (Xerxes) পঞ্চাশ লক্ষ লোক লইয়া গ্রীস নামা ক্ষমূদ্র ভূমিখণড জয় করিতে গিয়াছিলেন। থাম্মম পলিতে Leonidas, সালামিসে Themistocles এবং প্লাতীয়ায় Pausanias। তাঁহার গৰ্ব্ব খর্বব করিয়া, তাঁহাকে দীর করিয়া দিল—শগালকুক্করের মত সের পলাইয়া আসিলেন। সেইরাপ ঘটনা পথিবীতলে এই দ্বিতীয়বার মাত্র ঘটিয়াছিল। বহ, লক্ষ সেনা লইয়া ভারতপতি— সেরের অপেক্ষাও দোদ “ডপ্রতাপশালী রাজা —রাজপতনার একটা ক্ষদ্র ভূমিখণ্ড জয় করিতে গিয়াছিলেন। --রাজসিংহ তাঁহাকে কি করিলেন, \ड5ायु । বলিতেছি। যদ্ধবিদ্যা, ইউরোপীয় বিদ্যা। আসিয়া খণ্ডে, ভারতবর্ষে ইহার বিকাশ কোন কালে নাই। যে পরানেতিহাসিবর্ণিত আৰ্য্যবীরগণের এত খ্যাতি শনি, তাহদের কৌশল কেবল তীরন্দাজী ও লাঠিয়ালিতে। ইতিহাসলেখক ব্রাহ্মণেরা যাদ্ধবিদ্যা কি, তাহা বঝিতেন না বলিয়াই হৌক, আর যন্ধবিদ্যা বস্তুতঃ প্রাচীন কালে ভারতবর্ষে ছিল না বলিয়াই হৌক, রামচন্দ্ৰ অজ্ঞজনোদির সেনাপতিত্বের কোন পরিচয় পাই না। অশোক, চন্দ্রগপত, বিক্ৰমাদিত্য, শকাদিত্য, শিলাদিত্য— কাহারও সেনাপতিত্বের কোন পরিচয় পাই না। যাঁহারা ভারতবর্ষ জয় করিয়াছিলেন, মহম্মদ কাসিম, গজনবী মহম্মদ, শাহাবদীন, আলাউদ্দীন, বাবর, তৈমরি, নাদের, শের—কাহারও সেনাপতিত্বের কোন পরিচয় পাই না। বোধ হয়, মসলমান লেখকেরাও ইহা বঝিতেন না। আককবরের সময় হইতে এই সেনাপতিত্বের কতক কতক পরিচয় পাওয়া যায়। আকববর, শিবাজী, আহাম্মদ আবদালী, হৈদর আলি, হরিসিং প্রভৃতিতে সেনাপতিত্বের লক্ষণ, রণাপান্ডিত্যেব লক্ষণ দেখা যায়। ভারতবষের ইতিহাসে যত রণপণিডতের কথা আছে, রাজসিংহ কাহারও অপেক্ষা নতুন নহেন। ইউরোপেও এরােপ রণপন্ডিত অতি অলপই জন্মিয়াছিল। অলপ সেনার সাহায্যে এরাপ মহৎ কায্য ওলন্দাজ বীর মােকাখ্য উইলিয়মের পর পথিবীতে আর কেহ করে নাই। সে অপব্ব সেনাপতিত্বের পরিচয় দিবার এ সথল নহে। সংক্ষেপে বলিব। চতুৰ্ভাগে বিভক্ত ঔরঙ্গজেবের মহতী সেনা সমাগতা হইলে, রণপণ্ডিতের যাহা কৰ্ত্তব্য, Wり br>