পাতা:বঙ্গদর্শন-অষ্টম খণ্ড.djvu/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●ミレ*) o দুষ্মস্তেয় পত্নী এবং দুষ্মন্ত ও তখন লোকাপবাসর, ভয় हहेtठ धूख हड़ेब्र শকুন্তলাকে গ্রহণ করিলেন। কালিদাসের উপাখ্যানে সে দৈববাণী নাই। •কেন না যেখানে দুৰ্ব্বাসার শাপ সেখানে সে দৈববাণী থাকিতে পারে না এবং থাকিলে দুষ্মন্ত এবং শকুন্তলার বিহিত যন্ত্রণাভোগ হয় না । অতএব কালিদাস সে দৈববাণীর কথা পরিত্যাগ কfরর অন্য রকমে তাহার নারক এবং নারিকার মিলন সত্তঘটন করিলেন । অঙ্গুরীয় পুনঃপ্রাপ্তিদ্বারা দুষ্মন্ত এবং শকুন্তলার পরিণয় প্রমাণীকৃত হইল এবং দুষ্মন্তও সেই অঙ্গুরীয় দেখিয়া বিষম যন্ত্রণাভোগকরতঃ তাহার পাপের প্রায়শ্চিত্ত কয়িলেন। পরে সেই যন্ত্রণাবিহবল অবস্থায় দুষ্মন্ত র্তাহার গভীর আত্মেতরভাবের এবং অসাধারণ মোহবিজরীশক্তির একটি আশ্চর্য্য পরিচয় প্রদান করতঃ তাহার আধ্যাত্মিক প্রকৃতির উৎকৃষ্টতা সাব্যস্ত করিলে পর পুরস্কারস্বরূপ রমণীরত্ব শকুন্ত, লাকে পুনলাভ করিলেন । কালিদাস মহাভারতের উপাখ্যান কি প্রণালীতে পরিবর্তন করির লইয়াছেন তাছা বুঝাইলাম। পরিবর্তনানস্তর উপাখ্যানটি কি রকম ভাবপ্রাপ্ত হইরাছে তাহ একবার বুঝিয়া দেখা আবশ্যক । কালিদাসের উপাখ্যানের প্রধান প্রধান ঘটনা এই —প্রথম, দুষ্মন্ত এবং 'শকুন্তলার অযতারণা ; দ্বিতীর, দুষ্মন্ত ७द६ শকুত্বপূঃ প্রণয়সঞ্চার এবং ঐক্তি ভক্তিজ্ঞানশকুন্তল । } o D য়িক মিলন ; তৃতীয়, দুৰ্ব্বাসার শাপ, এবং ছন্মস্তকর্তৃক শকুন্তলার প্রত্যাখ্যান ; চতুর্থ, অঙ্গুরীয় পুনর্দর্শনীনস্তর দুষ্মস্তের যন্ত্রণাভোগ ; পঞ্চম, দুষ্মন্তের দেবলৈাকে দেবশত্রুদমন ; যষ্ঠ, দুষ্মন্ত এবং শকুন্তলার পুনৰ্ম্মিলন । যখন দুষ্মন্ত এবং শকুন্তলা প্রথম আমাদের দৃষ্টিপথে আবিভূত, তখন উভয়কেই আমরা বিকাসেন্মুিখ মুকুলের মতন দেখিতে পাই । উভয়েই যেন একটি বিশেষ অবস্থার দিকে যাইতেছেন, যেন একটি বিশেষ অবস্থায় আসিয়া পড়িলেন পড়িলেন, যেন প্রণয়ামুরাগে মুগ্ধ হইলেন श्हेप्णन, ८शन छैन। डात्रिग्रा निदारनाक প্রকাশ হয় হয় । দেখিতে দেখিভে মুকুল যেমন ফুটিয়া পড়ে, দুষ্মন্ত এবং শকুন্তলার সেই অস্ফুটঃাগও তেমনি পূর্ণ গৌরবে প্রদীপ্ত হইল—যেন উষার অঙ্কুট রাগ মধ্যাহ্ন রবির বিশ্বদগ্ধকারী কিরণরূপে রাগিয়া উঠিয়া দিগুদিগন্ত অগ্নিময় করিরা তুলিয়াছে—দুষ্মন্ত এবং শকুন্তলা সেই বিযম অগ্নিকুণ্ডে পড়িয়া তৃণনিৰ্ম্মিত পুত্তলির ন্যায় ধুধু করিয়া জলিয়। যাইতেছেন, যেন তাহদের চেতন নাই, জ্ঞান নাই, সাহস নাই, শক্তি নাই—যেন র্তাহার। জড়জগতের জড়তামাত্র । সহস! এক ভয়ঙ্কর পরিবর্তন। কোথায় হইতে যেন এক অসীম তেজঃসম্পন্ন জ্ঞানময় অনন্তপুরুষ আসিয়া সেই অগ্নিরাশি নিবাইয়। দিল, বিশ্বব্ৰহ্মাও যেন প্রলরতিমিরে ডুব্লিয়া গেল, সেই মহাপ্রণয়ে