পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• नर्ुदशभिर्नान्क्रनौं পড়িয়াছে ? কি চক্ষ! সদীঘ ; চঞ্চল; আবেশময়। কোন কোন প্ৰগলভ-যৌবনা কামিনীর চক্ষ দেখিবামাত্ৰ মনোমধ্যে বোধ হয় যে, এই রমণী দীপিতা; এ রমণী সখিলালসাপরিপর্ণা। বিমলার চক্ষ সেইরােপ। আমি নিশ্চিত পাঠক মহাশয়কে বলিতেছি, বিমলা যাবতী, স্থিরযৌবনা বলিলেও বলা যায়। তাঁহার সে চম্পকবণ ত্বকের কোমলতা দেখিলে কে বলিবে যে, ষোড়শী তাঁহার অপেক্ষা কোমলা ? যে একটি অতি ক্ষদ্র গচ্ছ "স্মলককেশ কুঞ্চিত হইয়া কণািমল হইতে । অসাবধানে কপোলদেশে পড়িয়াছে, কে দেখিয়া বলিবে যে, যাবতীর কপোলে যাবতীর কেশ। পড়ে নাই ? পাঠক ! মনশচক্ষ উন্মীলন কর; যেখানে বসিয়া দপণ সম্মখে বিমলা কেশবিন্যাস করিতেছে, তাহা দেখ; বিপােল কেশগচ্ছ বাম করে লইয়া, সম্মখে রাখিয়া যে প্রকারে তাহাতে চিরণী দিতেছে, দেখ; নিজ যৌবনভােব দেখিয়া টিপি টিপি যে হাসিতেছে, তাহা দেখ; মধ্যে মধ্যে বীণানিন্দিত মধর সম্বরে যে মদ মদ, সঙ্গীত করিতেছে, তাহা শ্রবণ করা; দেখিয়া শনিয়া বল, বিমলা অপেক্ষা কোন নবীনা তোমার মনোমোহিনী ? বিমলা কেশ বিন্যস্ত করিয়া কবরী বন্ধ করিলেন না; পািঠদেশে বেণী লম্বিত করিলেন। গন্ধবারিসিক্ত রামালে মািখ পরিস্কার করিলেন; গোলাপপগকপািরপািণ তামাবলে পনেকবার ওঠাধর রঞ্জন করিলেন; মত্তাভূষিত কাঁচালি লইয়া বক্ষে দিলেন ; সৰ্ব্বব্যাঙ্গে কনকরত্নভূষা পরিধান করিলেন ; আঁবার কি ভাবিয়া তাহার কিয়দংশ পরিত্যাগ করিলেন; বিচিত্র কার্যকাৰ্যখচিত বসন পরিলেন ; মন্তা-শোভিত পাদকো গ্রহণ করিলেন ; এবং সবিন্যস্ত চিকুরে যােবরাজদত্ত বহামল্য মত্তাহার রোপিত করিলেন। বিমলা বেশ করিয়া তিলোত্তমার কক্ষে গমন করিলেন। তিলোত্তমা দেখিবামাত্র বিস্ময়াপন্ন হইলেন ; হাসিয়া কহিলেন, “এ কি বিমলা ! এ বেশ কেন ?” বিমলা কহিলেন, “তোর সে কথায় কাজ কি ?” তি। সত্য বল না, কোথায় যাবে ? বি। আমি যে কোথায় যাব, তোমাকে কে বলিল ? তিলোত্তমা অপ্রতিভ হইলেন। বিমলা তাঁহার লজজা দেখিয়া সকরণ ঈষৎ হাসিয়া কহিলেন, “আমি অনেক দর যাব।” তিলোত্তমার মািখ প্ৰফল্লি পদ্মের ন্যায় হর্ষ বিকশিত হইল। মদ স্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কোথা যাবে ?” বিমলা সেইরাপ মািখ টিপিয়া হাসিতে হাসিতে কহিলেন, “আন্দাজ কর না ?” তিলোত্তম তাঁহার মািখপানে চাহিয়া রহিলেন। বিমলা তখন তাঁহার হস্তধারণ করিয়া, “শন দেখি” বলিয়া গবাক্ষের নিকট লইয়া গেলেন। তথায় কাণে কাণে কহিলেন, “আমি শৈলেশ্ববর-মন্দিরে যাব ; তথায় কোন রাজপত্রের সহিত সাক্ষাৎ হইবে।” তিলোত্তমার শরীর রোমাঞ্চিত হইল। কিছই উত্তর করিলেন না। বিমলা বলিতে লাগিলেন, “অভিরাম ঠাকুরের সঙ্গে আমার কথা হইয়াছিল, ঠাকুরের বিবেচনায় জগৎ সিংহের সহিত তোমার বিবাহ হতে পারে না। তোমার বাপ কোন মতে সম্পমত হইবে না। তাঁর সাক্ষাতে এ কথা পাড়িলে ঝাঁটা লাথি না খাই ত বিস্তর।” “তবে কেন”-তিলোত্তমা অধোবদনে, অসফটস্বরে, পথিবী পানে চাহিয়া এই দাইটি কথা বি। কেন ? আমি রাজপত্রের নিকট স্বীকার করিয়া আসিয়াছিলাম, আজ রাত্রে তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়া পরিচয় দিব। শািন্ধ পরিচয় পাইলে কি হইবে ? এখন ত পরিচয় দিই, তার পর তাঁহার কত্ত ব্যাকত্তব্য তিনি করিবেন। রাজপত্র যদি তোমাতে অন্যরক্ত হন— তিলোত্তম তাঁহাকে আর বলিতে না দিয়া মাখে বস্ত্ৰ দিয়া কহিলেন, “তোমার কথা শনিয়া লজা করে; তুমি যেখানে ইচ্ছা, সেখানে যাও না কেন, আমার কথা কাহাকেও বলিও না, আর আমার কাছে কাহারও কথা বলিও না।” বিমলা পনেকবার হাসিয়া কহিলেন, “তবে এ বালিকা-বয়সে এ সমদ্রে ঝাঁপ দিলে কেন ?” তিলোত্তম কহিলেন, “তুই যা। আমি আর তোর কোন কথা শনিব না।” द । उ56द ऊाशि शर्गन्झटुद्ध शाद ब्बा । VCA