পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बश्कळ झष्नाबढ्ी খুমিল্লাকে নীচে ফেলিয়া দেওয়াও কঠিন নহে। ব্যক্তিয়া সাবধি বিমলা কহিলেন, “কে 2 י কৃষ্ণু কহিলেন, “তুমি কি জন্য এ দগমধ্যে আসিয়াছ ? চোরেরা শহলে যায়, তুমি কি (८*ान्म बाट्छ्रे ?' সৈনিক। সন্দরি! আমি চোর নই। বি। তুমি কি প্রকারে দগমধ্যে আসিলে ? সৈ। তোমারই অনাকক্ষপায়। তুমি যখন জানােলা খলিয়া রাখিয়াছিলে, তখন প্রবেশ করিয়াছিলাম ; তোমারই পশ্চাৎ পশ্চাৎ এ ছাদে আসিয়াছি। বিমলা কপালে করাঘাত করিলেন। পনেরপি জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কে ?” সৈনিক কহিল, “তোমার নিকট এক্ষণে পরিচয় দিলেই বা হানি কি ? আমি পাঠান।” বি। এ ত পরিচয় হইল না; জানিলাম যে, জাতিতে পাঠান—কে তুমি ? সৈ। ঈশবিরোিচ্ছায় এ দীনের নাম ওসমান খাঁ। বি । ওসমান খাঁ কে, আমি চিনি না! সৈ। ওসমান খাঁ, কতল খাঁর সেনাপতি। বিমলার শরীর কক্ষপান্বিত হইতে লাগিল। ইচ্ছা—কোনরপে পলায়ন করিয়া বীরেন্দ্ৰসিংহকে সংবাদ করেন; কিন্তু তাহার কিছমাত্র উপায় ছিল না। সম্মখে সেনাপতি গতিরোধ করিয়া দন্ডায়মান ছিলেন। অনন্যগতি হইয়া বিমলা এই বিবেচনা করিলেন যে, এক্ষণে সেনাপতিকে যতক্ষণ কথাবত্তায় নিযক্ত রাখিতে পারেন, ততক্ষণ অবকাশ। পশ্চাৎ দগপ্রাসাদস্থ কোন প্রহরী সেদিকে আসিলেও আসিতে পারে, অতএব পািনরপি কথোপকথন আরম্ভ করিলেন, “আপনি কেন এ দগমধ্যে প্রবেশ করিয়াছেন ?” ওসমান খাঁ উত্তর করিলেন, “আমরা বীরেন্দ্ৰসিংহকে অনানয় করিয়া দত প্রেরণ করিয়াছিলাম। প্ৰত্যুত্তরে তিনি কহিয়াছেন যে, তোমরা পাের, সসৈন্য দাগে আসিও।” বিমলা কহিলেন, “বঝিলাম, দােগাধিপতি আপনাদিগের সহিত মৈত্রী না করিয়া, মোগলের পক্ষ হইয়াছে বলিয়া আপনি দােগ অধিকার করিতে আসিয়াছেন। কিন্তু আপনি একক দেখিতেছি ?” ওস । আপাততঃ আমি একক। বিমলা কহিলেন, “সেই জন্যই বোধ করি, শঙ্কা প্রযক্ত আমাকে যাইতে দিতেছেন না।” করিলেও করিতে পারেন, এই দরাশাতেই বিমলা এই কথা বলিলেন। ওসমান খাঁ ঈষৎ হাস্য করিয়া বলিলেন, “সন্দেরী ! তোমার নিকট কেবল তোমার কাটােক্ষকে শঙ্কা করিতে হয়, আমার সে শঙ্কাও বড় নাই, তোমার নিকট ভিক্ষা আছে।” বিমলা কৌতহলিনী হইয়া ওসমান খাঁর মািখপানে চাহিয়া রহিলেন। ওসমান খাঁ কহিলেন, “তোমার ওড়নার অঞ্চলে যে জানালার চাবি আছে, তাহা আমাকে দান করিয়া বাধিত কর। তোমার অঙ্গসপশ করিয়া অবমাননা করিতে সঙ্কোচ করি।” গবাক্ষের চাবি যে সেনাপতির অভীষ্মটসিদ্ধি পক্ষে নিতান্ত প্রয়োজনীয়, তাহা বঝিতে বিমলার ন্যায় চতুরার অধিককাল অপেক্ষা করে না। বঝিতে পারিয়া বিমলা দেখিলেন, ইহার উপায় নাই। যে বলে লইতে পারে, তাহার যােষ্ট্রঞা করা ব্যওগ করা মাত্র। চাবি না দিলে সেনাপতি এখনই বলে লইবেক । অপর কেহ তৎক্ষণাৎ চাবি ফেলিয়া দিত সন্দেহ নাই; কিন্তু চতুরা বিমলা কহিলেন, “মহাশয়! আমি ইচ্ছাক্রমে চাবি না দিলে আপনি কি প্রকারে লাইবেন ?” এই বলিতে বলিতে বিমলা অঙ্গ হইতে ওড়না খলিয়া হস্তে লাইলেন। ওসমানের চক্ষ ওড়নার দিকে; তিনি উত্তর করিলেন, “ইচ্ছাক্ৰমে না দিলে তোমার অঙ্গ-সপশী-সখি লাভ করিব।” “করন”, বলিয়া বিমলা হস্তস্থিত বস্ত্র আম্রকাননে নিক্ষেপ করিলেন। ওসমানের চক্ষ ওড়নার প্রতি ছিল; যেই বিমলা নিক্ষেপ করিয়াছেন, ওসমান অমনি সঙ্গে সঙ্গে হস্ত প্রসারণ করিয়া উড্ডীয়মান বস্ত্র ধরিলেন। ওসমান খাঁ ওড়না হস্তগত করিয়া এক হস্তে বিমলার হস্ত বজমন্টিতে ধরিলেন, দন্ত bዖ8