পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৮৮৫

ब७कभ ब्रा5नादब्ली শ্ৰী।। তাহা হইলে কি হয় ? সীতা । যাহার এরাপ হয়, সে সত্ৰী প্রিয়-প্রাণহািন্ত্ৰী হয় |* অর্থাৎ আপনার প্রিয়জনকে বধ করে। সত্ৰীলোকের “প্রিয়” বলিলে স্বামীই বৰ্ব্বায়। পতিবধ তোমার কোম্ঠীর ফল বলিয়া তুমি পরিত্যাজ্যা হইয়ােছ। বলিয়া সীতারাম কিছফক্ষণ চুপ করিয়া রহিলেন। তার পর বলিতে লাগিলেন, “দৈবজ্ঞ পিতাকে বলিলেন, “আপনি এই পত্ৰবন্ধটিকে পরিত্যাগ করবেন, এবং পত্রের দ্বিতীয় দারপরিাগ্রহের ব্যবস্থা করন। কারণ, দেখান, যদিও সত্ৰীজাতির সাধারণতঃ পতিই প্রিয়, কিন্তু যে পতি স্ত্রীর অপ্রিয় হয়, সেখানে এই ফল পতির প্রতি না ঘটিয়া অন্য প্রিয়জনের প্রতি ঘটিবে। স্ত্রীপরিষে দেখা সাক্ষাৎ না থাকিলে, পতি সন্ত্রীর প্রিয় হইবে না; এবং পতি প্রিয় না হইলে, তাহার পতিবন্ধের সম্পভাবনা নাই। অতএব যাহাতে আপনার পত্রিবধর সঙ্গে আপনার পত্রের কখন সহবাস না হয় বা প্রীতি না জন্মে, সেই ব্যবস্থা করবেন।’ পিতৃদেব এই পরামর্শ উত্তম বিবেচনা করিয়া সেই দিনই তোমাকে পিত্ৰালয়ে পাঠাইয়া দিলেন। এবং আমাকে আজ্ঞা করিলেন যে, আমি তোমাকে গ্রহণ বা তোমার সঙ্গে সহবাস না করি। এই কারণে তুমি আমার কাছে সেই অবধি পরিত্যক্ত।” শ্ৰী দাঁড়াইয়া উঠিল। কি বলিতে যাইতেছিল, সীতারাম তাহাকে ধরিয়া বসাইলেন, বলিলেন, “আমার কথা বাকি আছে। যখন পিতা বিত্তমান ছিলেন--আমি তাঁহার অধীন ছিলাম—তিনি যা করাইতেন, তাই হইত।” শ্ৰী। এখন তিনি সবগে গিয়াছেন বলিয়া কি তুমি আর তাঁহার অধীন নও ? সীতা । পিতার আজ্ঞা সকল সময়েই পালনীয়—তিনি যখন আছেন, তখনও পালনীয়--- তিনি যখন সবগে, তখনও পালনীয়। কিন্তু পিতা যদি অধৰ্ম্মম করিতে বলেন, তবে তাহা কি পালনীয় ? পিতা-মাতা বা গােরর আজ্ঞাতেও অধৰ্ম্ম করা যায় না-কেন না, যিনি পিতামাতার পিতা-মাতা এবং গােরর গর, অধৰ্ম্ম করিলে তাঁহার বিধি লঙ্ঘন করা হয়। বিনাপরাধে সত্ৰী ত্যাগ ঘোরতর অধক্ষম—অতএব আমি পিতৃ-আজ্ঞা পালন করিয়া অধৰ্ম্ম করিতেছি—— শীঘ্রই আমি তোমাকে এ কথা জানাইতাম, কিন্তু শ্ৰী আবার দাঁড়াইয়া উঠিল। বলিল, “আমাকে পরিত্যাগ করিয়াও যে তুমি আমাকে এত দয়া করিয়াছ, আমার ভাইয়ের প্রাণভিক্ষা দিয়াছ, ইহা তোমার অশেষ গণ । আর কখনও আমি তোমাকে মািখ দেখাইব না বা তুমি কখনও আমার নামও শনিবে না। গণকঠাকুর যাই বলন, স্বামী ভিন্ন স্ত্রীলোকের আর কেহই প্রিয় নহে। সহবাস থাকুক বা না থাকুক, স্বামীই স্ত্রীর প্রিয়। তুমি আমার চিরপ্রিয়-এ কথা লকান আমার আর উচিত নহে। আমি এখন হইতে তোমার শত যোজন তফাতে থাকিব ।” এই বলিয়া শ্ৰী ফিরিয়া না চাহিয়া, সেখান হইতে চলিয়া গেল। অন্ধকারে সে কোথায় মিশাইল, সীতারাম আর দেখিতে পাইলেন না। অভটম পরিচ্ছেদ তা, কথাটা কি আজি সীতারামের নাতন মনে হইল ? না। কাল শ্ৰীকে দেখিয়া মনে হইয়াছিল। কাল কি প্রথম মনে হইল ? হাঁ, তা বৈ কি। সীতারামের সঙ্গে শ্ৰীীর কতটকু পরিচয় ? বিবাহের পর কয় দিন দেখা-সে দেখাই নয়—শ্ৰী তখন বড় বালিকা। তার পর সীতারাম ক্ৰমশঃ দহ বিবাহ করিয়াছিলেন। তপতকাঞ্চনশ্যামাণ্ডগী নন্দাকে বিবাহ করিয়াও বঝি শ্ৰীর খেদ মিটে নাই— তাই তাঁর পিতা আবার হিমরাশিপ্রতিফলিত-কৌমদী-রাপিণী রমার সঙ্গে পত্রের বিবাহ দিয়াছিলেন। আজ একজন বসন্তনিকুঞ্জ প্ৰহাদিনী অপণা কল্লোলিনী ; আর একজন বর্ষা চন্দ্রাগারে খাগিনভাবে কুজস্য স্বেচ্ছাবত্তিজ্ঞস্য শিলেপ প্ৰবীণা। বােচাং পত্যুঃ সদাগণা সাধনী মন্দস্য প্রিয়প্রাণহািন্ত্ৰী ৷ ইতি জাতিকাভারণে । ピピ8