পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७का ब्रा5नावक्नी বি। কেন ? তাঁহার কাছে নালিশ আছে। তিনি যে সেনাপতি নিযক্ত করিয়াছেন, তাঁহা কত্ত্বক আমাদিগের পথের ভয় দরি হয় না। তিনি শত্রনিপাতে অক্ষম। রাজপত্র সহস্যে উত্তর করিলেন, “সেনাপতি উত্তর করিবেন যে, শত্রনিপাত দেবের অসাধ্য, মন:ষ্য কোন ছার! উদাহরণ, স্বয়ং মহাদেব তপোবনে মন্মথ শত্রকে ভস্মরাশি করিয়ছিলেন; অদ্য পক্ষমাত্র হইল, সেই মন্মথ তাঁহার এই মন্দিরমধ্যেই বড় দৌরাত্ম্য করিয়াছে।” বিমলা ঈষৎ হাসিয়া কহিলেন, “এত দৌরাত্ম্য কাহার প্রতি হইয়াছে।” বিমলা কহিলেন, “মহারাজ এমন অসম্পভব কথা বিশবাস করিবেন কেন ? “ যােব। আমার সাক্ষী আছে। বি। মহাশয়, এমন সাক্ষী কে ? যােব। সচরিত্রেরাজপত্রের বাক্য শেষ না হইতে হইতে বিমলা কহিলেন, “দাসী অতি কুচরিত্রা। আমাকে বিমলা বলিয়া ডাকিবেন।” বি । বিমলা এমত সাক্ষ্য দিবে না। যােব। সম্ভব বটে, যে ব্যক্তি পক্ষমধ্যে আত্মপ্রতিশ্রতি বিস্মতা হয়, সে কি সত্য সাক্ষ্য দিয়া থাকে ? বি। মহাশয়! কি প্রতিশ্রত ছিলাম; স্মরণ করাইয়া দিন। যােব। তোমার সখীর পরিচয় । বিমলা সহসা ব্যঙ্গপ্রিয়তা ত্যাগ করিলেন ; গম্ভীরভাবে কহিলেন, “যদুবরাজ ! পরিচয় দিতে সঙ্কোচ হয়। পরিচয় পাইয়া। আপনি যদি অসখী হন ?” রাজপত্র কিয়ৎক্ষণ চিন্তা করিলেন; তাঁহারও ব্যঙ্গাসাঁন্তু ভাব দরি হইল ; চিন্তা করিয়া বলিলেন, “বিমলে! যথার্থ পরিচয়ে কি আমার আসখের কারণ আছে ?” বিমলা কহিলেন, “আছে।” রাজপত্র পনরায় চিন্তামগন হইলেন; ক্ষণপরে কহিলেন, “যাহাই হউক, তুমি আমার মানস সফল করা; আমি যে অসহ্য উৎকন্ঠা সহ্য করিতেছি, তাহার অপেক্ষা আর কিছই অধিক অসখের হইতে পারে না। তুমি যে শঙ্কা করিতেছ, যদি সত্য হয়, তবে সেও এ যন্ত্রণার অপেক্ষা ভাল ; অন্তঃকরণকে প্ৰবোধ দিবার একটা কথা পাই । বিমলে! আমি কেবল কৌতহলী হইয়া তোমার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসি নাই; কৌতহলী হইবার আমার এক্ষণে অবকাশ নাই ; আদ্য মাসাদধি মধ্যে আশবপঠ ব্যতীত অন্য শয্যায় বিশ্রাম করি নাই। আমার মন অত্যন্ত বিমলা এই কথা শনিবার জন্যই এত উদ্যম করিতেছিলেন। আরও কিছ, শনিবার জন্য কহিলেন, “যদুবরাজ ! আপনি রাজনীতিতে বিচক্ষণ, বিবেচনা করিয়া দেখান, এ যাদ্ধকালে কি আপনার দম্প্রাপ্য রমণীতে মনোনিবেশ করা উচিত ? উভয়ের মঙ্গলহেতু বলিতেছি, আপনি আমার সখীকে বিস্মত হইতে যত্ন করুন ; যন্ধের উৎসাহে অবশ্য কৃতকাৰ্য্য হইবেন।” যােবরাজের অধরে মনস্তাপ-ব্যঞ্জক হাস্য প্রকটিত হইল ; তিনি কহিলেন, “কাহাকে বিস্মত হইব ? তোমার সখীর রােপ একবার দর্শনেই আমার হৃদয়মধ্যে গভীরতর অঙ্কিত হইয়াছে, এ হৃদয় দগধ না হইলে তাহা আর মিলায় না। লোকে আমার হৃদয় পাষাণ বলিয়া থাকে, পাষাণে যে মাত্তি অঙ্কিত হয়, পাষাণ নস্ট না হইলে তাহা আর মিলায় না। যন্ধের কথা কি বলিতেছ, বিমলে! আমি তোমার সখীকে দেখিয়া অবধি কেবল যন্ধেই নিযক্ত আছি। কি রণক্ষেত্রেকি শিবিরে, এক পল সে মখ ভুলিতে পারি নাই; যখন মস্তকচ্ছেদ করিতে পাঠান খড়গ তুলিয়াছে, তখন মরিলে সে মািখ যে আর দেখিতে পাইব না, একবার ভিন্ন আর দেখা হইল না, সেই কথাই আগে মনে পড়িয়াছে। বিমলে! কোথা গেলে তোমার সখীকে দেখিতে পাইব ?” বিমলা আর শনিয়া কি করিবেন! বলিলেন, “গড় মান্দারণে আমার সখীর দেখা পাইবেন। তিলোত্তমা সন্দরী বীরেন্দ্ৰসিংহের কন্যা।” জগৎ সিংহের বোধ হইল যেন তাঁহাকে কালসপ দংশন করিল। তরবারে ভর করিয়া Գ Ե