পাতা:বঙ্গদর্শন-অষ্টম খণ্ড.djvu/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ֆ ՋԵր যেমন এক জায়গায় একটা ফুল ফুটিলে তঁহার সৌরভে চারিদিক আমোদিত হয়, সেইরূপ কোন জায়গায় এক জন বড়লোক হইলে ভঁহির দ্বারা চারিদিগের লোক উপকৃত হইত। আমাদের নুতন সমাজে এখন আর সে রকম ফুল ফুটে না । সেরূপ বড়লোক আর দেখিতে পাওয়া যায় না। ইংরাজের সঙ্গে থাকিয়া, ইংরাজিভাষা শিথিয়। আমরা বড়ই আত্মম্ভরী ও অসামাজিক হইয়। পড়িয়াছি । (Live for others), এইটা আমাদের প্রাচীন বাঙ্গালীর যত বুকিত, এত বুকি অঙ্গ কোন দেশের লোক বুকে না । এখনকার iège cawtotal (Live for others), off বার জন্য সভাসমাজ এসোসিয়েসন, জলসা, ক্লর, সোসাইট, মিটিং ইত্যাদি করিয়া থাকেন। একটু ভাবিয়া দেখিতে গেলে এই গুলির তলায়ও (সাইন) করিবার ইচ্ছ। ছাড়া আর কিছুই নাই। অনেকে এই উপায়ে পরহিত করিতে গিয়া গুরুতর আত্মহিত করিয়া বসেন । প্রায়ই দেখিতে পাওয়া যায়, যে সকল লোকে সভাদি স্থাপন করিতে যায়, তাহারা আপনাপন ইষ্ট সিদ্ধি হইলেই সভার প্রতি হতাদর হইয়া পড়েন । সময়ে সময়ে দেখিতে পাই, লোকে ১০।১৫ বৎসর পরহিতে কাটাইয়া অতি সামান্ত লাভের আকাক্ষায় সে পথ পরিত্যাগ করেন। সভা বা शक्रल भैंने ! * ( আষাঢ়।" এসোসিরেসনের পরহিত ফাপ জিনিস, ভিতরে তাহার সার নাই। খালি হাড়ীর মত বাজাইলে খুব শব্দ হয় বটে ; কিন্তু কাৰ্য্য তাহাতে কিছু হয় না । কারণ এখনকার যে সকল লোকে সভাকরেন, তাহাদের জীবনের উদ্দেশ্যই সাইন করা । সুতরাং তাহারা সভাগুলিকে এমনি করিয়া তৈয়ার করেন যে উহাভে শব্দ অধিক হয় । পৃথিবীর লোক জানিতে পারে যে অমুক অমুক খুব সাইন করি, তেছে । 粵 বাঙ্গালীর ইংরাজ সহবাসে যত কিছু হারাইয়াছেন, মনুষ্যত্বই তাহাদের মধ্যে প্রধান, মনুষ্যতের অভাবে সমস্তই সারশূন্য হইয়া উঠিতেছে। গিল্ট অধিক कलिएँडरछ, शड नांग्न कम, उडहे अक्षिक চকচক্যে হইতেছে । যে সমাজে যথার্থ মনুষ্যত্ব বিশিষ্ট লোকের আদর নাই এবং গিল্ট লোকের অাদর অধিক, সে সমাজের অবস্থা বাস্তবিকই অতি শোচনীয় । আমাদের এখানে সমাজের অবস্থা সুতরাং বড়ই মন্দ । কিন্তু সে মনুষ্যত্ব কি আর দেখিতে পাইব ? আবার কি বাঙ্গালীর মনে মনুষ্যত্ব করিবার বাঞ্ছা প্রবল হইবে ? এ ছার সাইন করার বাঞ্ছ। তিরোহিত হইবে ? ভরসা ত দেখি না, সমাজেরও ষে বড় মঙ্গল হইবে তাঙ্কারও ভরসা নাই ।