পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৯৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

케 डाइ b তখন সীতারাম, উদ্ধাবমখে সপন্দিততারলোচনে, অতৃপিতিদন্টিতে শ্ৰীীর পানে চাহিয়া দেখিতে লাগিলেন। কোন কথা নাই—যেন বা নয়নের তৃপিত না হইলে কথার সাফাত্তি সম্পভাবিত হইতেছে না। দেখিতে দেখিতে, দেখিতে দেখিতে-যেন তাঁহার আনন্দ-প্রফতুল্ল মখমন্ডল আর তত প্ৰফল্ল রহিল না—একটা নিশবাস পড়িল। রাজা, আমার শ্ৰী বলিয়া ডাকিয়াছিলেন, বাঝি দেখিলেন, আমার শ্ৰী নহে। বঝি দেখিলেন যে, স্থিরমত্তি, অবিচলিতধৈয্যসম্পন্না, অশ্রবিন্দমাত্ৰশন্যা, উদ্ভাসিতর, পরশিমমন্ডলমধ্যবৰ্ত্তিনী, মহামহিমাময়ী, এ যে দেবীপ্রতিমা! বঝি এ শ্ৰী নহে! হায়! মড় সীতারাম মহিষী খাঁজিতেছিল—দেবী লইয়া কি করিবে ! সপতম পরিচ্ছেদ রাজার কথা শ্ৰী সব শানিল, শ্ৰীীর কথা রাজা সব শানিলেন। যেমন করিয়া, সব্বত্যাগী হইয়া সীতারাম শ্ৰীর জন্য পথিবী ঘরিয়া বেড়াইয়াছেন, সীতারাম তাহা বলিলেন। শ্ৰী আপনার কথাও কতক কতক বলিল, সকল বলিল না। তার পর শ্ৰী জিজ্ঞাসা করিল, “এখন আমাকে কি করিতে হইবে ?” প্রশন শনিয়া সীতারামের নয়নে জল আসিল। চিরজীবনের পর স্বামীকে পাইয়া জিজ্ঞাসা করিল কি না, “এখন আমাকে কি করিতে হইবে ?” সীতারামের মনে হইল, উত্তর করেন, “কড়িকাঠে দড়ি ঝালাইয়া দিবে, আমি গলায় দিব।” তাহা না বলিয়া সীতারাম বলিলেন, “আমি আজ পাঁচ বৎসর ধরিয়া আমার মহিষী খাজিয়া বেড়াইতেছি। এখন তুমি আমার মহিষী হইয়া রাজপরেী আলো করিবে।” শ্ৰী। মহারাজ ! নন্দার প্রশংসা বিস্তর শনিয়াছি। তোমার সৌভাগ্য যে, তুমি তেমন মহিষী পাইয়াছ । অন্য মহিষীর কামনা করিও না। সীতা । তুমি জ্যোঠা । নন্দা যেমন হোক, তোমার পদ তুমি গ্রহণ করিবে না কেন ? শ্ৰী। যে দিন তোমার মহিষী হইতে পারিলে আমি বৈকুন্ঠের লক্ষয়ীও হইতে চাহিতাম না, আমার সে দিন গিয়াছে। সীতারাম। সে কি ? কেন গিয়াছে ? কিসে গিয়াছে ? শ্ৰী। আমি সন্ন্যাসিনী ; সর্বব কম ত্যাগ করিয়াছি। সীতারাম। পতিযক্তিার সন্ন্যাসে অধিকার নাই। পতিসেবাই তোমার ধৰ্ম্ম । শ্ৰী। যে সব কম ত্যাগ করিয়াছে, তাহার পতিসেবাও ধৰ্ম্ম নহে; দেবসেবাও তাহার ধৰ্ম্মম নহে । সীতা। সবব কম কেহ ত্যাগ করিতে পারে না ; তুমিও পার নাই। গঙ্গারামের জীবন রক্ষা করিয়া কি তুমি কৰ্ম্মম করিলে না ? আমাকে দেখা দিয়া তুমি কি কৰ্ম্ম করিলে না ? শ্ৰী। করিয়াছি, কিন্তু তা হাতে আমার সন্ন্যাসধৰ্ম্মম ভ্ৰাট হইয়াছে, একবার ধমন্দ্ৰিন্ট হইয়াছি বলিয়া এখন চিরকাল ধৰ্ম্মম ভ্রম্পট হইতে বল ? সীতা। সর্বামিসহবাস সত্ৰীজাতির পক্ষে ধৰ্ম্মম ভ্রংশ, এমন কুশিক্ষা তোমায় কে দিল ? যেই দিক, ইহার উপায় আমার হাতে আছে। আমি তোমার স্বামী, তোমার উপর আমার অধিকার আছে। সেই অধিকার বলে, আমি তোমাকে আর যাইতে দিব না। শ্ৰী।। তুমি স্বামী, আর তুমি রাজা। তা ছাড়া তুমি উপকারী, আমি উপকৃত। অতএব তুমি যাইতে না দিলে আমি যাইতে পারিব না। সীতা। আমি স্বামী, আমি রাজা, আর আমি উপকারী, তাই আমি যাইতে না দিলে তুমি যাইতে পরিবে না। বলিতেছ না কেন, আমি তোমােয় ভালবাসি, তাই আমি ছাড়িয়া না দিলে তুমি যাইতে পরিবে না : স্নেহের সোণার শিকল কলুটিবে কি প্রকারে ? শ্ৰী। মহারাজ ! সে ভ্রমটা এখন গিয়াছে। এখন বঝিয়াছি, যে ভালবাসে, ভালবাসায় তাহার ধৰ্ম্মম এবং সখি আছে। কিন্তু যে ভালবাসা পায়, তাহার তাতে কি ? তুমি মাটির ঠাকুর গড়িয়া তাহাতে পশুপচন্দন দাও, তাহাতে তোমার ধৰ্ম্মম আছে, সখেও আছে, কিন্তু তাহাতে মাটির পতুলের কি ? সীতা । কি ভয়ানক কথা ! જે રે જે CS