পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৭৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उानकलभर्ट ভীষণ হরিধবনিতে কানন বিদীর্ণ করিল। “এখনই মারিব—কোথায় তারা, দেখাইয়া দিবে। চল!” “মার! মার! শত্র মার!” ইত্যাদি শবদ দীরস্থ শৈলে প্ৰতিধবনিত হইল। তখন সত্যানন্দ বলিলেন, “সে জন্য আমাদিগকে একট, ধৈৰ্য্যাবলম্বন করিতে হইবে। শত্রদের কামান আছে—কামান ব্যতীত তাহদের সঙ্গে যন্ধ সমভাবে না। বিশেষ তাহারা বড় বীরজাতি । পদচিহ্নের দািগ হইতে ১৭টা কামান আসিতেছে-কামান পৌছিলে আমরা যাদ্ধযাত্রা করিব । ঐ দেখ, প্রভাত হইতেছে।--বেলা চারি দণড হইলেই-ও কি ও—” “গড়ম-গড়ম-গমে’ অকস্মাৎ চারি দিকে বিশাল কাননে তোপের আওয়াজ হইতে লাগিল। তোেপ ইংরেজের। জালনিবদ্ধ মীনদলবৎ কাপেতন টমাস সন্তানসম্প্রদায়কে ঐ আমিকাননে ঘিরিয়া বধ করিবার উদ্যোগ করিয়াছে। নবম পরিচ্ছেদ SDBBSBDBDBDuS SKSDBB BB S BiBBBDB BBBBDB DBBS BB kBB BBB BBB BBB BBBB BBBDBDBD DBSKBDB KSBDBS S BBB S BBB BB BBB DBB BDB BDBBD BBBB BBBBDB BDB BBDDB DBDBDSKBkBB BBB BBB S BBBB BBB কাননান্তরের মধ্যে প্রবেশ করিয়া সেই ধবনি আবার ডাকিতে লাগিল, “গড়মা গড়মা গাম!” সত্যানন্দ আদেশ করিলেন, “তোমরা দেখ, কিসের তোপ * কয়েক জন সন্তান তৎক্ষণাৎ আশবারোহণ করিয়া দেখিতে ছটিল, কিন্তু তাহারা কানন হইতে বাহির হইয়া কিছর দীর গেলেই শ্রাবণের ধারার ন্যায় গোলা তাহদের উপর বাল্টি হইল, তাহারা আশবসহিত আহত হইয়া সকলেই প্রাণত্যাগ করিল। দীর হইতে সত্যানন্দ তােহা দেখিলেন। বলিলেন, “উচ্চ বক্ষে উঠ, দেখা কি।" তিনি বলিবার অগ্ৰেই জীবানন্দ বক্ষে আরোহণ করিয়া প্রভাতকরণে দেখিতেছিলেন, তিনি বক্ষের উপরিস্থ শাখা হইতে ডাকিয়া বলিলেন, “তোপ। ইংরেজের ।” সত্যানন্দ জিজ্ঞাসা করিলেন, “অৰ্শবারোহী, না পদাতি ?” জীব। দই আছে। সত্যা । ক’ত ? জীব । আন্দাজ করিতে পারিতেছি না, এখনও বনের আড়াল হইতে বাহির হইতেছে। সত্যা । গোরা আছে ? না কেবল সিপাহী ? জীব। গোরা আছে। তখন সত্যানন্দ জীবানন্দকে বলিলেন, “তুমি গাছ হইতে নাম।” জীবানন্দ গাছ হইতে নামিলেন । সত্যানন্দ বলিলেন, “দশ হাজার সন্তান উপস্থিত আছে; কি করিতে পাের দেখ। তুমি আজ সেনাপতি ৷৷ ” জীবানন্দ সশস্ত্ৰে সজিজত হইয়া উল্লম্মফনে অশোেব আরোহণ করিলেন। একবার নবীনানন্দ গোস্বামীর প্রতি দণ্ডিণ্ট করিয়া নয়নেঙিগতে কি বলিলেন, কেহ তাহা বঝিতে পারিল না। নবীনানন্দ নয়নেওগতে 1 ক উত্তর করিল, তাহাও কেহ বঝিল না, কেবল তারা দই জনেই মনে মনে বঝিল যে, হয়ত এ জন্মের মত এই বিদায়। তখন নবীনানন্দ দক্ষিণ বাহ উত্তোলন করিয়া সকলকে বলিলেন, ‘ ভাই ! এই সময়ে গাও ‘জয় জগদীশ হরে’!” তখন সেই দশ সহস্ৰ সন্তান এককণ্ঠে নদী কানন আকাশ প্রতিধবনিত করিয়া, তোপের শবদ ডুবাইয়া দিয়া সহস্ৰ সহস্র বাহ উত্তোলন করিয়া গায়িল,—— “জয় জগদীশ হরে স্লেচ্ছনিবাহ নিধনে কলয়সি করবালাম।” এমন সময়ে সেই ইংরেজের গোলাবটি আসিয়া কাননমধ্যে সন্তানসম্প্রদায়ের উপর পাড়িতে লাগিল। কেহ গায়িতে গায়িতে ছিন্নমস্তক ছিন্ন্যবাহী ছিন্ন হৃৎপিন্ড হইয়া মাটিতে পড়িল, তথাপি কেহ গীত বন্ধ করিল না, সকলে গায়িতে লাগিল, “জয় জগদীশ হরে!” গীত সমাপত হইলে সকলেই একেবারে নিস্তবধ হইল । সেই নিবিড় কানন, সেই নদীসৈকত, সেই অনন্ত বিজন একেবারে গম্ভীর নীরবে নিবিভ্ৰাট হইল ; কেবল সেই অতি ভয়ানক কামানের ধবনি আর দািরশ্রত গোরার সমবেত অস্ত্রের ঝঞ্চনা ও পদধবনি। ○ と ふ SN